শনিবার ● ১২ নভেম্বর ২০১৬
প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম বিভাগ » শ্রেণীকক্ষের অভাবে মাদরাসার পাঠদান ব্যহত
শ্রেণীকক্ষের অভাবে মাদরাসার পাঠদান ব্যহত
হাসান মাহমুদ, আলীকদম (বান্দরবান) প্রতিনিধি ::(২৮ কার্তিক ১৪২৩ বাঙলা : বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৬.২১মি.) পার্বত্য বান্দরবানের আলীকদমে নয়াপাড়া ছিদ্দিকিয়া দাখিল মাদরাসায় পর্যাপ্ত শ্রেণীকক্ষ না থাকায় নিয়মিত পাঠদান ব্যহত হচ্ছে৷ একাধিক শ্রেণী কার্যক্রম চালাতে হচ্ছে বরান্দায়৷ বাঁশ কাঠের বেড়া দিয়ে নির্মিত ঘরগুলো অতি পুরাতন হয়ে যাওয়ায় পাঠদান ব্যহত হওয়াসহ মাদরাসার নিরাপত্তা বিঘি্নত হচ্ছে প্রতিনিয়ত ৷ এব্যাপারে সংশিস্নষ্ঠ কর্তৃপক্ষের উদাশীনাতাকেই দায়ী করছেন অভিভাবক ও স্থানীয় মহল৷
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, নামে মাত্র একটি সাইন বোর্ড রয়েছে মাদরাসার একপ্রান্তে ঝুলানো৷ যা দেখে বোঝা যায় যে এটি একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান৷ সেখান থেকেই জানা যায় মাদরাসাটির প্রতিষ্ঠাসাল ২০০৮ ৷ কিন্তু মাদরাসাটির বিভিন্ন দিক দেখে বুঝার উপায় নেই যে, প্রতিষ্ঠা পরবর্তী এটির কোন প্রকার সংস্কার হয়েছিল কিনা৷ ভিতরে ঢুকতেই দেখা যায় একজন শিক্ষক বারান্দার ছাত্র-ছাত্রীদের ক্লাস নিচ্ছেন৷ বরান্দার অন্য প্রান্তে রয়েছে আরো একটি শ্রেণী কক্ষ ৷ ভগ্নদশায় নিপতিত অফিস কক্ষে প্রবেশ করে কথা বললাম প্রধান শিক্ষকের সাথে৷ তিনি সিএইচটি মিডিয়া প্রতিনিধিকে জানান, মাদরাসায় বর্তমান ২৫০ জন শিক্ষার্থী এবং ৮ জন শিক্ষক আছে ৷ কিন্তু শ্রেণী কক্ষ আছে মাত্র ৭টি ৷ যার কারণে ২টি শ্রেণীর কার্যক্রম মাদরাসার বারান্দায় পরিচালনা করতে হয় ৷ এছাড়াও প্রতিষ্ঠানের প্রয়োজনীয় জিনিস-পত্রের নিরাপত্তা নেই বললেই চলে৷
অন্যদিকে মাদরাসার শিক্ষকদের মাত্র ৩০০০ টাকা ধার্য্য বেতনও আট মাসের বকেয়া পড়েছে৷ নার্সারী থেকে অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত নয়টি শ্রেণী কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়৷ ছাত্র-ছাত্রীদের কাছ থেকে যত্সামান্য মাসিক ফি নিয়ে প্রতিষ্ঠানটির বিভিন্ন ব্যয়ভার বহন করা হয়৷ কিন্তু এলাকাটি পিছিয়ে পড়া হওয়ার এখানকার মানুষের অর্থনৈতিক অবস্থা ততটা ভাল নয়৷ মাস শেষে গরিব ছাত্র-ছাত্রী অভিভাবকরা শিক্ষকদের বেতনভাতা পরিশোধ করতে হিস সিম খেতে হচ্ছে৷
এবিষয়ে আলীকদম উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কালাম বলেন, এই প্রতিষ্ঠানটিকে একটি আধুনিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পরিনত করার জন্য সকল প্রকার ব্যবস্থা নেব৷ আপাতত উপজেলা পরিষদের পৰ থেকে যথাশীগ্র সম্ভব অন্তত দুটি পাকা শ্রেণীকক্ষ নির্মানের ব্যবস্থা করব৷
মাদরাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি এম কফিল উদ্দিন সিএইচটি মিডিয়া প্রতিনিধিকে বলেন, মাত্র কয়েক দিন পূর্বের কমিটি হয়েছে ৷ পূর্ববর্তী কমিটি শিক্ষকদের বেতন ভাতা বকেয়া করে গেছেন৷ আমরা চেষ্টা করব যত শীগ্র সম্ভব শিক্ষকদের বেতন ভাতা পরিশোধসহ প্রতিষ্ঠানের অবকাঠামোগত উন্নয়ন করতে ৷