শনিবার ● ২৪ অক্টোবর ২০১৫
প্রথম পাতা » অপরাধ » কক্সবাজার হাসপাতালের আঙ্গিনায় নবজাতকের লাশ : দেহবশ নিয়ে টানাটানি করছে কুকুর ও কাক
কক্সবাজার হাসপাতালের আঙ্গিনায় নবজাতকের লাশ : দেহবশ নিয়ে টানাটানি করছে কুকুর ও কাক
কক্সবাজার প্রতিনিধি :: কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতাল আঙ্গিনায় ফেলে রাখা এক নবজাতকের লাশ নিয়ে টানাটানি করছে একঝাক কুকুর। সাথে যোগ হয়েছে একদল কাক পাখিও।
এই দুই শ্রেনীর পশু-পাখি মিলে লাশের মাথা থেকে শুরু করে দেহের প্রায় অর্ধেক খেয়ে ফেলেছে। পরে মানুষের ধাওয়ায় ওই নবজাতকের অবশিষ্টাংশটুকুন রক্ষা পায়।
২৪ অক্টোবর শনিবার বেলা দুইটার দিকে হাসপাতাল মর্গের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
খবর পেয়ে কক্সবাজার সদর মডেল থানার একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছেন। তারা লাশের দাফনের ব্যবস্থা করছে।
প্রত্যক্ষদর্শী আব্দুল কাদের জানান, হাসপাতালের সুইপাররাই এ ঘটনার সাথে জড়িত। টাকার বিনিময়ে তারা এসব করে থাকে। খোঁজ নিলে আসল রহস্য বের হবে।
হাসপাতাল মর্গের পার্শে নির্মিত পৌরসভা টয়লেটের ইজারাগ্রহীতা শামসুন্নাহার জানান, হাসপাতালের ডাস্টবিন থেকে নবজাতকের লাশটি একদল কুকুর টেনে হেঁছড়ে রাস্তায় নিয়ে আসে। এরপর খাওয়া শুরু করে। ওই সময় শিশুটির মাথায় চুল ছিল।
প্রত্যক্ষদর্শী জাফর আলম নামের এক বীমাকর্মী দুঃখ করে বলেন, লাশ নিয়ে কুকুরের টানাটানি দেখে আমি রীতিমতো হতবাক হয়েছি। একজন মানুষ হিসাবে এ দৃশ্য আমাকে খুব নাড়া দিয়েছে। কোন মানুষ এরকম কাজ করতে পারেনা।
তার মতে, এতে হাসপাতালের কিছু ডাক্তার ও কর্মচারীদের সম্পৃক্ততা আছে। তাদের শাস্তি হওয়া দরকার।
স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, হাসপাতালের গাইনী বিভাগে টাকার বিনিময়ে প্রায় সময় অবৈধ গর্ভপাত ঘটানো হয়। এ বিভাগের ডাক্তার ও সুইপার মিলে এসব করে থাকে।
এ প্রসঙ্গে বক্তব্য নিতে হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. রতন চৌধুরীর চেম্বারে গেলে তাকে পাওয়া যায়নি।
পরে মুঠোফোনে কারণ জানতে চাইলে তিনি এ বিষয়ে খোঁজখবর নিচ্ছেন বলে জানান।
এ দিকে হাসপাতাল আঙ্গিনায় ‘লাশ নিয়ে কুকুর টানাটানি করছে’ এমন সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যান কক্সবাজার সদর মডেল থানার পুলিশ উপ-পরিদর্শক আবুল কালামের নেতৃত্বে একদল পুলিশ।
শনিবার বেলা আড়াইটায় রিপোর্ট লেখাকালে তারা লাশের অবশিষ্টাংশের দাফন-কাফনের ব্যবস্থা নিচ্ছে বলে জানা গেছে।
আপলোড : ২৪ অক্টোবর ২০১৫ : বাংলাদেশ : সময় : বিকাল ৪.৫২ মিঃ