শুক্রবার ● ৪ নভেম্বর ২০১৬
প্রথম পাতা » ঢাকা » গারোদের ঐতিহ্যবাহী ‘ওয়ানগালা’ উত্সব উদযাপিত
গারোদের ঐতিহ্যবাহী ‘ওয়ানগালা’ উত্সব উদযাপিত
ঢাকা প্রতিনিধি :: (২০ কার্তিক ১৪২৩ বাঙলা: বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৬.৪৪মি.) মিসি সালজং বা শস্য দেবতার ওপর নির্ভর করে ফসলের ভালো ফলন হয়, এটা গারো জনগোষ্ঠির একটা বিশ্বাস৷ এই শস্য দেবতাকে কৃতজ্ঞতা জানিয়ে ও নতুন ফসল খাওয়ার অনুমতি চেয়ে ৪ নভেম্বর শুক্রবার গারো জনগোষ্ঠি পালন করেছে এ বছরের ‘ওয়ানগালা’ বা নবান্ন উত্সব৷ ঢাকায় বসবাসরত গারো রাজধানীর বনানী মডেল হাইস্কুল প্রঙ্গণে দিনব্যাপী পূজা-অর্চনা, আলোচনা ও নাচ-গানের মাধ্যমে ঐতিহ্যবাহী এ উত্সব ‘ওয়ানগালা’ উদযাপন করে৷
ঐতিহ্যবাহী ওয়ানগালা উদযাপন পরিষদ নকমা দুর্জয় তজু-এর সভাপতিত্বে ওয়ানগালা উত্সবে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এমপি৷ বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ময়মনসিংহ-১ এর সংসদ সদস্য জুয়েল আরেং এমপি, প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী আবদুস সোবহান গোলাপ, এক্সিম ব্যাংক-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মোহাম্মদ হায়দার আলী মিয়া, ইন্ডিজেনাস পিপলস ডেভেলপমেন্ট সার্ভিস-এর সভাপতি সঞ্জীব দ্রং, ঢাকা মেট্রোপলিটান ক্রিস্টিয়ান কো-অপারেটিভ হাউজিং সোসাইটি লি.-এর চেয়ারম্যান আগস্টিন পিউরিফিকেশন, ঢাকা ক্রিস্টিয়ান কো-অপারেটিভ ক্রেডিট ইউনিয়ন লি.-এর সভাপতি বাবু মার্কুজ গমেজ , জয়িতা ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আশরাফ হোসেন, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর জাকির হোসেন বাবুল, আদিবাসী নেত্রী আগস্টিনা চিছাম প্রমুখ৷
শুক্রবার সকালে দেবতাদের পূজার মাধ্যমে উত্সব শুরম্ন হয়৷ এতে ‘আমুয়া’, ‘রুগালা’র মতো ধর্মীয় আচার পালন করা হয়৷ দুপুরের বিরতির পর শুরু হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান৷ এতে নিজস্ব ভাষায় গান গেয়ে শোনান গারো শিল্পীরা৷ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের বিশেষ আকর্ষণ ছিল গারোদের ঐতিহ্যবাহী জুম নাচ৷
ওয়ানগালা একই সঙ্গে ধর্মীয় ও সামাজিক উত্সব৷ ওয়ানগালা উত্সব পাহাড়ি জুমচাষকে কেন্দ্র করে উদযাপিত হয়ে থাকে৷ নতুন ফসল তোলার পরে নকমা (গ্রাম প্রধান) সবার সঙ্গে আলোচনা করে অনুষ্ঠানের তারিখ নির্ধারণ করেন৷ এক যুগ ধরে প্রতিবছর নভেম্বর-ডিসেম্বর মাসে ঢাকায় বসবাসরত গারোরা এ উত্সব আয়োজন করছে৷উত্সব উপলক্ষে বনানী মডেল হাইস্কুল প্রাঙ্গণে সমবেত হয় ঢাকায় বসবাসরত কয়েক হাজার গারো আদিবাসী৷ শহুরে জীবনের কর্মব্যস্ততার ফাঁকে দিনভর তারা নিজেদের মতো করে আনন্দে মেতে থাকে৷ বিদ্যালয়ের মাঠে গড়ে ওঠা অস্থায়ী খাবারের দোকানে ঘুরে ঘুরে স্বাদ নেয় নিজেদের ঐতিহ্যবাহী নানা পদের খাবারের৷ কেউ কেউ বাসায় খাবার জন্য কিনে নেন জুমের আলু, শামুক, কাঁকড়া, কুচিয়া ৷