বুধবার ● ১৬ নভেম্বর ২০১৬
প্রথম পাতা » অপরাধ » ট্রেন থেকে ফেলে যাত্রী হত্যায় দুইজনের ফাঁসি
ট্রেন থেকে ফেলে যাত্রী হত্যায় দুইজনের ফাঁসি
গাজীপুর জেলা প্রতিনিধি :: (২ অগ্রহায়ন ১৪২৩ বাঙলা: বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৬.৩৬মি.) টাকা ও মোবাইল ফোন লুট করে এক যাত্রীকে চলন্ত ট্রেনের ছাদ থেকে ফেলে হত্যা ও দুই জনকে আহত করার মামলায় দুইজনকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের রায় দিয়েছে গাজীপুরের একটি আদালত৷
১৬ নভেম্বর বুধবার বেলা ২টায় গাজীপুর জেলা ও দায়রা জজ একেএম এনামুল হক জনাকীর্ন আদালতে এ রায় দেন৷
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা উপজেলার তারাটিচর পাড়া গ্রামের মো. হাবুলের ছেলে মো. রাসেল মিয়া (১৯) ও মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলার বিছামনি গাংপাড়ের মৃত হোসেন মিয়ার ছেলে মোঃ মুন্না মিয়া (২৫)৷
হত্যা মামলায় এ দুজনকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানাও করা হয়েছে৷
তাছাড়া ট্রেন থেকে ফেলে আহত করায় দুইজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও এক হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে এক মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে৷ আর লুটপাটের ঘটনায় ১০ বছরের কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে একমাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে বলে আদালত পরিদর্শক মো. রবিউল ইসলাম জানান৷
মামলার নথির বরাত দিয়ে তিনি জানান, এ বছরের ২২ মার্চ মঙ্গলবার ঢাকার শাহজালাল আান্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে চট্টগ্রামগামী আন্তঃনগর মহানগর এক্সপ্রেস ট্রেনের ছাদে ভ্রমণ করছিলেন বগুড়ার দুপচাঁচিয়া উপজেলার জিয়ানগর গ্রামের মো. আব্দুল আজিজের ছেলে মো. আবু সাঈদ (১৮), কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার রুমকা গ্রামের মৃত ফজলুল হকের ছেলে হাসান মাহমুদ (২৬) ও নওগাঁর বদলগাছি উপজেলার মিঠাপুর ফকিরপাড়া গ্রামের আব্দুল মজিদের ছেলে আব্দুল মমিন (১৮)৷
মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে ট্রেনটি গাজীপুরের কালীগঞ্জের শিমুলিয়া এলাকা অতিক্রমের সময় ওই তিন যাত্রীর কাছ থেকে দুর্বৃত্তরা টাকা ও মোবাইল ফোন লুটে নিয়ে ছুরিকাঘাত করে ট্রেনের নিচে ফেলে দেয়৷
এসময় এলাকাবাসী আহতাবস্থায় তাদের উদ্ধার করে গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিত্সক মমিনকে মৃত ঘোষণা করেন৷
এ ব্যাপারে ২৩ মার্চ বুধবার নরসিংদী রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির এটিএসআই মাহবুব আলম বাদী হয়ে ভৈরব রেলওয়ে থানায় মামলা করেন৷ পরে আহতদের জবানবন্দি নিয়ে গত ২৭ মার্চ দুইজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ আদালতে পাঠায় বলে জানান তিনি৷
তদন্ত শেষে গত ৩১ জুলাই ভৈরব রেলওয়ে থানার এসআই মো. আদম আলী আদালতে অভিযোগপত্র দেন৷ মামলাটি পরে ওই থানা থেকে গাজীপুর জজ আদালতে পাঠানো হয় বলে জানান আদালত পুলিশের এ পরিদর্শক৷
মামলায় ১৩জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়৷ শুনানি শেষে বুধবার বিভিন্ন ধারায় গাজীপুরের জেলা ও দায়রা জজ আদালত বুধবার এ রায় দেন৷
মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে আইনজীবী ছিলেন পিপি হারিছ উদ্দিন আহমেদ আসামি পক্ষে ছিলেন এডভোকেট ইউসুফ আলী৷