

বুধবার ● ২ নভেম্বর ২০১৬
প্রথম পাতা » অপরাধ » হয়রানী-মিথ্যা মামলা রেকর্ড : থানার ওসিসহ ৫ পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ
হয়রানী-মিথ্যা মামলা রেকর্ড : থানার ওসিসহ ৫ পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ
বিশ্বনাথ সিলেট প্রতিনিধি :: (১৮ কার্তিক ১৪২৩ বাঙলা : বাংলাদেশ সময় রাত ১০.৫৫মি.) বিশ্বনাথ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মনিরুল ইসলাম পিপিএমসহ ৫ পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে পুলিশের সিলেট রেঞ্জের ডিআইজি বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে৷
২ নভেম্বর মঙ্গলবার বিশ্বনাথ উপজেলা খাজাঞ্চী ইউনিয়নের হরিপুর গ্রামের মৃত রাসিদ আলীর পুত্র আহমদ রেজা ইদ্রিস এই অভিযোগটি দায়ের করেন৷ অন্যান্য অভিযুক্তরা হলেন- বিশ্বনাথ থানার এসআই তোফাজ্জল হোসেন, সাইফুল ইসলাম, শুভ্র সাহা ও সিলেট সিআইডি’র পুলিশ পরিদর্শক আলতাব হোসেন৷
অভিযোগটি পৃথকভাবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয় ও আইজিপি বরাবর প্রেরন করা হয়েছে৷
লিখিত অভিযোগে আহমদ রেজা ইদ্রিস বলেন, তার পিতাকে হত্যার ঘটনায় দায়েরকৃত মামলা (দায়রা ১৮৩/২০০৪) অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালতে বিচারাধীন রয়েছে৷ এই মামলার আসামীসহ তাদের পক্ষের লোকজন তাকে বিভিন্ন মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী ও শারীরিক নির্যাতন করার চেষ্টা চালাইলে তিনি হাইকোর্টে রিট পিটিশন দায়ের করেন৷ আবেদন শুনানী শেষে আদালত তার (ইদ্রিস) জীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিত ও কোনরূপ পুলিশী হয়রানী না করার জন্য আদেশ প্রদান করেন৷
বর্তমানে তার পিতা হত্যাকারী চক্র ও তাদের পক্ষের লোকজন তার (ইদ্রিস) ও তার পরিবার বর্গের উপর একের পর এক মিথ্যা মামলা রুজু করাইতেছে৷ কারণ হরিপুর গ্রামের আলোচিত আব্দুল মনাফ হত্যা মামলা জিআর ১৪১/১০১৫৷ ভিকটিম আব্দুল মনাফকে অপহরণের পর একমাত্র দেখা সাক্ষী ও রিপোষ্টমর্টেম করার দরখাস্তে এলাকাবাসীর পক্ষে ১ম সাক্ষরকারী এবং সিআইডি এসপিকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রদান করায় সিআইডি আলতাব, এসআই তফাজ্জুল, এসআই সাইফুল ও এসআই শুভ্র সাহা হরিপুর গ্রামের ধনাঢ্য খুনি চক্র মহলের সাথে যোগাযোগীতে লিপ্ত হয়ে ও বশিভূত হয়ে বিশ্বনাথ থানার ওসিকে তার (ইদ্রিস) বিরুদ্ধে মিথ্যা প্ররোচনায় বিভিন্ন মামলা রেকর্ড করানো হয়েছে৷
গত ২৭ অক্টোবর ইদ্রিস আলী ও তার তিন ছেলে আদালত থেকে একটি মামলায় জামিনে মুক্ত হলে আদালত বারান্দায় তার (ইদ্রিস) কাছে এসে এসআই তফজ্জুল বলেন ‘মামলা কয়টার জামিন নেবে, ঝাঁকে ঝাঁকে মামলা আসেব৷ সিআইডি এসপি’র নিকট এসআই দিপনের বিরুদ্ধে তথ্য দেছ, তোমার মাথার পাগড়ী পায়ের তলায় মুড়াব’৷
তাকে (ইদ্রিস) হত্যা করার জন্য পরোক্ষভাবে তার হরিপুর গ্রামের মৃত বশির মিয়ার ছেলে সিরাজ মিয়া (মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী), মৃত খুশিদ মিয়ার ছেলে নজির মিয়া, মৃত আব্দুল আলীর ছেলে খায়রুল ইসলাম কবির, মৃত আর্শদ আলীর ছেলে আজিজুল এবং সিআর ১৪/২০১৬ ও সিআর ১৭/২০১৬ মামলাদ্বয়ের আসামীদেরকে লেলিয়ে দিয়েছেন সিআইডি আলতাব হোসেন, পুলিশের এসআই তফজ্জুল ও শুভ্র সাহা৷ ফলে তিনি মামলার জামিন পেয়েও নিজ বাড়িতে যেতে না পেরে পাশের গ্রামে আশ্রয় নিয়েছেন৷
পুলিশী নির্যাতন, মিথ্যা মামলা এবং সিআর ১৪/২০১৬ ও সিআর ১৭/২০১৬ মামলার অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে হত্যার চেষ্টা বন্ধ করার পক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা না হলে তার (ইদ্রিস) ও তার পরিবারের প্রাণহানী ঘটনার সম্ভাবনা রয়েছে৷ তাই তদনত্ম পূর্বক পুলিশ কর্তৃক হয়রানী, মিথ্যা মামলা বন্ধ ও তার ও তার পরিবার বর্গের নিরাপত্তার পক্ষে আদেশ প্রদানের জন্য আহমদ রেজা ইদ্রিস আবেদন জানান৷