শিরোনাম:
●   ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে তরুণের আত্মহত্যা ●   দ্রুত বাজার নিয়ন্ত্রণের ডাক দিয়েছে গণতন্ত্র মঞ্চ ●   ভোটকেন্দ্রে শূন্যভোটের মাধ্যমে পার্বত্যবাসী ফ্যাসিস্ট হাসিনাকে প্রত্যাখ্যান করেছে ●   ফ্যাসিবাদের প্রেতাত্মারা নানা সুরতে আবির্ভুত হওয়ার পাঁয়তারা করছে ●   কাউখালীতে উইভ এনজিওর অবহিতকরণ সভা ●   খাগড়াছড়িতে ইত্তেফাকের ৭২ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত ●   বেগম রোকেয়া এ্যাওয়ার্ড পেলেন সাংবাদিক সাব্বির ●   বারইয়ারহাট ঔষধ ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি ফারুক,সম্পাদক ইউসুফ ●   দীঘিনালায় গলায় ফাঁস দেয়া যুবকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার ●   ট্রাক্টরের চাকায় পিষ্ট হয়ে মা নিহত, ছেলে আহত ●   পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের পরিচালনা বোর্ড ২য় সভা অনুষ্ঠিত ●   রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের মাসিক সভা অনুষ্ঠিত ●   মোরেলগঞ্জ উপজেলা প্রেসক্লাবের কমিটি গঠন ●   মানিকছড়িতে ট্রাকের নীচে মোটরসাইকেল আরোহীর মৃত্যু ●   আল ফালাহ ইসলামি একাডেমীর সবক প্রদান অনুষ্ঠান ●   ১১ দফা অবহিতকরণে আত্রাইয়ে আলোচনা সভা ●   পার্বতীপুর রেলওয়ে ইর্য়াডের আম গাছে যুবকের আত্মহত্যা ●   রংধনু ক্লাবের কার্যকরী পরিষদ গঠিত ●   কাউখালী তাহেরিয়া রশিদা সুন্নিয়া দাখিল মাদরাসার সভা ●   পাকুন্দিয়ায় ইয়ুথ পিস অ্যাম্বাসেডর গ্রুপ গঠিত ●   বৈরী আবহাওয়ায় ও শীতের তীব্রতায় বাড়ছে কৃষকের দুশ্চিন্তা ●   কোন হটকারিতায় গণঅভ্যুত্থানের অর্জন নষ্ট করা যাবেনা ●   তরফভাইখাঁ সমাজকল্যাণ পরিষদের উদ্যোগে শীতবস্ত্র বিতরণ ●   মিরসরাইয়ে শীতার্তের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ ●   ঈশ্বরগঞ্জে জিয়াউর রহমান স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্টের উদ্বোধন ●   লংগদু এস এস সি পরীক্ষার্থীদের শিক্ষা সামগ্রী বিতরন ●   ঐক্যমতের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে ২০২৫ এর মধ্যেই জাতীয় নির্বাচন সম্ভব ●   হালদা থেকে বিপন্ন গাঙ্গেয় প্রজাতির মৃত ডলফিন উদ্ধার ●   খাগড়াছড়ির আলুটিলায় পর্যটকবাহী বাস উল্টে আহত-২০ ●   পানছড়িতে লোগাং জোন এর অনুদান সামগ্রী প্রদান
রাঙামাটি, বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১ পৌষ ১৪৩১



CHT Media24.com অবসান হোক বৈষম্যের
শনিবার ● ১২ নভেম্বর ২০১৬
প্রথম পাতা » উপ সম্পাদকীয় » ইউএনডিপি-সিএইচটিডিএফ ২০১৭ সাল থেকে আবার পার্বত্য অঞ্চলে কাজ করার সরকারের অনুমোদন পেতে যাচ্ছে
প্রথম পাতা » উপ সম্পাদকীয় » ইউএনডিপি-সিএইচটিডিএফ ২০১৭ সাল থেকে আবার পার্বত্য অঞ্চলে কাজ করার সরকারের অনুমোদন পেতে যাচ্ছে
শনিবার ● ১২ নভেম্বর ২০১৬
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

ইউএনডিপি-সিএইচটিডিএফ ২০১৭ সাল থেকে আবার পার্বত্য অঞ্চলে কাজ করার সরকারের অনুমোদন পেতে যাচ্ছে

---নির্মল বড়ুয়া মিলন :: দাতা সংস্থা জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসুচী (ইউএনডিপি-সিএইচটিডিএফ) ২০১৭ সাল থেকে আবার পার্বত্য অঞ্চলে নতুন ভাবে কাজ করার সরকারের অনুমোদন পেতে যাচ্ছে। গতবার পাহাড়ে তাদের কার্যক্রম শুরু করার পর থেকেই পার্বত্য চট্টগ্রাম নিয়ে ষড়যন্ত্রের একটি নতুন মাত্রা যোগ হয়েছিল। পার্বত্য চট্টগ্রামের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর উন্নয়নের জন্য ইউএনডিপি’র (জনগোষ্ঠীর উন্নয়ন) নামে প্রকল্প বাস্তবায়নের কথা থাকলেও বাস্তবে ঘটছে তার বিপরীত। অগ্রাধিকারের নামে ইউএনডিপি’র বিভিন্ন উচ্চ পদে বসে ১টি সম্প্রদায়ের একটি চিহ্নিত গোষ্ঠী চালিয়ে যাচ্ছে তাদের নানামুখী ভয়াবহ বাংলাদেশ বিরোধী ষড়যন্ত্র। পাহাড়ের ক্ষুদ্র নৃ- গোষ্ঠীর মধ্যে চাকমা সম্প্রদায়ের লোকরাই অন্যান্যদের চেয়ে অধিক সচেতন, শিক্ষিত ও স্বচ্ছল। অথচ দেখা গেছে উন্নয়ন বঞ্চিত বাঙ্গালীসহ অন্যান্য ক্ষুদ্র নৃ- গোষ্ঠীকে বাদ দিয়ে ইউএনডিপি চারটি পরিবারের লোজজনকে (জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমা সন্তু লারম, ব্যারিষ্টার দেবাশীষ রায়, দীপংকর তালুকদার ও প্রসনজিৎ চাকমা) একচেটিয়া সুবিধা ভোগী বানিয়েছে। পিসিজেএসএস এর নেতা – কর্মীদের সার্বিক উন্নয়নে প্রকল্প গ্রহণ এবং বাস্তবায়ন করেছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলে কর্মরত ইউএনডিপির বড় থেকে ছোট সকল কর্তাই চারটি পরিবারের সদস্য এবং ১টি সম্প্রদায়ের। ফলে প্রকল্প গ্রহণ ও বাস্তবায়নের ক্ষেত্রেও নেয়া হয় বৈষম্যনীতি। পাহাড়ের অন্যান্য সম্প্রদায়, যেমন : ত্রিপুরা, মারমা, তনচংগা, চাক, পাংখোয়া, লুসাই, অহমিয়া, মুরুংসহ ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অন্যান্য জনগোষ্ঠীর মানুষদের জীবন জীবিকার মান দেখলেই তা স্পষ্ট হয়ে উঠে। ক্ষুদ্র নৃ- গোষ্ঠীর অন্যান্য সম্প্রদায়ের মানুষ পুর্বে যেমন ছিলো বর্তমানে আরো অধিক দারিদ্রসীমার নীচে বসবাস করছে। বাবুদের ইশারায় ইউএনডিপির বিভিন্ন প্রকল্পে কর্মকর্তা কর্মচারীদের ৯০ ভাগই নিয়োগ পেয়ে থাকে চার পরিবারের লোকজন।
ইউএনডিপি পার্বত্য চট্টগ্রামে উন্নয়নের জোয়ার বয়ে দেয়ার কথা প্রচার করলেও বাস্তবে খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, ইউএনডিপির প্রতিটি প্রকল্পের অর্ধেক বরাদ্দ খরচ হয়ে থাকে জনবল, জ্বালানী খাতে, যোগাযোগ ও যানবাহন খাতে। অবকাঠামোগত প্রকল্প নাই, অধিকাংশই সভা, সেমিনার, বিদেশ ভ্রমণ, কনসালটেন্সী, ওর্য়াকশপসহ অদৃশ্যখাতে। তারা যে পাবত্য অঞ্চলে ২০০৫ থেকে ২০১৫ সাল পযন্ত উন্নয়ন মূলক কাজ করেছেন তার মধ্যে দৃশ্যমান কোন কাজ তারা (ইউএনডিপি-সিএইচটিডিএফ) সরকারের বিভিন্ন সভায় দেখাতে পারেন নাই। প্রকল্পগুলির বাস্তবায়ন হয়ে থাকে ১টি জনগোষ্ঠীর নিয়ন্ত্রিত হাতেগোনা কয়েকটি স্থানীয় এনজিওর মাধ্যমে। এভাবেই ইউএনডিপি’র পরিকল্পিত সহযোগিতায় এগিয়ে যাচ্ছে শুধু ১টি সম্প্রদায় আর স্বপ্ন দেখছে পাবত্য অঞ্চল জুম্ম ল্যান্ড নামে একটি স্বাধীন পৃথক রাষ্ট্রের। সবার চোখ ফাঁকি দিয়ে চলছে বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব বিরোধী ভয়াবহ গোপন মিশন ‘ভিশন-২০৩০’। সুদুরপ্রসারী এই ষড়যন্ত্রের অংশ হিসাবে ভারতের ত্রিপুরা, মিজুরাম ও অরুনাচল থেকে দেড় লাখ ক্ষুদ্র নৃ- গোষ্ঠীকে বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রামে পুশইন করেছে এদের দিয়ে গোপন তৎপরতা চলছে। ইউএনডিপির বিভিন্ন প্রকল্পে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে জায়গা করে নেয়া পার্বত্য চট্টগ্রামের ১টি সম্প্রদায়ের এক শ্রেণীর উচ্চ শিক্ষিত স্বাধীনতা লোভী বাবুদের অতীত বাসনারই নতুন ফসল পুশইন করার প্রতিদিন নতুন নতুন ভাবে বসতি স্থাপন এর ষড়যন্ত্র।
পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে বৌদ্ধদের উচ্ছেদ করে ও বৌদ্ধধমাবলম্বীদের ধামান্তরীত করে পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলকে খৃষ্টান অধ্যুষিত অঞ্চল বানানো ও ইউএনডিপি’র মতো বিতকিত ১টি দাতা সংস্থা পার্বত্য অঞ্চলে তাদের স্থায়ী বসতি গড়া। এই কারনে দাতা সংস্থা জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসুচী (ইউএনডিপি-সিএইচটিডিএফ) ২০১৭ সাল থেকে আবার পার্বত্য অঞ্চলে নতুন ভাবে কাজ করার জন্য সরকারের অনুমোদন পেতে বিভিন্ন দেশে তাদের গোপন তৎপরতা ও ষড়যন্ত্রের অংশ।
ইউএনডিপিতে কর্মরত উচ্চ ও নিম্ন পদস্থ নির্ভরযোগ্য অনেক সুত্রেই এই তথ্য পাওয়া গেছে।
ইউএনডিপি’র কর্মকর্তারাই ক্ষুদ্র নৃ- গোষ্ঠীকে বর্তমান ও ভবিষ্যৎ সুযোগ সুবিধার কথা বলে ভারতের ত্রিপুরা, মিজুরাম ও অরুণাচল থেকে পার্বত্য চট্টগ্রামে আনার চেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে। পার্বত্য চট্টগ্রামে ১টি সম্প্রদায়ের একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা, আধিপত্য এবং কোন এক সময় পৃথক রাষ্ট্রের স্বপ্নই তাদের ষড়যন্ত্রের এই পথে বেগবান করে তুলছে প্রতিদিন। এই স্বপ্ন দেখার পেছনে রয়েছে বহুমূখী উপাদান। নানামুখী সুযোগ সুবিধা আর সাহায্য সহযোগিতা পেয়ে সেই স্বপ্নের রাষ্ট্র দুর্বার গতিতে এগিয়ে চলছে ক্ষুদ্র নৃ- গোষ্ঠীকে বর্তমান ও ভবিষ্যৎ প্রজন্ম (বিশেষ করে চাকমা সম্প্রদায়ের একটি অংশ) এখানে উল্লেখ করা জরুরী পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলে চাকমা সম্প্রদায়ের বড় ১টি বড় অংশ ইউএনডিপি’র কাজে সন্তুষ্ট নয় । কারণ ইউএনডিপি’র মতো দাতা সংস্থার কোন কমকান্ডে প্রত্যন্ত অঞ্চলের সাধারন ক্ষুদ্র নৃ- গোষ্ঠী জীবন - জীবিকার উন্নয়ন হয়নি।
সরকারী বেসরকারী বিভিন্ন মাধ্যমে জানা গেছে, ইউএনডিপির উঁচু পদে থাকা ১টি বিশেষ গোষ্ঠীর কর্তারাই গোপন যোগাযোগের মাধ্যমে ২য় বারের মত বর্তমান সরকার ক্ষমতাসীন হবার পর থেকে ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে দিয়ে টেলিফোন সংলাপের মাধ্যমে বাংলাদেশী পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ জানিয়ে আসছে ত্রিপুরা, মিজুরাম ও অরুণাচলে থাকা ক্ষুদ্র নৃ- গোষ্ঠীর লোকজনকে পার্বত্য চট্টগ্রামে ফিরিয়ে আনতে।
এছাড়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরকালে ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে আলোচনা করে এবং বাংলাদেশী পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে উদ্যোগ গ্রহণের আহবান জানান। এরপর বাংলাদেশের পক্ষ থেকে ইতিবাচক সাড়া না পেয়ে অবশেষে ইউএনডিপি ও চারটি পরিবারের কর্তাদের যোগসাজসে সেখানকার ক্ষুদ্র নৃ- গোষ্ঠীর লোকজনকে অনেকটা স্বেচ্ছায় পুশইনের পরিকল্পনা করা হয়।
পাহাড়ের ক্ষুদ্র নৃ- গোষ্ঠীর ছাত্রছাত্রীদের বিশেষ কোটার সুবাদে দেশ-বিদেশের অষ্টেলিয়াসহ বিভিন্ন উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে লেখাপড়ার সুযোগ পেয়ে সহজ পরিশ্রমে উচ্চতর ডিগ্রী নিচ্ছে ক্ষুদ্র নৃ- গোষ্ঠীর ছাত্ররা। এভাবে বিভিন্ন দেশে লেখাপড়ার পাশাপাশি পার্বত্য চট্টগ্রামে ১টি সম্প্রদায়ের ‘অবহেলিত নির্যাতিত ও নিগৃহীত জীবনযাপনের’ কল্পকাহিনী ছড়িয়ে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের সহযোগিতা ও সহানুভুতি‘ আদায় করছে। বাস্তবতা হচ্ছে পার্বত্য চট্টগ্রামে বাঙালীসহ অন্য সকল ক্ষুদ্র নৃ- গোষ্ঠী সম্প্রদায় বৈষম্যের স্বীকার ১টি সম্প্রদায় ও আঞ্চলিক ১টি রাজনৈতি দলের দ্বারা শোষিত, নিগৃহীত, নির্যাতিত। ১টি সম্প্রদায় পাহাড়ের ক্ষুদ্র নৃ- গোষ্ঠী লোকজন উচ্চশিক্ষিত এই অংশটিই একসময় ইউএনডিপিতে মোটা বেতনের চাকরী পাচ্ছে অনায়াসে।
তথ্যানুসন্ধানে জানা যায়, ভারতের উত্তর পশ্চিম অংশের চীনের সাথে বিরোধীয় সীমান্ত এলাকা অরুণাচল রাজ্যে বসবাসকারী প্রায় আড়াই লাখ পাহাড়ের ক্ষুদ্র নৃ- গোষ্ঠীর মধ্য থেকে দেড়লাখ ক্ষুদ্র নৃ- গোষ্ঠীকে বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রামে পুশব্যাক করতে জোর তৎপরতা চালাচ্ছে ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। পার্বত্য চট্টগ্রামে ইউএনডিপি’র কিছু ক্ষুদ্র নৃ- গোষ্ঠীর ব্যক্তিত্ব এবং কলকাতায় স্থায়ীভাবে বসবাস করছে এমন কয়েকজন বিশিষ্ট  ক্ষুদ্র নৃ- গোষ্ঠীর ব্যক্তি ভারতীয় পররাষ্ট মন্ত্রণালয়কে এ কাজে সহযোগিতা করছে। ভারত সরকার এ সকল নাগরিককে একসময় আন্দামান দ্বীপপুঞ্জের নিকোবরে পাঠাতে জোর চেষ্টা চালিয়েছিলো। কিন্তু সেখানকার বাসিন্দারা আন্দামানে না গিয়ে অরুণাচল রাজ্যেই বসবাস করছে। এসব ক্ষুদ্র নৃ- গোষ্ঠীদেরকেই পার্বত্য চট্টগ্রামে পুশইন করতে গোপন তৎপরতা চালাচ্ছে ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। বেশকিছু পরিবার ইতিমধ্যে ভারত বাংলাদেশের অরণ্যঘেরা পাহাড়ি সীমান্ত এলাকা খাগড়াছড়ি জেলার পানছড়ি উপজেলার দুদুকছড়া এবং রাঙামাটি জেলার সাজেক ইউনিয়নের সংরক্ষিত বনাঞ্চল দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। তারা রাঙামাটি শহরে স্থানীয় নাগরিক হিসাবে গতবার ভোট প্রয়োগ করেছে। এসকল পরিবার স্থানীয় পাহাড়ের ক্ষুদ্র নৃ- গোষ্ঠীর বাসিন্দাদের সাথে মিশে যাচ্ছে নিকট আত্মীয় স্বজনের নাম দিয়ে।
সূত্রে জানা যায়, ভারত দাবী করছে, ১৯৪৭ সালে ভারত বিভাগের সময়, ১৯৬০ সালে কাপ্তাই বাঁধে উদ্বাস্তু হওয়া এবং ১৯৮৬ সালে ভয়াবহ সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার পর এসকল নাগরিক বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে গোপন পথে কয়েক দফায় এসে অরুণাচল রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে বসতি গাড়ে। ভারত সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সেখানকার আইন শৃংখলা বাহিনী এসকল পরিবারকে চীনের সাথে সীমান্ত বিরোধ আছে এমনসব এলাকাতে বসতি স্থাপন করায়। এক পর্যায়ে এসকল পরিবারকে ভারত সরকার আন্দামান দ্বীপে নিতে চাইলে এরা তাতে অস্বীকিৃত জানায়। এছাড়া এসকল পরিবার ভারতের নাগরিকত্ব পেতে আশির দশকে ভারতীয় আদালতে আবেদন করলে আদালত দীর্ঘ শুনানীর পর এসকল নাগরিকদের মধ্যে যারা ভারতে জন্ম নিয়েছেন তাদেরকে নাগরিকত্ব দিতে রাজ্য সরকারকে নির্দেশ দেয়। রাজ্য সরকার কিছু লোককে নাগরিকত্ব দিয়ে নামমাত্র আদালতের নির্দেশ পালন করেন।
অপরদিকে, আন্দামানে নিতে কয়েক দফায় ব্যর্থ হয়ে ভারত সরকার পার্বত্য চট্টগ্রামের কিছু ক্ষুদ্র নৃ- গোষ্ঠী ব্যক্তির পরামর্শে এসব পরিবারকে ভারতের নাগরিকত্ব না দিয়ে বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রামে পুশব্যাক করে। এসকল ক্ষুদ্র নৃ- গোষ্ঠীর পরিবার কয়েক যুগেও ভারতের নাগরিকত্ব না পাওয়া এবং পার্বত্য চট্টগ্রামে আসলে ইউএনডিপির মাধ্যমে বিশেষ বিশেষ সুযোগ সুবিধা পাওয়া যাবে এবং ভারতীয় বাহিনীর বিভিন্ন রকমের চাপে তারা নিজেরাই সংগঠিত হয়ে ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রামে আসতে বিভিন্ন গোপন কূটনৈতিক কৌশলে কার্যক্রম বাস্তবায়ন করেছে। জনৈক মৃণাল ভিক্ষু এই কার্যক্রমের নেতৃত্ব দিয়ে আসছেন বলে জানা গেছে। তার পরিচালনায় “ওয়ার্ল্ড চাকমা নেটওয়ার্ক” নামে একটি ওয়েবসাইটের মাধ্যমে তাদের বিভিন্ন তথ্য আদান প্রদান, পরামর্শ ও সহযোগিতা চাওয়াসহ যাবতীয় কার্যক্রম চলছে বলে জানা গেছে।
এছাড়াও ভারতের বহুল প্রচারিত দ্যা হিন্দু ও আনন্দবাজার পত্রিকায় এ সংক্রান্ত বিষয়ে বেশ কয়েকবার রিপোর্টও প্রকাশ করা হয়েছে বিভিন্ন সময়ে। ২০১৬ সালে দেখা যাচ্ছে ইউএনডিপি-সিএইচটিডিএফ এর সৃষ্টিকৃত এবং দাতা সংস্থার ইউএনডিপি-সিএইচটিডিএফ অর্থ পরিচালিত হিলট্রেক্স হেডম্যান নেটওয়াক নামের সংগঠনটি সরাসরী রাজনৈতিক কর্মসূচি পালন করেছে। যা সিএইচটি মিডিয়া টুয়েন্টিফোর ডটকম এ ২০১৬ সালে প্রকাশিত হয়। অবশ্য পরে ইউএনডিপি’র পক্ষ থেকে সংবাদটি প্রতিবাদও করা হয়েছিল। বিষয়টি ইউএনডিপি-সিএইচটিডিএফ এর অস্বীকার করছে কিন্তু এবার বিষয়টি প্রতিবেদন করে জনসম্মুখে ইউএনডিপি-সিএইচটিডিএফ এর আসল রুপ তুলে ধরছি।
পাবত্য অঞ্চলে দাতা সংস্থার ইউএনডিপি-সিএইচটিডিএফ অথে পরিচালিত প্রায় গাড়ি’র চালক এখন দাড়িওয়ালা। এই সাইন বোড দিয়ে ইউএনডিপি-সিএইচটিডিএফ প্রকাশ করতে চায় বাঙ্গালীরাও এখন তাদের সুবিধা ভোগী। তবে একটি সত্য কথা হচ্ছে দাতা সংস্থা ইউএনডিপি-সিএইচটিডিএফ পার্বত্য অঞ্চলে তাদের কাযক্রম পরিচালনার সুবাদে একশ্রেনীর বাঙ্গালী সুবিধাবাদী লোকজন যাদের কাছে কলকাতা বা দিল্লী দেখার মত ক্ষমতা নাই তারা পার্বত্য অঞ্চলে বিককিত ইউএনডিপি-সিএইচটিডিএফ এর টাকায় স্বপ্নের দেশ আমেরিকা গিয়ে মাসের পর মাস বিলাসিতা করার সুযোগ পেয়েছেন।
ইউএনডিপি-সিএইচটিডিএফ কাগজে কলামে শান্তি প্রতিষ্ঠা ও উন্নয়নের কথা বলেও তারা করেছে অন্য কাজ, তথ্য গোপন করে বিভিন্ন সময়ে নিয়োগ দিয়েছেন সেনাবাহিনীর সাবেক কমকতাদের। যেখানে পার্বত্য অঞ্চলে আমাদের দেশের আইনশৃংখলা বাহিনী নিয়োজিত রয়েছে সেখানে এমন কি প্রয়োজনে ১টি দাতা সংস্থায় সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত অফিসারদের নিয়োগ দেয়া। বিষয়টি বোধগম্য নয়।
উল্লেখ্য, ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দাবী, ১৯৯৭ সালে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির সাথে শান্তিচুক্তি সম্পাদনের পর ভারতে আশ্রিত শরণার্থীদের একটি অংশ অর্থাৎ সন্তু লারমার বিরোধী ক্ষুদ্র নৃ- গোষ্ঠীর প্রীতি – প্রসিত গ্রুপের সমর্থকরা চুক্তিকেও সমর্থন দেয়নি এবং বাংলাদেশেও প্রত্যাবর্তন করেনি। ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, তৎকালীন সময়ে এবিষয়ে বাংলাদেশ সরকারের সাথে আলোচনা করলে দ্বিতীয় দফায় এসকল পরিবারকে প্রত্যাবর্তনের বিষয়ে বাংলাদেশ সরকার সিদ্ধান্ত নেবে মর্মে প্রতিশ্রুতি ছিলো। বাংলাদেশের প্রতিশ্রুতির বিষয়ে ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এই বক্তব্যের কোন তথ্য প্রমাণ আদ্যাবধি খুঁজে পাওয়া যায়নি।
ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আরো দাবী করছে, সে সময়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি কর্তৃক বাংলাদেশ সরকারকে দেয়া ভারতে আশ্রিত শরণার্থী পরিবারের সংখ্যাও সঠিক ছিল না। সরকারকে দেয়া শরণার্থী পরিবারের সংখ্যা প্রত্যাবর্তনকালীন ভারত ছেড়ে না আসায় পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি পার্বত্য চট্টগ্রাম ছেড়ে যায়নি এমন অনেক পরিবারকে ভারতে আশ্রিত দেখিয়ে অভিনব কায়দায় শরণার্থী বানিয়ে বাংলাদেশে প্রত্যাবর্তন করিয়েছেন। এসকল পরিবারকে ভারত মানবিক কারণে আশ্রয়ের কথা বললেও মুলত ভারতের সাথে চীনের বিরোধীয় সীমান্ত এলাকা অরুণাচল রাজ্যে যুগ যুগ ধরে বসবাস করতে দিয়ে এসব ক্ষুদ্র নৃ- গোষ্ঠীর লোকজনকে মানবঢাল হিসেবে ব্যবহার করেছে মাত্র। তবে দীর্ঘ কয়েক যুগের ব্যবধানেও এসকল নাগরিকদের সে দেশের নাগরিকত্ব দেয়নি ভারত।
এছাড়াও সেখানে বসবাসকারীদের অধিকাংশরাই বিভিন্ন বেসরকারী প্রতিষ্ঠানে বিভিন্নভাবে কর্মরত আছেন। আবার অনেকেই বছরের কোন কোন সময় বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রামে আবার কোন কোন সময় থাকেন মিজুরাম ও অরুনাচল রাজ্যে। অনেকেই রয়েছেন এপার ওপারের চোরাচালানের ব্যবসার সাথে জড়িত। পার্বত্য চট্টগ্রামের তিনটি স্থানীয় রাজনৈতিক দল চুক্তি পক্ষের পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (পিসিজেএসএস-সন্তু গ্রুপ), ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ-প্রসিত গ্রুপ) ও সংস্কারপন্থী বলে স্বঘোষিত পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (পিসিজেএসএস-কট্টরপন্থী সুধাসিন্ধু গ্রুপ) অস্ত্র কেনা বেচা,চাঁদাবাজি, ভারতীয় বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সাথে প্রয়োজনীয় যোগাযোগসহ বিবিধ অনৈতিক কাজেও সম্পৃক্ত রয়েছেন এদের অনেকেই। আবার বাংলাদেশে সরকার পরিবর্তনের কারনেও এদের অনেকের বাসভুমির পরিবর্তন ঘটে। বিএনপি সরকার ক্ষমতায় আসলে অনৈতিক কাজে জড়িত এসকল পাহাড়ের ক্ষুদ্র নৃ- গোষ্ঠী লোকজন পাড়ি জমায় ভারতে, আওয়ামী সরকার ক্ষমতায় আসলে আবার পাড়ি দেয় বাংলাদেশে। তাদের অনেকেরই রয়েছে দু’দেশেই বসতবাড়ী, জায়গা জমি ও ভারতীয় রেশন কার্ড।
এছাড়া পার্বত্য চট্টগ্রামের উচ্চবিত্ত ও মধ্যবিত্ত পাহাড়ের ক্ষুদ্র নৃ- গোষ্ঠী পরিবারের অনেক ছেলেমেয়ে এসকল পরিবারের সহযোগিতা নিয়ে লেখাপড়া করছে ভারতের বিভিন্ন নামীদামী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে। কারো কারো নাগরিকত্বসহ নিজ বাড়ীও রয়েছে ভারতে। কথা বলে জানা গেছে, অনেক ক্ষুদ্র নৃ- গোষ্ঠী পরিবারের ছেলেমেয়ে বাংলাদেশে আসতে মোটেও রাজি নয়। এরা বলেন, প্রয়োজনে ভারতে সরকারে সাথে আন্দোলন করে নাগরিকত্ব নিব তবু আগের বিভিষিকাময় জীবনে ফেরৎ যেতে চাই না।

এদিকে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (পিসিজেএসএস), ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট ( ইউপিডিএফ) ও সংস্কারপন্থী পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (পিসিজেএসএস) তিনটি স্থানীয় আঞ্চলিক রাজনৈতিক দলই এসকল ক্ষুদ্র নৃ- গোষ্ঠীর লোকজনকে বাংলাদেশে আনতে গোপনে কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। দাতা সংস্থা ইউপিডিএফ একাজে তাদের জোর তৎপরতা অব্যাহত রাখার জন্য ২০১৭ সাল থেকে ২০৩০ মিশন নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে । একইভাবে পাবত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির সন্তু লারমার দলও তাদের সমর্থন বাড়াতে এসকল নাগরিকদের বাংলাদেশে আসতে বিভিন্ন রকমের সুযোগ সুবিধা আর প্রলোভনের কথা বলছে।
পার্বত্য অঞ্চল নিয়ে গবেষকদের এবং বিশেষজ্ঞদের মতে, ভারতে বসবাসকারী ক্ষুদ্র নৃ- গোষ্ঠীর লোকজনকে পার্বত্য চট্টগ্রামে পুশইন করার গোপন ষড়যন্ত্র প্রতিহত করা, ভারতের ভূখন্ডের ভিতর শান্তি বাহিনীদের ক্যাম্প ধংস করা, পার্বত্যাঞ্চলের সংরক্ষিত বনাঞ্চল এলাকার অরক্ষিত সীমান্ত নিয়ন্ত্রন বুঝে নিতে বাংলাদেশ বর্ডার গাড (বিজিবি)’র পক্ষ থেকে আরো জোরালো ভূমিকা রাখা এবং পাবত্য অঞ্চলে দাতা সংস্থা ইউএনডিপির সকল কার্যক্রম সরকারের পক্ষ শতভাগ বন্ধ করে দেয়া না হলে বাংলাদেশের পাহাড়ের বিশাল অঞ্চল ত্রিপুরা, মিজুরাম ও অরুনাচলবাসীদের সুযোগ সুবিধার নতুন ঠিকানা হবে। স্বাধীনতার লোভে বিদেশী ইশারায় এরাই বিভিন্ন সময়ে অশান্ত করে তুলবে পার্বত্য চট্টগ্রামকে - যা পার্বত্য চট্টগ্রামের বর্তমান ভূমি সমস্যাকে কয়েকগুণ বাড়িয়ে তুলবে। কাজেই সরকারকে অতি গুরুত্ব দিয়ে বিষয়টি জরুরী ভিত্তিতে বিবেচনা করে প্রয়োজনীয় করণীয় নির্ধারণ করে তা বাস্তবায়ন করতে হবে।
এ লক্ষ্যে সরকারকে যে সকল গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ জরুরী ভিত্তিতে বিবেচনা করতে হবে তা তুলে ধরছি :
১. পার্বত্য চট্টগ্রামে এলিট ফোস র‌্যাপিড এক্যাশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব) কে নিয়োজিত করা।
২. বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কর্মকাণ্ড আরো জোরদার করা কারন বেশ কিছুদিন যাবৎ পার্বত্য আঞ্চলিক পরিষদের চেয়ারম্যান হিসাবে জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমা সেনাবাহিনীর সুনামে মূখরিত।
৩. কাপ্তাই হ্রদসহ যেসব গুরুত্বপূর্ণ স্থান থেকে সেনাবাহিনীকে সরিয়ে আনা হয়েছে তা র‌্যাবের ক্যাম্প তৈরী করে তাদের কাছে ফিরিয়ে দিতে হবে।
৪. সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি বন্ধে তিন পার্বত্য জেলার ২৫টি উপজেলায় ও প্রতিটি জেলা সদরে র‌্যাবের কমপক্ষে কোম্পানী স্থাপন করতে হবে।
৫. দ্রুততার সাথে বাংলাদেশ – ভারত এর মধ্যে অচিহ্নিত সীমানা নির্ধারণ করতে হবে এবং কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ সীমানায় ভিওপি স্থাপন করতে হবে।
৬. বিজিবি’র সংখ্যা ও তাদের সদস্যদের জন্য সকল ধরনের ব্যবস্থা বাড়াতে হবে এবং অন্তর্জাতিক সীমান্ত আইন মেনে বিজিবি’র ক্যাম্পের অবস্থান সীমান্তের কাছাকাছি প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
৭. এক কেন্দ্রীক রাষ্ট্র হিসাবে বাংলাদেশের সংবিধানে আঞ্চলিক রাজনৈতিক দলের কোনো স্বীকৃতি নেই। কাজেই তাদের ব্যাপারে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন থেকে সংবিধান অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে হবে।
৮. পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের ন্যায় পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ, রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ,খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ ও বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদ বাঙ্গালীদের মধ্যে থেকে ভাইস চেয়ারম্যান নিয়োগের জন্য পার্বত্য চুক্তি সংশোধন করতে হবে।
৯. পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড, পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ, রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ,খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ ও বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদে (মুসমান,হিন্দু ও বড়ুয়াদের মধ্যে থেকে কমপক্ষে ১জন পুরুষ ও ১জন নারী বাঙ্গালী) সদস্য নিয়োগের জন্য পার্বত্য চুক্তি সংশোধন করে তাতে অন্তর্ভূক্ত করতে হবে।
১০. পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশন আইন ২০০১ (সংশোধন),২০১৬ এর আইন পূণরায় সংশোধন করে পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশনের কমিটিতে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের ভাইস চেয়াম্যান, পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ, রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ,খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ ও বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের বাঙ্গালী ভাইস চেয়ারম্যানদের অন্তর্ভূক্ত বাধ্যতামূক করতে হবে।
তথ্যগত সহযোগিতা নেয়া হয়েছে : পার্বত্য চুক্তি ১৯৯৭,জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসুচী (ইউএনডিপি-সিএইচটিডিএফ) কর্তৃক প্রকাশিত পার্বত্য চট্টগ্রামের উন্নয়নমূলক কাজের উদাহরণ,পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশন আইন ২০০১ (সংশোধন),২০১৬ এর আইন, পার্বত্য নিউজ, ভারতীয় গণমাধ্যমের,পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ, রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ,খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ ও বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদ আইন ও বিভিন্ন সময়ে প্রকাশিত সরকারী গেজেট।
লেখক : নিমল বড়ুয়া মিলন
প্রধান সম্পাদক
সিএইচটি মিডিয়া টুয়েন্টিফোর ডটকম





উপ সম্পাদকীয় এর আরও খবর

পার্বত্য চুক্তির ২৭ বছর : শান্তি চুক্তি পাহাড়ে বসবাসরত সকল জনগোষ্ঠীর অধিকার রক্ষায় সম্পূর্ণ ব্যর্থ পার্বত্য চুক্তির ২৭ বছর : শান্তি চুক্তি পাহাড়ে বসবাসরত সকল জনগোষ্ঠীর অধিকার রক্ষায় সম্পূর্ণ ব্যর্থ
একেএম মকছুদ আহমেদ এর সাংবাদিকতায় ৫৫ বছর :  গণমাধ্যমের ওপর উদ্দেশ্যপ্রণোদিত আক্রমণ, হামলা ও হুমকি বৈষম্যবিরোধী চেতনার পরিপন্থি একেএম মকছুদ আহমেদ এর সাংবাদিকতায় ৫৫ বছর : গণমাধ্যমের ওপর উদ্দেশ্যপ্রণোদিত আক্রমণ, হামলা ও হুমকি বৈষম্যবিরোধী চেতনার পরিপন্থি
বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী মৌলভীবাজারের পাঁচগাঁওয়ের দূর্গাপূজা ও কিছু কথা বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী মৌলভীবাজারের পাঁচগাঁওয়ের দূর্গাপূজা ও কিছু কথা
পার্বত্য চুক্তির ২৬ বছরে পার্বত্য চট্টগ্রামের জনগণ কি-কি বৈষম্যের স্বীকার তা নিয়ে একটি পর্যালোচনা পার্বত্য চুক্তির ২৬ বছরে পার্বত্য চট্টগ্রামের জনগণ কি-কি বৈষম্যের স্বীকার তা নিয়ে একটি পর্যালোচনা
আন্তর্বর্তীকালিন সরকার পাহাড়ের বিষয়ে যেকোনো সিদ্ধান্ত নিলে নিতে হবে গভীর বিচার-বিশ্লেষণের মাধ্যমে আন্তর্বর্তীকালিন সরকার পাহাড়ের বিষয়ে যেকোনো সিদ্ধান্ত নিলে নিতে হবে গভীর বিচার-বিশ্লেষণের মাধ্যমে
সবকিছু কেড়ে নিয়েছে স্বৈরাচারী খুনি হাসিনার আওয়ামীলীগ সবকিছু কেড়ে নিয়েছে স্বৈরাচারী খুনি হাসিনার আওয়ামীলীগ
রাঙামাটিতে ঐক্যবদ্ধ বড়ুয়া সমাজ গড়ে তোলার সম্ভবনার পথ দেখা দিয়েছে রাঙামাটিতে ঐক্যবদ্ধ বড়ুয়া সমাজ গড়ে তোলার সম্ভবনার পথ দেখা দিয়েছে
বর্তমান প্রেক্ষাপটে ১৯০০ সালের রেগুলেশান, (সংশোধিত) ১৯২০ আইনটি পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির পরিপন্থি নয় কি ? বর্তমান প্রেক্ষাপটে ১৯০০ সালের রেগুলেশান, (সংশোধিত) ১৯২০ আইনটি পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির পরিপন্থি নয় কি ?
আগামীতে  কারা দেশ চালাবে ? …সাইফুল হক আগামীতে কারা দেশ চালাবে ? …সাইফুল হক
সীমান্ত সড়ক পশ্চাদপদ পার্বত্য অঞ্চলকে উন্নয়নের স্রোতধারায় একীভূত করেছে সীমান্ত সড়ক পশ্চাদপদ পার্বত্য অঞ্চলকে উন্নয়নের স্রোতধারায় একীভূত করেছে

আর্কাইভ

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)