মঙ্গলবার ● ৮ নভেম্বর ২০১৬
প্রথম পাতা » জনদুর্ভোগ » বিশ্বনাথ-রামপাশা- সড়কের বেহাল দশা
বিশ্বনাথ-রামপাশা- সড়কের বেহাল দশা
মো. আবুল কাশেম,বিশ্বনাথ ( সিলেট ) প্রতিনিধি :: (২৪ কার্তিক ১৪২৩ বাঙলা : বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৬.১২মি.) সিলেটের বিশ্বনাথ-রামপাশা-লামাকাজী সড়কটি যথা সময়ে সংস্কার কাজ না করায় এখন বেহাল দশায় পরিণত হয়েছে৷
বিশ্বনাথ থেকে রামপাশা পর্যন্ত সংস্কার কাজ করা হলেও বছর ঘুরতে না ঘুরতেই দশদল এলাকায় ফের সৃষ্টি হয়েছে বড় বড় গর্ত৷ ফলে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে জনসাধারণকে৷
জানা গেছে, বিশ্বনাথ উপজেলার জনগুরম্নত্বপূর্ণ ‘বিশ্বনাথ-রামপাশা-লামাকাজী’ সড়কটি যথসময়ে সংস্কার কাজ না হওয়ায় সড়কের বিভিন্ন স্থানে সৃষ্টি হয়েছে বড় বড় গর্তের৷ ২০১৫ সালে বিশ্বনাথ থেকে ৩ কিলোমিটার রাস্তা সংস্কার কাজ করা হলেও এখনো রয়ে গেছে এই সড়কের প্রায় ১৩ কিলোমিটার সংস্কার কাছের বাকি৷ সড়কে থাকা গর্তগুলোতে পানি জমে প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা৷ গত বছর রশিদপুর থেকে সড়কটির প্রথম ছয় কিলোমিটার অংশে সংস্কার কাজ সম্পন্ন হয়, তবে অধিক ক্ষতিগ্রস্থ অংশে কোনো সংস্কার কাজ করা হয়নি বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর৷
এলাকাবাসীর অভিযোগ, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সড়কটির এমন বেহাল দশায় দেখেও না দেখার ভান করছেন৷ সড়কের বিভিন্ন স্থানে কার্পেটিং উঠে গিয়ে সৃষ্টি হয়েছে বড় বড় গর্ত৷ ফলে এই সড়কে প্রতিনিয়ত ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা৷ দেখলে মনে হয়, সড়কটি যেন মাছ চাষের উপযোগী৷ এ সড়কটির বেহাল দশার ফলে চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন শিক্ষার্থী ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসা-যাওয়াকারী রোগীরা৷
সওজ সূত্রে জানা গেছে, ২০১৩ সালের মে মাসে প্রায় সাড়ে তিন কোটি টাকা ব্যয়ে সড়কটির ‘বর্ধিতকরণ ও সংস্কার কাজ’ শেষে উদ্বোধন করা হয়৷ তবে উদ্বোধনের ১০-১৫ দিন পর থেকেই সড়কের বিভিন্ন অংশে গর্ত ও ভাঙন সৃষ্টি হয় বলে অভিযোগ স্থানীয়দের৷
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সড়কের দুই পাশে আটটি প্রাথমিক বিদ্যালয়, দু’টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, একটি কলেজ, দু’টি মাদরাসা, অসংখ্য মসজিদ, মত্স্য ও কৃষি খামার রয়েছে৷ উপজেলার চারটি ইউনিয়নের পাশাপাশি ছাতকসহ সুনামগঞ্জের বিভিন্ন উপজেলার মানুষও ওই সড়কে যাতায়াত করেন৷ ছাতকস্থ দু’টি বৃহত্তম সিমেন্ট কোম্পানীর ভারী যানবাহনও চলাচল করে ওই সড়ক দিয়ে৷ তারপরও জনগুরম্নত্বপূর্ণ সড়কটি সংস্কার হচ্ছে না৷ শিগগিরই সড়কগুলোর সংস্কার কাজ করে জনসাধারণের দুর্ভোগ লাঘব করার জন্য সংশিস্ন্লষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ এবং বর্তমান সরকারের প্রতি আহবান জানিয়েছেন এলাকাবাসী৷
অটোরিকশা চালক (সিএনজি) আমির আলী সিএইচটি মিডিয়া প্রতিনিধিকে বলেন, পেটের কারণে ঝুঁকি নিয়ে আমাদেরকে ওই সড়কে যাতায়াত করতে হচ্ছে৷ এতে আমরা (চালক) আর্থিক, মানসিক ও শারীরিক ক্ষতির শিকার হচ্ছি৷
রামাপাশা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এডভোকেট মোহাম্মদ আলমগীর সিএইচটি মিডিয়া প্রতিনিধিকে বলেন, সড়কটির বেহালদশার কারণে এলাকাবাসী চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন ৷ দ্রুত সড়কটির সংস্কার কাজ সম্পন্ন না হলে জনদুর্ভোগ আরোও বাড়বে৷