সোমবার ● ১৪ নভেম্বর ২০১৬
প্রথম পাতা » প্রধান সংবাদ » উপবৃত্তির টাকা আত্মসাতে শিক্ষা অধিদপ্তরের তদন্ত শুরু : ধামাচাপা দেওয়ার অভিযোগ
উপবৃত্তির টাকা আত্মসাতে শিক্ষা অধিদপ্তরের তদন্ত শুরু : ধামাচাপা দেওয়ার অভিযোগ
বরগুনা প্রতিনিধি :: (৩০ কার্তিক ১৪২৩ বাঙলা : বাংলাদেশ সময় সকাল ১০.৫৬মি.) বরগুনার বেতাগীতে দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তির টাকা আত্মসাতের ঘটনায় মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে সরেজমিনে তদন্ত শুরু হয়েছে ।
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর তদন্ত কমিটিকে অসহযোগিতা,তদন্তের খবর না জানানো ও আত্মসাতেরকারীদের সাথে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের যোগসাজস এবং উৎকোচ নিয়ে এ বিষয় ধামাচাপা দেওয়ার পায়তারার চলছে বলে ভুক্তভোগি ও বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটি সূত্রে জানা গেছে।
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) উপ-পরিচালক প্রফেসর ড. মোহাম্মদ মোজাম্মেল হোসেন চৌধুরী, সহকারি পরিচালক মিনহাজ উদ্দীন আহম্মদ এই দুই তদন্ত কর্মকর্তা ১০ নভেম্বর বৃহস্পতিবার বিদ্যালয়ে গিয়ে শিক্ষক, অভিভাবক ও ম্যানেজিং কমিটির সাক্ষাৎকার এবং লিখিত বক্তব্য গ্রহন করেন।
এ সময় জেলা শিক্ষা অফিসার সুকুমার চন্দ্র হালদার ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. শাহজাহান আলী শেখ উপস্থিত ছিলেন।
বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির একাধিক সদস্য অভিযোগ করেন। শুরু থেকেই এ ঘটনায় উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার রহস্যজনক ভূমিকা পালন করছে। তার নিকট লিখিত অভিযোগ করা সত্বেও তা অস্বীকার করে নিজে ও তদন্তকারী কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করতে ১ লক্ষ টাকার ঘুষ নিয়ে ধামাচাপা দেওয়ার পায়তারা করছে। বিদ্যালয়ের সভাপতি মো. আব্দুল জলিল মৃধা সিএইচটি মিডিয়া প্রতিনিধিকে জানান, প্রতিষ্ঠানের সভাপতি হিসাবে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে আমাকে তদন্তের অফিস আদেশ দেওয়া হলেও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার তা অবহিত না অভিযুক্ত শিক্ষকদের সাথে আতাঁত করেন।
জানাগেছে, উপজেলার বিবিচিনি ইউনিয়নের তালগাছিয়া দেশান্তরকাঠি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. মাহমুদুল আলম খান ও সহকারী প্রধান শিক্ষক মো. দেলোয়ার হোসেনের যোগসাজশে শিক্ষার্থীদের নাম দিয়ে শিক্ষকের নিজের ও তার আত্মীয় স্বজনের মুঠোফোনে ব্যাংকের হিসাব খুলে এ টাকা আত্মসাত করে। এ অভিযোগে তাদের অপসারণের দাবীতে ইতোপূর্বে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করে স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীরা অভিবাবক ও এলাকাবাসী।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. মাহমুদুল আলম খান ও সহকারী প্রধান শিক্ষক মো. দেলোয়ার হোসেন এ জন্য তারা দায়ী নয় বলে অভিযোগ অস্বীকার করলেও এর আগে বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা পরিষদের আভ্যন্তরীন তদন্ত কমিটি তদন্তে সত্যতা পাওয়ায় অভিযুক্ত দুই শিক্ষকে দুইটি শোকজ নোটিশ দেওয়া হয়। এর আগে বেতাগীতে উপবৃত্তির টাকা আত্মসাত শিরোনামে একটি সংবাদ সিএইচটি মিডিয়া টুয়েন্টিফোর ডটকম এ প্রকাশিত হয়।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. শাহজাহান আলী শেখ এ অভিযোগ অস্বীকার করে সিএইচটি মিডিয়া প্রতিনিধিকে বলেন, যোগসাজস ও ঘুষ গ্রহনের কোন প্রশ্নই আসে না। আমাকে উর্ধতন কর্তৃপক্ষ যে ভাবে নিদেশর্না দিয়েছে সেই ভাবে আমি কাজ করছি।
তিনি বলেন, অভিযোগের তদন্ত চলছে, সত্যতা পেলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।