রবিবার ● ৩০ অক্টোবর ২০১৬
প্রথম পাতা » অর্থ-বাণিজ্য » ব্যবসায়ী ও করপোরেট প্রতিষ্ঠানের দৃষ্টি কেড়েছে ওয়ালটন
ব্যবসায়ী ও করপোরেট প্রতিষ্ঠানের দৃষ্টি কেড়েছে ওয়ালটন
ঢাকা প্রতিনিধি :: (১৫ কার্তিক ১৪২৩ বাঙলা : বাংলাদেশ সময় রাত ১০.৩০মি.) প্রথমবারের মতো আয়োজিত তিন দিনের লাইট এক্সপো শেষ হলো আজ ২৯ অক্টোবর শনিবার।
মেলায় ব্যবসায়ী, কর্পোরেট ক্লায়েন্ট ও সাধারন ক্রেতাদের নজর কেড়েছে দেশীয় ব্র্যান্ড ওয়ালটন। মেলায় বেশ কয়েকটি করপোরেট প্রতিষ্ঠান থেকে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ অর্ডার পেয়েছে ওয়ালটন। ইতোমধ্যে কয়েকটি গ্রুপের সাথে বিভিন্ন প্রকারের এলইডি লাইটিং পণ্য বিক্রির প্রক্রিয়া চুড়ান্ত হয়েছে। পাইপ লাইনে রয়েছে আরো প্রায় ২৪টি করপোরেট প্রতিষ্ঠানের কাছে পণ্য বিক্রির প্রক্রিয়া। মেলায় ওয়ালটন প্যাভিলিয়নে প্রদর্শিত হয়েছে দেড় শতাধিক মডেলের পণ্য।
গত বৃহস্পতিবার রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় শুরু হয়েছে ’বাংলাদেশ লাইটিং এক্সপো-২০১৬’ এবং ’ইন্টেরিয়র-এক্সটেরিয়র ইন্টারন্যাশনাল এক্সপো-২০১৬’ শীর্ষক দুটি আন্তর্জাতিক প্রদর্শনী।
আজ শনিবার ছিল মেলার শেষ দিন। বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো আয়োজিত এই মেলায় দেশী-বিদেশী বিভিন্ন কোম্পানির প্রায় ৬৫টি স্টল ছিল।
তিন দিনব্যাপী এই মেলায় এলইডি লাইট, সিএফএল লাইট, এলইডি প্যানেল লাইট, লাইটিং অ্যাকসেসরিজ, ডেকোরেটিভ সুইচ ও সকেট, রুম হিটার, গিজার ও ওয়াটার হিটার, ডেকোরেটিভ লাইটিং ও ঝারবাতি, এয়ার-কন্ডিশনার, কার্পেট, সোলার প্যানেল, সোলার লাইট, ইমার্জেন্সি লাইট, স্ট্রিট লাইট, লাইট শেড, ল্যান্ডস্ক্যাপ, রিচার্জেবল ফ্যান, সিলিং ফ্যান, রিচার্জেবল ব্যাটারিসহ অসংখ্য পণ্য প্রদর্শন করা হয়েছে।
উদ্বোধনের পর থেকেই বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সাপ্লাই ম্যানেজার, কমার্শিয়াল অফিসার, কনসালটেন্টসহ সকল শ্রেণীর ক্রেতারা মেলা পরিদর্শনে আসেন।
তবে ক্রেতা সমাগম সবচেয়ে বেশি ছিল শুক্র ও শনিবার। ক্রেতা দর্শনার্থীদের অনেকেই দেশেই আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন এলইডি লাইট, প্যানেলসহ বিভিন্ন ধরণের ইলেকট্রিক্যাল পণ্যসামগ্রী প্রস্তুত করায় ওয়ালটনের ব্যাপক প্রশংসা করেছেন। অন্যান্য ব্র্যান্ডের তুলনায় ওয়ালটন পণ্যের উচ্চমান ও সাশ্রয়ী দামের কারনে ইতিমধ্যেই অনেকেই পণ্য ক্রয়ের আগ্রহ দেখিয়েছে।
মেলা ঘুরে দেখা গেছে, মেলায় ওয়ালটনের এলইডি ১২ ওয়ার্ডের এক্সক্লুসিভ বাল্ব বিক্রি হচ্ছে ৩২৫ টাকায়। কিন্তু, সমজাতীয় বিদেশী কোম্পানীর বাল্ব মেলায় বিক্রি হচ্ছে ৬০০ টাকায়। এছাড়াও, মেলায় ৩০ ওয়াট থেকে ১৫০ ওয়াটের ফ্ল্যাট লাইট ওয়ালটন বিক্রি করছে ৩ হাজার থেকে ১১ হাজার টাকায়, যেখানে বিদেশী ব্র্যান্ডের একই ওয়াট এবং সমমানের লাইট বিক্রি হচ্ছে সাড়ে ৪ হাজার থেকে ২০ হাজার টাকায়।
ওয়ালটনের সহকারী পরিচালক এবং স্টল ইনচার্জ মুক্তাদির বিল্ল্যাহ সিএইচটি মিডিয়া টুয়েন্টিফোর ডটকম এর প্রতিনিধিকে বলেন, প্রথম দিন থেকেই ক্রেতাদের কাছ থেকে ভালো সাড়া পেয়েছি। বিশেষ করে, বিভিন্ন করপোরেট প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে।
মেলায় দেড় শতাধিক মডেলের বিভিন্ন ধরনের ইলেকট্রিক্যাল পণ্য প্রদর্শন করেছে ওয়ালটন।
সুন্দর ডিজাইন, বিশ্বমান সম্পন্ন, দেশব্যাপী বিস্তৃত বিশাল সার্ভিস নেটওয়ার্ক থেকে সর্বোত্তম ও দ্রুত বিক্রয়োত্তর সেবার নিশ্চয়তা, সহজ কিস্তি সুবিধা, এলইডি লাইটিং পণ্যে দুই বছরের রিপ্লেসমেন্ট ওয়ারেন্টি এবং দামেও সাশ্রয়ী হওয়ায় সহজেই ক্রেতাদের মন জয় করে নিচ্ছে ওয়ালটন ব্র্যান্ডের পণ্য।
তিনি আরো জানান, মেলায় মোট ২৪টি গ্রুপ অব কোম্পানীজ ওয়ালটন পণ্য ক্রয়ের প্রতি আগ্রহ দেখিয়েছে। ইতোমধ্যে, প্যারাগণ গ্র’পের কাছ থেকে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ এলইডি লাইটের অর্ডার পাওয়া গেছে।
মেলায় ওয়ালটন স্টলে হোয়াইট স্ক্রীন কমিউনিকেশন লিমিটেড এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এএইচএম জাহিদুর রহমান সিএইচটি মিডিয়া টুয়েন্টিফোর ডটকম এর প্রতিনিধিকে বলেন, ওয়ালটন যে এলইডি লাইট, প্যানেল, বাল্ব এবং ইলেকট্রিক সুইস-সকেট এর মতো উচ্চ প্রযুক্তির পণ্য দেশেই তৈরি করছে তা জানা ছিলনা। ওয়ালটনের পণ্যগুলো সরাসরি দেখে মনে হচ্ছে উচ্চ মানসম্পন্ন। দামও অন্যান্য ব্র্যান্ডের চেয়ে সাশ্রয়ী।
নির্ঝর গ্রুপের চেয়ারম্যান নুরুন নবী চৌধূরী সিএইচটি মিডিয়া টুয়েন্টিফোর ডটকম এর প্রতিনিধিকে বলেন, বিভিন্ন স্টল পরিদর্শন করেছি। কিন্তু ওয়ালটনের স্টলে এসে অবাক হয়েছি। বিভিন্ন ধরনের এলইডি জাতীয় লাইট প্রদর্শন করছে দেশীয় প্রতিষ্ঠানটি। আরো বেশি অবাক হই এটা শুনে যে, ওয়ালটনের নিজস্ব কারখানায় দেশেই তৈরি করা হচ্ছে এসকল পণ্য।
উল্লেখ্য, এলইডি বাল্ব, টিউব লাইট, ডেকোরেটিভ টিউব লাইট, প্যানেল লাইট, ফ্লাড লাইট, স্ট্রিট লাইট, ইলেকট্রিক সুইস-সকেট, সিলড এসিড লেড রিচার্জেবল ব্যাটারি, রিচার্জেবল ফ্যান, রিমোর্ট কন্ট্রোল ফ্যান, দেয়াল ও সিলিং ফ্যানসহ দেড় শতাধিক মডেলের পণ্য প্রদর্শন করেছে ওয়ালটন।