বুধবার ● ৯ নভেম্বর ২০১৬
প্রথম পাতা » অর্থ-বাণিজ্য » ঐতিহাসিক মহাস্থান হাটের বেহাল দশা
ঐতিহাসিক মহাস্থান হাটের বেহাল দশা
আল আমিন মন্ডল,বগুড়া প্রতিনিধি :: (২৫ কার্তিক ১৪২৩ বাঙলা : বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৭.০৭মি.) উত্তরাঞ্চলের সবচেয়ে বড় সবজি হাট বগুড়া শিবগঞ্জে’র ঐতিহাসিক মহাস্থান হাট৷ হাটে শীতের সবজি’র সমারাহ হলেও খুচরা বাজারে দাম বেশী৷ আর সেই হাটের এখন বেহাল দশা৷
জানাযায়, মহাস্থান হাটে শীতকালিন মৌসুমে সবজি’র দাম পাইকারী ও খুচরা বাজারের মধ্যে তুলনামূলক বেশী হয়ে থাকে৷ হাট-বাজারে ফুলকপি ৮শত থেকে ১হাজার টাকা প্রতিমন যা খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৩৫থেকে ৪০টাকা কেজি, পাতাকপি শত করা ১৮শত থেকে ২হাজার টাকা খুচরা বাজারে প্রতিটি পাতাকপি ২৫থেকে ৩০টাকা৷ বরবটি কালাই ৮শ থেকে ১হাজার টাকা মন খুচরা বাজারে ৩০থেকে ৩৫টাকা কেজি৷ মুলা ৭শত থেকে ৮শত টাকা মন খুচরা বাজরে ২৫থেকে ৩০টাকা কেজি, লাল শাক আঁটি শত করা ৪শত থেকে ৫শত টাকা খুচরা বাজারে প্রতি আঁটি ৭থেকে ৮টাকা৷ বেগুন ৮শত থেকে ৯টাকা মন খুচরা বাজারে ৪০টাকা কেজি, তরকারি কলা প্রতি হালি ৮থেকে ১০টাকা খুচরা বাজারে ২৫থেকে ৩০টাকা হালি৷
হাট-বাজারে সরকারী ভাবে মনিটরিং না থাকায় স্বল্প আয়ের মানুষগুলো শীতকালিন কাঁচা শাক সবজি ক্রয় করতে হিমশিম খাচ্ছে৷ ব্যবসায়ীরা জানান, প্রতি বস্তা কাঁচামাল ক্রয় করার পর খাজনা-লেবার (শ্রমিক) খরচ ও রাস্তায় পুলিশি ও শ্রমিকদের চাঁদা দিতে আমরা হিমশিম খাচ্ছি৷
সরকারী ভাবে নির্ধারন করা খাজনার চাইতে হাটগুলোতে বেশি খাজনা গ্রহণ করা হচ্ছে বলে তাঁরা অভিযোগ করেন৷
এ ব্যাপারে মহাস্থান হাট পরিচালনা কমিটির সদস্য আলহাজ্ব জাহিদুর রহমান, আলহাজ্ব আজমল হোসেন ও মোশারফ হোসেন সিএইচটি মিডিয়া প্রতিনিধিকে জানান, গতবছরে মহাস্থান হাট ইজারা ছিল প্রায় আড়াই কোটি টাকা৷ এবছরে হাট ইজারা নেওয়া হয়েছে প্রায় পনে চার কোটি টাকা৷ আমরা সরকারী নির্দেশনা অনুযায়ী খাজনা আদায় করছি৷
ব্যবসায়ীরা সিএইচটি মিডিয়া প্রতিনিধিকে আরো জানান, এতো টাকা হাট ইজারা হলেও মহাস্থান হাটের কোন উন্নয়ন হচ্ছে না৷ পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা পর্যপ্ত নেই৷ মাছ বাজারে ক্রেতা-বিক্রেতাদের জায়গা ‘খানা-খন্দ’কে ভরা৷ নেই ব্যবসায়ীদের বিশ্রামাগার৷ হাটের এসব চলমান সমস্যাগুলো দ্রুত সমাধানে হাট পরিচালনা কমিটি ও প্রশাসনের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ভুক্তভোগীরা ৷