মঙ্গলবার ● ১৫ নভেম্বর ২০১৬
প্রথম পাতা » প্রধান সংবাদ » আজ সেই ভয়াল ১৫ নভেম্বর সিডরের দুঃসহ স্মৃতি আজও তাড়া করে বেতাগী বাসীকে
আজ সেই ভয়াল ১৫ নভেম্বর সিডরের দুঃসহ স্মৃতি আজও তাড়া করে বেতাগী বাসীকে
মো. মুতাসিম বিল্লাহ মাসুম, বেতাগী প্রতিনিধি ::( ১ অগ্রহায়ন ১৪২৩ বাঙলা : বাংলাদেশ সময় রাত ৮.১৫মি.) ১৫ নভেম্বার ২০০৭ এর সেই সিডর নিয়ে বিশেষ প্রতিবেদন সিডরের ভয়াবহতার স্মৃতি আজো বয়ে বেড়াচ্ছে বরগুনার বেতাগীর মানুষ।
সেদিন উপকুলীয় এ জনপদে নেমে আসে মানবিক বিপর্যয়। ঘূর্নিঝড়ের কবলে শুধু বুড়া মজুমদারের গ্রামার্দ্দন গ্রামে একই পরিবারে রাকিব, সোনিয়া, নাজমা বেগম ও শাহনাজ বেগম সহ মারা যায় ৩১ জন, আহত হয় শত শত লোক। বেচেঁ যাওয়া সর্বস্ব হারানো মানুষগুলোর অনেকেই এখনো স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারেনি।
২০০৭ সালের ১৫ নভেম্বর প্রলয়ংকারী এ রাতটির কথা মনে উঠতেই শিউরে উঠে গোটা শরীর। চিরচেনা গ্রামগুলো ছিলো নীরব, নিথর নিশ্চিহ্ন জনপদের রুপ। সিডরের ক্ষয়ক্ষতির পরিমান সঠিক নিরুপন না করা গেলেও সরকারী হিসেব অনুযায়ী ৩৪ হাজার ৭৫২ জন লোক সহায় সম্বল হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে পড়ে। এখানকার অসহায়দের মাথা তুলে দাঁড়াতে জাতীয় ও আর্ন্তজাতিক অনেক গুরুত্বপূর্ন ব্যক্তি সংস্থা দুর্গতদের পাশে এগিয়ে আসে।
গনমাধ্যম কর্মিরা সংবাদ পরিবেশন সহ নানা ভাবে অগ্রনী ভূমিকা পালন করে।
তবে ৯ বছর পেরিয়ে গেলেও আজও ভাগ্যের চাকা ঘোরেনি এখানের ক্ষতিগ্রস্তদের। তারা অবহেলিত, বঞ্চিত, অনেকেই আজও মানবেতর জীবন যাপন করছে। স্বজন হারা ব্যাথা নিয়ে কাটছে অনেকের জীবন। অনেকে এখনো বিধ্বস্ত ঘড় বাড়িতে কোন মতে মাথা গোঁজার ঠাঁই করে আছে। ঘুর্নিঝড় আশ্রয় কেন্দ্র ও যে সব আবাসন নির্মান হয়েছে তাও অপরিকল্পিত।
সিডরের ভয়াবহ ধ্বংসলীলার ক্ষয়ক্ষতি হয়ত কাটিয়ে ওঠা সম্ভব নয়, তবে এখানকার জনগোষ্ঠিকে ঘুরে দাঁড়াতে দীর্ঘ মেয়াদী সুষ্ঠু
পরিকল্পনা গ্রহনের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।