শুক্রবার ● ৪ নভেম্বর ২০১৬
প্রথম পাতা » অপরাধ » বলাৎকার প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় এক জেএসসি পরীক্ষার্থীকে ক্ষুর দিয়ে ক্ষতবিক্ষত
বলাৎকার প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় এক জেএসসি পরীক্ষার্থীকে ক্ষুর দিয়ে ক্ষতবিক্ষত
সিলেট প্রতিনিধি :: (২০ কার্তিক ১৪২৩ বাঙলা : বাংলাদেশ সময় বিকাল ৪.১৪মি.) সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলায় বলাৎকার প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় এক জেএসসি পরীক্ষার্থীকে ক্ষুর দিয়ে ক্ষতবিক্ষত করে আহত করেছে লম্পট গৃহশিক্ষক।
আশঙ্কা জনক অবস্থায় তাকে প্রথমে তাকে জৈন্তাপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। প্রচুর রক্তক্ষরণের কারণে অবস্থার অবনতি হলে পরে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
গৃহ শিক্ষক মোক্তার হোসেনকে এলাকাবাসী গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছেন। ৩ নভেম্বর ২টার সময় উপজেলার দরবস্ত বাজারে এ ঘটনা ঘটে।
আহত জেএসসি পরীক্ষাথী নাম মাহিন আহমদ মাহিন (১৪)। সে উপজেলার দরবস্ত ইউনিয়নের তেলিজুরি গ্রামের বজলুর রহমান শামীমের ছেলে এবং সেন্ট্রাল জৈন্তা উচ্চবিদ্যালয়ের জেএসসি পরীক্ষার্থী।
পরীক্ষা কেন্দ্র হতে বাড়ি ফেরার পথে তেলিজুরী গ্রামের রহমত আলীর ছেলে গৃহ শিক্ষক মোক্তার হোসেন দরবস্ত বাজারে তার উপর হামলা চালায়।
তখন উত্তেজিত জনতা ওই লম্পট গৃহ শিক্ষক মোক্তারকে ধাওয়া করে। ধাওয়া খেয়ে সে বাজারের সন্নিকটে ডাইয়া গ্রামের কুতুব আলীর বাড়ির চৌকির নিচে অবস্থান নেয়। স্থানীয় জনতা পিছু নিয়ে পুরো বাড়ি ঘেরাও করে, তাকে ধরে উত্তেজিত জনতা মোক্তারকে গণধোলাই দেয়। দরবস্ত ইউপি চেয়ারম্যান বাহারুল আলম বাহার, সেন্ট্রাল জৈন্তা উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক লিটু, স্থানীয় গণমান্য ব্যক্তিবর্গ উত্তেজিত জনতাকে শান্ত করেন।
পরে স্থানীয় যুবলীগ নেতা কুতুব উদ্দিন বিষয়টি জৈন্তাপুর মডেল থানায় খরব দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে। এক পর্যায় স্থানীয়দের সহায়তায় বখাটে গৃহশিক্ষক মোক্তারকে পুলিশের হাতে তুলে দেন।
এলাকাবাসী সিএইচটি মিডিয়া প্রতিনিধিকে জানান, দীর্ঘ দিন হতে পড়ানোর সুবাদে গৃহ শিক্ষক মোক্তার ওই পরীক্ষার্থীকে কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিল। ছেলেটি রাজি না হওয়ায় সে ঘটনাটি ঘটিয়েছে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য জালাল উদ্দিন সিএইচটি মিডিয়া প্রতিনিধিকে জানান, ইতঃপূর্বে মোক্তারের বিরুদ্ধে এরকম অভিযোগে সেন্ট্রাল জৈন্তা উচ্চবিদ্যালয়ের খন্ডকালীন শিক্ষক পদের চাকুরি হতে তাকে অব্যাহতি দেয়া হয়।
বৃহসপতিবার বিকাল পৌনে ৬ টা পর্যন্ত ধৃত মাক্তারকে আসামি করে থানায় মামলা দায়েরে প্রস্তুতি চলছে বলে জানিয়েছেন থারন অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সফিউল কবির।
অপর দিকে পরীক্ষার্থী উপর হামলার ঘটনার খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ সোহেল মাহমুদ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে সিএইচটি মিডিয়া প্রতিনিধিকে জানান, এঘটনার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করব।