রবিবার ● ১৩ নভেম্বর ২০১৬
প্রথম পাতা » প্রধান সংবাদ » সিলেটে বিশ্বনাথের যুবক খুন দাফন সম্পন্ন : মামলা : আটক ১
সিলেটে বিশ্বনাথের যুবক খুন দাফন সম্পন্ন : মামলা : আটক ১
বিশ্বনাথ (সিলেট) প্রতিনিধি :: সিলেট নগরীর সুবিদবাজারে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাতে নিহত নির্মাণ শ্রমিক রাজিকুল ইসলাম রাজু (২২) দাফন সম্পন্ন করা হয়েছে৷ ১২ নভেম্বর শনিবার বাদ আছর নিহতের বাড়ি বিশ্বনাথ উপজেলার সোনাপুর গ্রামে জানাযার নামাজ শেষে পারিবারিক কবরস্থানের তার দাফন সম্পন্ন করা হয়েছে৷
এ ঘটনায় নিহতের বড় ভাই ও বিশ্বনাথ উপজেলার লামাকাজী ইউনিয়নের সোনাপুর গ্রামের মৃত তেরাব আলীর পুত্র তাজুল ইসলাম বাদী হয়ে ৫ জনকে আসামী করে গতকাল শনিবার সকালে সিলেট কতোয়ালী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন৷ যার নং ১৩৷ হত্যাকান্ডের ঘটনায় শনিবার ভোরে এমদাদুল হক নামের একজনকে আটক করেছে কতোয়ালী থানা পুলিশ৷ সে ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার কানিশাইল গ্রামের দুলাল আহমদের পূত্র৷
এদিকে, রাজিকুল ইসলাম রাজু নিহতের ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া বিরাজ করছে৷ রাজু’র মায়ের আহাজারী আর্তনাদে বিশ্বনাথের সোনাপুর গ্রামের বাতাস ভারী হয়ে গেছে৷ শনিবার বিকেলে রাজু’র লাশ গ্রামের বাড়িতে নিয়ে আসলে এক হৃদয় বিদারক দৃশ্যের অবতারনা হয়৷ রাজুকে একনজর দেখতে বাড়িতে এলাকার লোকজন ভিড় জমান৷ বিকেল ৫টায় সোনাপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিত হয়৷
জানাযার নামাজের পূর্বে স্থানীয় ইউপি সদস্য ফয়ছল আহমদের পরিচালনায় সংৰিপ্ত বক্তব্য রাখেন লামাকাজী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কবির হোসেন ধলা মিয়া, মোগলগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান আসিক মিয়া, সাবেক ইউপি সদস্য এখলাছুর রহমান, জিলস্নুল হক, বশির মিয়া, সমাজ সেবক মঈন উদ্দিন, এলাকার মুরবি্ব কাছা মিয়া, আতাউর রহমান, সামছুল ইসলাম, আকরম আলী, মাশুক মিয়া, আলতাব আলী, জলাল উদ্দিন, সামছুজ্জামান, সেবুল সরকার, নিহতের বড় ভাই হাফিজ তাজুল ইসলাম, মামাতো ভাই মাওলানা মাহবুবুর রহমান৷ জানাযার নামাজ শেষে পরিবারিক করস্থানে নিহতের দাফন সম্পন্ন করা হয়৷
উল্লেখ্য, বিশ্বনাথ উপজেলার লামাকাজী ইউনিয়নের সোনাপুর গ্রামের মৃত তেরাব আলীর পুত্র রাজিকুল ইসলাম রাজু সিলেট নগরীর সুবিদবাজার বনকলাপাড়া ৪২/১৭ নং আরশ আলী মামার বাসায় বসবাস করে রাজমিস্ত্রি কাজ করে আসছিল৷ শুক্রবার বিকেলে সাড়ে ৩টায় সুবিদবাজারস্থ রিফাত এন্ড কোম্পানীর সামনে দূর্বৃত্তরা রাজুকে চাকু দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে ফেলে রেখে যায়৷ স্থানীয় ও পথচারী লোকজন তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে দ্রুত জালালাবাদ রাগীব-রাবেয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান এবং সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে পরে তাকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ভর্তি করা হয়৷ এরপর শুক্রবার বিকেল ৫টার দিকে চিকিত্সাধীন অবস্থায় অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে রাজুর মৃতু্য হয়৷
সিলেট কোতোয়ালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সোহেল আহমদ সিএইচটি মিডিয়া প্রতিনিধিকে বলেন, হত্যাকান্ডের ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে৷ অভিযুক্ত ১জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে৷ হত্যার ক্লু উদঘাটনের জন্য পুলিশ তদন্ত কাজ চালিয়ে যাচ্ছে৷ সকল আসামীদেরকে গ্রেফতারে পুলিশ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে৷