বুধবার ● ৯ নভেম্বর ২০১৬
প্রথম পাতা » অপরাধ » স্কুলে এসে মাটি কাটতে বাধ্য হলো শিশু শিক্ষার্থীরা
স্কুলে এসে মাটি কাটতে বাধ্য হলো শিশু শিক্ষার্থীরা
ঈশ্বরদী প্রতিনিধি :: স্কুলে পড়ালেখা করতে এসে প্রধান শিক্ষকের নির্দেশে কোদাল ডালি নিয়ে মাটি কাটার মত শক্ত কাজ করতে বাধ্য হলো শিশু শিক্ষার্থীরা৷ ক্লাশ চলাকালীন সময়ে স্কুলের বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থীদের দিয়ে রিতিমত শ্রমিকের কাজ করানোর মতো ঘটনায় এলাকায় ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে৷ উপজেলার সাঁড়া ইউনিয়নের আসনা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৫ নভেম্বর শনিবার এ ঘটনা ঘটে৷ শিক্ষার্থীরা স্কুলে আসার পর প্রধান শিক্ষিকা তহমিনা খাতুন তাদের ক্লাশে বই রেখে মাটি কাটার কাজ করাতে বাধ্য করান৷
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, স্কুলের আঙ্গিনায় পড়ে থাকা মাটি কাটার কাজ করানো হয় কোমলমতি ওই শিশু শিক্ষার্থীদের দিয়ে৷ এ ঘটনায় ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক তহমিনা খাতুনের প্রতি অভিভাবক ও সচেতন মহল ৰোভ প্রকাশ করেছেন৷ স্কুল সূত্র জানায়, আসনা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সৌন্দর্য বর্ধনের জন্য স্কুল আঙ্গিনায় ফুলের বাগান করা হচ্ছে৷ এজন্য ট্রাক্টরে করে আনা হয়েছে মাটি৷ সেই মাটি সরানোর জন্য শ্রমিক না নিয়ে স্কুলের কোমলমতি শিশু শিক্ষার্থীদের দিয়ে মাটি কাটার কাজটি করানো হয়েছে৷ শিক্ষার্থীরা জানায়, তাদের বেতের ভয় দেখিয়ে কষ্টদায়ক এই কাজটি করানো হয়৷ নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক শিক্ষার্থী জানান, তাদের মারের ভয় দেখিয়ে ওই মাটি কাটার কাজটি করানো হয়েছে৷ শিক্ষার্থীরা জানায় দু’একদিন পরপরই তাদের দিয়ে স্কুলের মাঠে পড়ে থাকা নোংরা-আবর্জনা ও ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কাগজ ও আগাছা পরিস্কার করানো হয়৷ কাজ করার ভয়ে অনেক শিক্ষার্থীরা স্কুলে যাওয়া আসা করতেও অনিহা সৃষ্টি হয়েছে৷ অভিভাবক মাসুম রেজা এসব ঘটনার তীব্র সমালোচনা করে বলেন, আমরা আমাদের সনত্মানকে স্কুলে পাঠিয়েছি পড়াশোনা করানোর জন্য, শ্রমিকের কাজ করার জন্য নয়৷ অথচ প্রধান শিক্ষিকা আমাদের সেই শিশু সনত্মানদের দিয়ে শ্রমিকের কাজ করিয়ে চরম অন্যায় করেছেন৷ আমরা এর উপযুক্ত বিচার দাবী করছি৷ এবিষয়ে স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা তহমিনা খাতুন বলেন, স্কুলে ফুলের বাগান করার জন্য মাটি আনা হয়েছে৷ সেই মাটি চুরি হয়ে যাচ্ছিল, তাই শিক্ষার্থীদের দিয়ে মাটি সরানো হয়েছে৷ উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার কানিজ ফাতেমা এ ঘটনা সম্পর্কে বলেন, বিষয়টি শুনেছি, যদি ঘটনা সত্যি হয় তবে এ ঘটনার তদনত্ম করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে৷