রবিবার ● ১৩ নভেম্বর ২০১৬
প্রথম পাতা » করোনা আপডেট » অজ্ঞাত রোগে আক্রান্ত শিশু মৃত্যুর মুখে
অজ্ঞাত রোগে আক্রান্ত শিশু মৃত্যুর মুখে
ঝিনাইদহ প্রতিনিধি :: (২৯ কার্তিক ১৪২৩ বাঙলা: বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৬.৪৫মি.) অজ্ঞাত রোগে আক্রান্ত ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার বোয়ালিয়া গ্রামের শিশু আজমির ধুঁকে ধুঁকে মৃত্যুর দিকে এগিয়ে যাচ্ছে৷
তিন বছর বয়স হলেও তার ওজন পাঁচ কেজি৷ শরীরের বিভিন্ন স্থান থেকে চামড়া ওঠে শিশুটির৷ যেতে পারে না ঘরের বাইরে৷ বিভিন্ন সময় চিকিত্সকের শরণাপন্ন হলেও সঠিক কোনো রোগের নাম নির্ণয় করতে পারেননি তারা৷ দিনমজুর পিতা হাবিল হোসেন সহায়-সম্বল বিক্রি করে চিকিত্সা করালেও এখনো সুস্থ হয়নি শিশুটি৷ সে অন্ধকারে থাকতে পছন্দ করে৷
ঝিনাইদহের চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ ডাক্তার মেজর (অব) আহম্মদ আলি ক্লিনিক্যালি ডায়াগনসিস করে জেরোডার্মা পিগমেন্টোসাম (এঙ্পি) রোগ বলে ধারণা করেন৷ এটি অতি বিরল রোগ৷ তবে বঙ্গবন্ধু মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি করে মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করার মাধ্যমে রোগটির সঠিক নির্ণয় সম্ভব৷ এ রোগের চিকিত্সা এখনো আবিষ্কার হয়নি বলে জানালেন এই চিকিত্সক৷
চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ আহম্মদ আলি আরো বলেন, কিছু দিনের মধ্যে রোগীর চোখ নষ্ট হয়ে যাবে৷
স্থানীয় চিকিত্সকরা বলছেন জেলা পর্যায়ে এ রোগ নির্ণয় করা সম্ভব নয়৷ প্রথম দিকে ঝিনাইদহের একজন শিশু বিশেষজ্ঞ চিকিত্সককে দেখানো হয়৷ তিনি তাকে ১০ দিন হাসপাতালে ভর্তি করে রাখেন৷ পরে জানান, তার দ্বারা চিকিত্সা সম্ভব নয়৷ ঢাকা নিয়ে বঙ্গবন্ধু মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে ভর্তি করতে পরামর্শ দেন৷
শিশুটির মা আরজিনা খাতুন জানান, জন্মের চারদিন পর থেকে আজমীর হোসেনের শরীরের বিভিন্ন স্থানে ফোসকা পড়ে৷ এরপর থেকে শরীরের চামড়া উঠে যায়৷ চিকিত্সার পর ফোসকা পড়া বন্ধ হয়৷ এখন শরীরের বিভিন্ন স্থান ফুলে যায়৷ সেখান থেকে রস ঝরে এবং চামড়া খসে পড়ে৷
সারাক্ষণ চুলকাতে থাকে৷ আজমীরের শরীরের বিভিন্ন স্থানে গোটা গোটা ঘাঁ রয়েছে৷ তিন বছর বয়স অনুযায়ী সে বাড়ছে না৷ চিকিত্সকরা ঠিকমতো বলতে পারছে না সে কি রোগে আক্রান্ত ৷