সোমবার ● ৩১ অক্টোবর ২০১৬
প্রথম পাতা » খাগড়াছড়ি » আলুটিলা গুচ্ছগ্রাম প্রকল্পের চেয়ারম্যান আবদুর রাজ্জাকের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ
আলুটিলা গুচ্ছগ্রাম প্রকল্পের চেয়ারম্যান আবদুর রাজ্জাকের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ
অন্তর মাহমুদ, মাটিরাঙ্গা প্রতিনিধি::(১৬ কার্তিক ১৪২৩ বাঙলা : বাংলাদেশ সময় রাত ৯.১০মি.) খাগড়াছড়ি মাটিরাঙ্গা উপজেলার আলুটিলা বাঙ্গালী গুচ্ছগ্রাম প্রকল্প চেয়ারম্যান সাবেক মেম্বার আবদুর রাজ্জাকের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ করেছেন কাউন্সিলর এমরান হোসেনের নেতৃত্বে ২৪২ জন রেশন কার্ডধারী ৷ ৩০ অক্টোবর রবিবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে মাটিরাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার কার্যালয়ে অনুপস্থিত থাকায় তার সিএ’র হাতে স্বাক্ষরলিপিসহ ১১ পাতার অভিযোগ পত্রটি দাখিল করেন গুচ্ছগ্রামের কয়েকজন কার্ডধারীসহ কাউন্সিলর এমরান৷
অভিযোগপত্র সুত্রে জানা যায়,বিভিন্ন কার্ডধারীদের রেশন আত্বসাত্,সময়মতো রেশন প্রদান না করা,রেশন কার্ড তাহার কাছে না রাখিলে রেশন বিতরণে তাল বাহানা, তাহার সাথে কথা বলতে চাইলে ফৌজদারী মোকদ্দমার হুমকি প্রদান,৯০% সমিতির বইতে প্রকল্প চেয়ারম্যানের স্বাক্ষর ও টাকা জমার দেওয়ার পরও জমার প্রমাণ নাই, বহন খরচের নামে ডিও প্রতি ২০ টাকা বেশী নেয়াসহ নিরীহ রেশন কার্ডধারীদের অশোভনীয় ভাষায় গালিগালাজ করার বিষয় উল্লেখ করা হয়েছে ৷
এ সব অন্যায়ের কারণে প্রকল্প চেয়ারম্যান আবদুর রাজ্জাককে অপসারন করে আলুটিলা গুচ্ছগ্রামের রেশন সুষ্ঠভাবে রিতরণের লক্ষ নতুন প্রকল্প চেয়ারম্যান নিয়োগে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছে ৷
এ বিষয়ে আলুটিলা গুচ্ছগ্রামের বর্তমান প্রকল্প চেয়ারম্যান ও সাবেক মেম্বার আবদুর রাজ্জাক বলেন, ১নং পৌর ওয়ার্ড কাউন্সিলর নির্বাচিত হওয়ার পর-এমরান হোসেন প্রতি ডিও রেশন বিতরনের জন্যে ১০ হাজার টাকা করে চাঁদা দাবী করে ৷ আমি তা দিতে অস্বীকার করায় আমার সামাজিক ও পারিবারিক সুনাম নষ্ট করার জন্যে কাউন্সিলর সাধারণ রেশন কার্ডধারীদের ভুল বুঝিয়ে নিয়ে এসে এই অভিযোগ করিয়েছেন ৷ যা মিথ্যা,বানোয়াট,সাজানো (পরিকল্পিত) ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত ৷
উল্লেখ্য,মহামান্য হাইকোর্ট দায়েরকৃত রীট পিটিশন নং ১২৩৮৯/২০১২ রীটকারী রিট প্রত্যাহার করায় আমি গুচ্ছগ্রাম চেয়ারম্যান পদে পূণবহাল হই ৷
সুত্র নং-২২৭৫,তারিখ ১৭/১১/২০১৫ এর আলোকে জেলা প্রশাসক খাগড়াছড়ি ১৫/১২/২০১৫ অনুমোদন দেন ৷
যা পরে গত ২৭/১২/২০১৫ জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার তাসলিমা বেগম স্বাক্ষরিত আদেশের প্রেক্ষিতে মাটিরাঙ্গার ইউএনও বিএম মশিউর রহমান এই আদেশ চুড়ান্ত বাস্তবায়ন করেন ১৭/১১/২০১৫ স্বাক্ষরের মাধ্যমে ৷
এই আদেশ অনুমোদনের তারিখ থেকে পরবর্তী ২ বছর পর্যন্ত বলবত্ থাকবে৷