বৃহস্পতিবার ● ১৭ নভেম্বর ২০১৬
প্রথম পাতা » অপরাধ » বরগুনায় কিশোরীকে ধর্ষন
বরগুনায় কিশোরীকে ধর্ষন
বরগুনা প্রতিনিধি :: বরগুনা সদর উপজেলার ১নং বদরখালী ইউনিয়নের বদরখালী গ্রামে বিবাহর প্রলোভন দেখিয়ে র্ধষন, অতপর ৪মাসের অন্তসত্তা ও ধর্ষকের ভয়ে গর্ভপাতের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
স্থানীয়রা জানান, বদরখালী গ্রামের মৃত শ্যামসুন্দর শীল এর কনিষ্ঠ কন্যা ইতি রানী (১২) ফুলঝুড়ি বহুমুখী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেনীর ছাত্রীকে একই গ্রামের নারী লোভী রাজেস্বর হাওলাদারের প্রেমিক পুত্র আশিষ হাওলাদার (১৮) বিবাহের প্রলোভন দেখিয়ে বিভিন্ন সময় ওৎ পেতে কিশোরীকে ধর্ষন করে। তারই ফসল কিশোরীর ৪ মাসের গর্ভ। কিশোরী বলে আশিষ বিভিন্ন সময় স্কুলে যাওয়া আসার পথে আমার গতিপথ লক্ষ করে ওৎ পেতে থাকত। আমাকে সামনে পেয়ে তার যৌন নিবারন করার জন্য
আমাকে বিবাহর প্রস্তাব দেয়। তার কোন প্রস্তাবে রাজি না হলে মেরে ফেলার হুমকী দেয়। ঘটনার প্রথম দিন আমি দুপুর বেলা টিওবয়েল এ জল আনতে গেলে আশিষ হঠাৎ এসে আমার মুখ চেপে ধরে কাউকে না দেখে আমাকে বাগানে নিয়ে যায়। জোর করে আমার ইচ্ছার বিরুদ্বে ধর্ষন করে। আমি এই ঘটনা যদি কাউকে বলি তাহলে আমাকে প্রান নাশ করবে বলে হুমকী দেয়। আমাকে বিবাহ করবে বলে আমার সাথে বিভিন্ন সময় এসে মেলা-মেশা করত। তারই কারনে ৪ মাসের অন্তসত্তা হয়ে পরি। আমার
শরীরের অবস্থা আশিষকে জানালে বলে অপেক্ষা কর সব ঠিক হয়ে যাবে। বাচ্চা হলে আমার বাবা-মা মেনে নিবে।কিছুদিন পুর্বে আশিষ বলে, তুমি বাচ্চা নষ্ঠ করো, তা না হলে তোমাকে মেরে ফেলবো । বিষয়টি এলাকায় জানা জানি হলে
আমি আমার মায়ের কাছে বলি মা আমাকে বরগুনা সদর. ক্লিনিকে নিয়া যায়। ওখানের ডা: আমার অবস্থা দেখে বাচ্চা নষ্ঠ না করার নির্দেশ দেয় । কোন উপায় না পেয়ে ঢাকায় গিয়ে গর্ভপাত করি ।
এ বিষয়টি নিয়ে বদরখালী হিন্দু সমাজে জানা জানি হলে গত ১৬ নভেম্বর হিন্দু সমাজ উক্ত অপকর্মের নিরসনের লক্ষে এক জরুরী বৈঠক বসে ইতি রানীর মা শান্তনা রানীর কাছে জানতে চাইলে তিনি ঘটনার সত্যতা শিকার করেন। এলাকার চাপে আশিষ
পালিয়ে যায়। আমি আপনাদের মাধ্যমে প্রশাসন ও সমাজের কাছে বিচার চাই।
এব্যাপারে ধর্ষকের বাবা রাজেস্বর বলেন আমার ছেলের দায় আমি শিকার করি ।
ঘটনার পর থেকে ছেলে এলাকা ছাড়া এখনো তার সাথে যোগাযোগ করা যায়নি। অএ এলাকার সাবেক ইউপি সদস্য বিজন কৃষক রায় মাখন বলেন আমরা এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ জিঙ্গাসা করলে মেয়েটির মা সত্যতা শিকার করেন, যেহেতু মেয়েটি অপ্রাপ্ত বয়স সেহেতু আইনী তৎপরতা ছাড়া স্থানীয় সমাধান দেওয়া সম্ভাব নয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাদিক ব্যাক্তিরা বলেন ছেলেটি মাদকের সাথে জড়িত রয়েছে, তার ভয়ে কোন স্কুলের ছাত্রীরা ঠিকমত স্কুলে যেতে পারছেনা । এ ধরনের ঘটনা বিগত দিনেও ঘটিয়েছে। এই জগন্ন্য অপরাধে প্রশাসকের কাছে সুবিচার কামনা করি।
এ ব্যাপারে বরগুনা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. রিয়াজ হোসেন পিপিএম বলেন এ ব্যাপারে থানায় কোন অভিযোগ আসেনি, অভিযোগ আসলে আইন গত ব্যবস্থা নেয়া হবে।