শনিবার ● ২৯ অক্টোবর ২০১৬
প্রথম পাতা » অপরাধ » ঝিনাইদহে এবার প্রতারক চক্রের ফাঁদ
ঝিনাইদহে এবার প্রতারক চক্রের ফাঁদ
ঝিনাইদহ প্রতিনিধি ::(১৪ কার্তিক ১৪২৩ বাঙলা : বাংলাদেশ সময় রাত ৮.১৭ মি.) জমি চাষ করেছেন, ক্ষেতে ধান লাগিয়েছেন, যত্ন করে নিড়ানী সার ঔষধ দিয়েছেন, ক্ষেতের ধান পেকে গিয়েছে অথচ তা কাটতে দেয়া হচ্ছে না৷
ঝিনইদহের শৈলকুপার পার কাঁচেরকোল গ্রামের প্রান্তিক কৃষক সাইদুল ও তুহিন জোয়ার্দ্দারের ঘরে আমন মৌসুমে ঘরে উঠবে পাকা ধান, এই বাস্তবতা এখন দুঃস্বপ্ন করে দিয়েছে প্রতারক চক্র৷
নানা ফাঁদ পেতে, জাল কাগজপত্র বানিয়ে এখন দাবি করা হচ্ছে ক্ষেতের ধান তাদের পাওনা, জমি তাদের ৷ এই চাষীরা আদালতের স্মরণাপন্ন হলে আদালত জমির স্থিতিশীল অবস্থা জারি রাখার নির্দেশনা দিয়েছ্নে৷ একই সাথে দ্বিতীয় পক্ষকে কারণ দর্শানোর নোটিশ জারি করেছেন৷ ফলে এখন মাঠের পাকা ধান নিয়ে বিপাকে পড়েছেন ঐ দুই কৃষক৷
সরেজমিনে দেখা গেছে, শৈলকুপার পার কাঁচেরকোল গ্রামে গিয়ে দেখা গেছে, গ্রামটির মিস্ত্রি পাড়ায় কৃষক সাইদুল জোয়ার্দ্দার ও তার ভাই তুহিন জোয়ার্দ্দার তাদের পৈত্রিক প্রায় ১একর ৫০ শতক জমির উপর এবার ধান, হলুদ ও মরিচ চাষ করেছেন৷
পৈত্রিক সম্পত্তি হিসাবে গত ৫০ বছরের বেশী সময় ধরে তারা এসব জমি ভোগ-দখল করছেন৷ কিনত্মু অতি সামপ্রতি উত্তর মির্জাপুর গ্রামের শওকত আলী শহিদ নামের এক ব্যক্তি সেখানে জমি দাবি করে আসছে৷
অভিযোগ উঠেছে ঐ কৃষকের মায়ের কাছ থেকে এক সময় ১৯ শতক জমি বন্দক নেয় শওকত পরে তা ক্রয় করে কিন্তু এখন সবই দাবি করে আসছে৷
শওকতের সাথে রুয়েল সহ আরো কিছু ব্যাক্তি ঐ কৃষকদের পাকা ধান কাটতে দিচ্ছে না৷ এসব ফসল জোর করে কেটে নেয়ার হুমকি সহ পরিবারের উপর হুমকি দিয়ে চলেছে৷
এ ঘটনায় কৃষক তুহিন জোয়ার্দ্দার সাংবাদিককে জানায়, অতীতে কোন সময় তাদের জমিতে কেউ কোন দাবি তোলেনি, এখন জোর করে এসব করছে৷ পুলিশের সহযোগীতা পাচ্ছেন না বলে তিনি অভিযোগ করছেন৷
এ ব্যাপারে শওকতের সাথে তার মোবাইলে বার বার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি৷
কচুয়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের এএসআই আব্দুর রাজ্জাক জানান, শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষার্থে জমি নিয়ে যাতে কোন সহিংসতা, সংঘর্ষ না হয় সে জন্য আদালতের আদেশ মানা হচ্ছে ৷ পুলিশ কারো পক্ষ নেয়নি৷