শনিবার ● ১২ নভেম্বর ২০১৬
প্রথম পাতা » পাবনা » এটিআই শিক্ষার্থীদের বর্ণাঢ্য নবান্ন উত্সব : হারিয়ে যাওয়া বাঙ্গালী কৃষ্টি পালনের আহবান
এটিআই শিক্ষার্থীদের বর্ণাঢ্য নবান্ন উত্সব : হারিয়ে যাওয়া বাঙ্গালী কৃষ্টি পালনের আহবান
ঈশ্বরদী প্রতিনিধি :: (২৮ কার্তিক ১৪২৩ বাঙলা : বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৬.০৭মি.) আধুনিকতার ছোঁয়ায় এবং কালের বিবর্তনে প্রায় হারিয়ে গেছে গ্রামবাংলার নবান্ন উত্সব৷ এখন আর আগের মত নবান্ন উত্সব হয়না বল্লেই চলে ৷ ফলে এখনকার ছেলে মেয়েদের কাছে নবান্ন উত্সব শব্দটিও নতুন বলে মনে হয়৷ এ অবস্থা থেকে বাঙ্গালী সাংস্কৃতিকে রক্ষা এবং এখনকার ছেলে মেয়েদের নবান্ন উত্সব মুখী করে তুলতে আয়োজন করা হয় বিনাধান-১৭’র মাঠ দিবস ও নবান্ন উত্সব৷ ১২ নভেম্বর শনিবার সকাল থেকে প্রায় দিনব্যাপি অনেকটা নিজস্ব উদ্যোগেই ঈশ্বরদী কৃষি প্রশিক্ষন প্রতিষ্ঠানের (এটিআই) অধ্যক্ষ এসএম হাছেন আলী শিক্ষক-শিক্ষিকা ও শিক্ষার্থীদের নিয়ে এ নবান্ন উত্সবের আয়োজন করেন৷
সকালে স্নিগ্ধ রোদে সোনালী ধান ক্ষেত যখন চিকচিক করছিল ,ঠিক তখনই বের করা হয় বর্ণিল ও বাঙ্গালী বধূ সাজসহ নানা সাজে মহিষের গাড়ির র্যালি৷ একই সাথে যোগ করা হয় ব্যানার বেষ্টিত র্যালি ৷ ঢাকঢোলের বাজনায় র্যালিটি প্রতিষ্ঠান থেকে শুরু হয়ে শহর প্রদক্ষিন কালে গোটা শহরের মানুষকে রাস্তায় নেমে আসার আমন্ত্রণ জানায়৷ চিরায়ত বাংলার কৃষ্টি নবান্ন উত্সব কেউই ভুলতে না চাইলেও বয়স্কদের হৃদয়েও আধুনিকতার ছোঁয়ার স্পট ফেলে দিয়েছে ৷ এজন্যই তারাও ঢাকঢোলের বাজনায় নিজেদেরকে চার দেয়ালের মাঝে আটকে রাখতে পারেনি৷ তারা মনে করেছেন,আমরা বাঙ্গালী, বাংলা আমার মা, নবান্ন উত্সব আমাদের কৃষ্টি ৷ বিধায় বয়স্করাও শৃংখলা ভেঙ্গে রাস্তায় বেরিয়ে পড়েন৷ যোগ দেন র্যালিতে ৷ অতীতে এটিআইতে তো নয়ই, ঈশ্বরদীর কোন প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে এধরনের উত্সবের আয়োজন করতে দেখা যায়নি৷ এবারই প্রথম এটিআইয়ের শিক্ষার্থীরা মাঠে ধান লাগিয়ে পরিচর্যা করে উত্পাদনে বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে৷
দুপুরে প্রতিষ্ঠান চত্বরে আয়োজন করা হয় বিনা উদ্ভাবিত উচ্চ ফলনশীল ,স্বল্পজীবনকাল ও ক্ষরা সহিঞ্চু রোপা আমন ধানের জাত বিনা ধান-১৭’র মাঠ দিবস ও নবান্ন উত্সবের আলোচনাসভার আয়োজন করা হয়৷ অধ্যক্ষ এসএম হাছেন আলীর সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য দেন,বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা প্রতিষ্ঠানের মহাপরিচালক ড.মো. শমসের আলী৷
বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্য দেন,কৃষিবিদ হযরত আলী, কৃষিবিদ বিভুতি ভাষণ সরকার এবং আট কৃষিবিজ্ঞাণী ও কৃষি কর্মকর্তাবৃন্দ৷ এর আগে প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের লাগানো ও পরিচর্যায় উত্পাদিত বিনাধানের প্লট থেকে অতিথি ও কর্মকর্তারা ধান কাটা উত্সবের উদ্বোধন করেন৷ বিকালে শিক্ষার্থীদের সমন্বয়ে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়৷