শিরোনাম:
●   নিখোঁজের ৪ ঘন্টা পর পুকুরের পানিতে মিললো শিশুর মরদেহ ●   হাতের নাগালেই মিলছে বিনামূল্যে উচ্চ রক্তচাপের ওষুধ ●   নবীগঞ্জে পুলিশের অভিযানে গ্রেপ্তার-২ ●   সংবিধান বাতিল বা পরিবর্তন করা অন্তর্বর্তী সরকারের কাজ নয় ●   রাঙামাটিতে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির মানববন্ধনে পাহাড় থেকে সকল বৈষম্য নিরসন করার লক্ষ্যে পার্বত্য চট্টগ্রাম বৈষম্য নিরসন কমিশন গঠনের দাবি ●   রাউজানে প্রবাসী যুবকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার ●   নবীগঞ্জে বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে এক যুবকের মৃত্যু ●   আগামী কাল সোমবার সকালে রাঙামাটি বিসিক এর সামনে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির মানববন্ধন ●   কাউখালীতে যুবদলের ৪৬ তম প্রতিষ্টাতা বার্ষিকী পালন ●   পানছড়িতে ৫৩ তম জাতীয় সমবায় দিবস উদযাপিত ●   ঘোড়াঘাটে উপজেলা ও পৌর বিএনপির কর্মী সম্মেলন ●   বিজিবির অভিযানে অস্ত্র মাদকসহ চার জন আটক ●   তারেক রহমানের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলা প্রত্যাহারের দাবীতে বিএনপির বিক্ষোভ ●   সামাজিক সংগঠন ‘ইগনাইট মিরসরাই’র আত্মপ্রকাশ ●   আত্রাইয়ে জাতীয় যুব দিবস পালন ●   অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির সকল উসকানির বিরুদ্ধে সতর্ক থাকতে হবে ●   রাউজানে আগুনে ৫ দোকান ভস্মিভূত ●   ঘোড়াঘাটে দৈনিক সকালের বাণীর ১ম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত ●   রাঙামাটিতে জাতীয় যুব দিবস পালিত ●   ছেলেকে ফিরে পেতে এক মায়ের আকুতি ●   কাউখালীতে অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য অপহরণ ●   ঈশ্বরগঞ্জে জাতীয় যুব দিবস পালিত ●   মিরসরাইয়ের বিএনপি নেতা হত্যার মামলায় ছাত্রলীগ নেতা ফিরোজ গ্রেফতার ●   আত্রাইয়ে নবাগত ইউএনও‘র যোগদান ●   খাগড়াছড়িতে ইউপিডিএফ’র সড়ক অবরোধ পালিত ●   মিরসরাইয়ের ধুমে পুকুরের পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু ●   কুষ্টিয়াতে আাধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আপন দুই ভাইকে কুপিয়ে হত্যা ●   ঈশ্বরগঞ্জে জিয়ারুল হত্যা মামলার প্রধান আসামিসহ গ্রেফতার-২ ●   নেপালকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ ●   সবার জন্য ভিটামিনসমৃদ্ধ নিরাপদ ভোজ্যতেল নিশ্চিত করতে হবে
রাঙামাটি, মঙ্গলবার, ৫ নভেম্বর ২০২৪, ২১ কার্তিক ১৪৩১



CHT Media24.com অবসান হোক বৈষম্যের
শনিবার ● ১৯ নভেম্বর ২০১৬
প্রথম পাতা » জনদুর্ভোগ » দূষিত গ্রাম নয়াপাড়া : রক্ষা পাচ্ছে না শিশু-বৃদ্ধ’সহ গাছপালা প্রাণী সম্পদ
প্রথম পাতা » জনদুর্ভোগ » দূষিত গ্রাম নয়াপাড়া : রক্ষা পাচ্ছে না শিশু-বৃদ্ধ’সহ গাছপালা প্রাণী সম্পদ
শনিবার ● ১৯ নভেম্বর ২০১৬
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

দূষিত গ্রাম নয়াপাড়া : রক্ষা পাচ্ছে না শিশু-বৃদ্ধ’সহ গাছপালা প্রাণী সম্পদ

---গাবতলী প্রতিনিধি :: (৫ অগ্রহায়ন ১৪২৩ বাঙলা: বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৭.০৭মি.) বগুড়া গাবতলী’র কাগইল ইউনিয়নের দাসকান্দি ‘নয়াপাড়া’ পরিবেশ দূষণের বিপন্ন একটি গ্রামের নাম। এ গ্রামে পরিবেশ দূষণের ফলে নানা প্রতিকূলতার মধ্যেও বিবাহ যোগ্য ছেলে ও মেয়েদের বিয়ে হচ্ছে না। এমনকি সন্তানদের বিয়ে নিয়ে দুরচিন্তায় দিন কাটছে অভিভাবকদের। এছাড়াও পরিবেশ দূষণের ফলে বিপন্ন হয়ে যাচ্ছে সাধারণ মানুষ’সহ শিশু-বৃদ্ধ ও গূহপালিত পশুপাখী ও গাছপালা। অভিযোগ করেও প্রতিকার না পাওয়ায় ইটভাটার কালো ধোয়া আর পোল্ট্রি ফার্মের বর্জ্য প্রবাহিত হওয়ায় দুরগন্ধময় বাতাসের মধ্যে প্রতিনিয়ত তাদেরকে বসবাস করতে হচ্ছে। ফলে নানা রোগে আক্রান্ত হয়ে চরমভাবে স্বাস্থ্য ঝুকিতে রয়েছে গ্রামের সাধারণ মানুষ। অন্যদিকে অসহায় হয়ে পড়ছে বিবাহযোগ্য পরিবারগুলো।
এলাকাবাসী ও বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, এই গ্রামে প্রায় ৭শতাধিক মানুষ বসবাস করছে। এর মধ্যে বৃদ্ধ-শিশু’সহ উঠতি বয়সের তরুন-তরুনীরাও রয়েছে। প্রায় অর্ধশতাধিক বিবাহ যোগ্য ছেলে-মেয়ে ঘরে বসে থাকলেও পরিবেশ দূষণ ও দরিদ্র গ্রাম হওয়ায় বিবাহ দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে অভিভাবকদের। বিশেষ করে ছেলেদের পাশাপাশি মেয়েদের বিয়ের কথা বা প্রস্তাব আসলেও পরিবেশ দূষণ’সহ নানাদিক বিবেচনা করে পরবর্তীতে দেখা যায় সে বিয়েতে কখনো ছেলে আবার কখনো মেয়ের বাবা বা অভিভাবক বিয়ে দিতে রাজী হচ্ছে না। এরপরেও যদি কোন কারনে বিয়ে হয়ে যায় পরবর্তী সময়ে ১থেকে ২মাস পর দেখা যায় তাদের সংসার ভেঙ্গে গেছে। সবার মুখে একটায় সুর উঠেছে গ্রামের পরিবেশ নষ্ট বা নোংরা। এভাবেই সংসার ভেঙ্গে কপাল পুড়েছে তালাকপ্রাপ্ত তাঁরা বানু, শাপলা খাতুন ও পিয়ারা বেগম’সহ অনেকের। তাদের অভিযোগ বিয়ে হলেও সংসার করতে পারেনি। কারণ নয়াপাড়া গ্রাম নাকি পরিবেশ দূষিত একটি গ্রাম। তাঁরা বানু আরো জানান, আদালতে মামলা করার পরেও আমার কোন দোষ ছিল না এরপরেও আমার স্বামী আমাকে ছেড়ে চলে গেছে। কিন্তু আমার স্বামীর জাহিদুল ইসলামের একটায় কথা এ গ্রামে কোন শিক্ষা নাই। স্বাস্থ্য চিকিৎসা সেবা নাই। দুরগন্ধময় পরিবেশের মধ্যে সবসময় বসবাস করতে হয়। সে গ্রামের আমি জামাই হতে চায় না। বেজোড়া গ্রামের জামাই জাহিদুল ইসলামের সঙ্গে স্ত্রীকে তালাক দেওয়া বিষয়ে জানতে চাইলে সে জানান, নয়াপাড়া গ্রামে বিয়ে করে ভুল করেছিলাম। নয়াপাড়া গ্রামের পবিবেশ খুব খারাপ। আগে জানলে বিয়েই করতাম না। নয়াপাড়া গ্রামের ভোক্তাভোগী বাবু মিয়া জানান, গ্রামের পরিবেশ নষ্ট হওয়ায় কন্যাকে তো বিয়ে দিতে হবে সে জন্য আগে ভাগেই গ্রাম ছেড়ে ঢাকা’য় এসেছি। পায়রা, রুহুল আমিন ও টুকু মিয়া জানান, পরিবেশ দূষণের কবল থেকে মুক্তি পেতে আমি’সহ ১৫টি পরিবার গ্রাম ছেড়ে এখন কৈঢোপ আবাসনে বাসবাস করছি। মোবারক আলী জানান, আমার মেয়েদের আমি বগুড়া রেখে লেখাপড়া শেখাইতেছি। এ গ্রামে থাকলে বিয়ে কেন কোন কাজেই হবে না। অভিভাবক মরিয়ম বেগম জানান, পূর্ব-উত্তরের প্রবাহিত দূষিত বাতাস (হাওয়া’য়) জীবনটা যেন দূর্বিষহ হয়ে উঠেছে। আবুল কালাম আজাদ জানান ভিন্ন কথা সে বলেন, পূর্বে থেকে এ গ্রামটি পরিবেশ দূষণের শিকার হয়ে আসছে। এখন কষ্ট পেতে হচ্ছে সবাইকে। আব্দুর রহমান জানান, বিবাহ যোগ্য মেয়েকে নিয়ে সমস্যায় পড়েছি। বিয়ে দিতে ঘর পাচ্ছি না। একই গ্রামের অভিভাবক মাফু মিয়া জানান, ১৫বছরপূর্বে আমার মেয়েকে বিয়ে দিলেও পরিবেশ নষ্ট হওয়ায় জামাই আসে না। এভাবে আমাদের মেয়েদের কে বিয়ে করতে ও ছেলেদের সঙ্গে বিয়ে সম্পন্ন করাতে কেউ রাজী হয় না। বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে আসার আগেই বিয়ে ‘না’ হয়ে যায়। ফলে আমরা অভিভাবকগন ছেলে-মেয়েদের বিয়ে নিয়ে দুরচিন্তায় আছি। এছাড়াও গ্রামের দুপাশে রয়েছে তিনটি ইউভাটা ও চারটি পোল্ট্রি ফার্ম। তিনতলা বিশিষ্ট মুরগী খামার ও গ্রামের ভিতরে অপরিকল্পিত যত্রতন্ত্র ভাবে গড়ে উঠেছে আরো ২টি মুরগী’র খামার। ফলে সবচেয়ে বেশী পরিবেশ দূষণ হচ্ছে। এসব মুরগীর খামারের বিষ্টা পচা পানি দুরগন্ধ ছড়িয়ে পড়ছে। নয়াপাড়া গ্রামের সঙ্গে একটি হাফেজিয়া মাদ্রাসা ও জামে মসজিদ, একটি মক্তব, একটি মাজার, একটি হাট-বাজার, একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এসব শিক্ষা প্রতিষ্টানে প্রায় দুই থেকে তিন হাজার শিক্ষার্থী প্রতিদিন শিক্ষা গ্রহনে বিদ্যালয়ে আসা যাওয়া করে। মক্তব ও মসজিদে নামাজ আদায় করতে আসেন হাজারো মুসল্লীগন। এছাড়া ঈদগাঁও মাঠে ও স্থানীয় মাজারে যাচ্ছেন হাজারো মানুষ। ফলে এসব মানুষকে পরিবেশ দূষণের কবলে নানাভাবে পড়তে হচ্ছে। নয়াপাড়া গ্রামের অধিকাংশ মানুষ হতদরিদ্র ও গরিব মানুষ হওয়ায় তাঁরা শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এরপরের পরিবেশ দূষণের ফলে কেউ উচ্চ শিক্ষা গ্রহনে আগ্রহী হচ্ছে না। আজও তাঁরা পরিবেশ দূষনের শিকার হয়ে জীবনযাপন করছে। তিনটি ইটভাটা ও চারটি মুরগী ফার্মের ভিতরে গড়ে উঠা গ্রাম জেন দরিদ্র মানুষের জন্য অভিশাপ। পরিবেশ দূষণের কবলে পড়তে হচ্ছে শিক্ষার্থী-মুসল্লী’সহ সাধারণ মানুষদের। ভোর সকালে ও গভীর রাঁতে উত্তর ও পূর্বের হিমেল হাওয়া জেন মুরগী ফার্মের বিষ্টা ও বিষ্টা পচা দুরগন্ধময় পচা পানির গন্ধে মানুষের নিঃশ্বাস নিতে দম জেন বন্ধ হয়ে যায়। আবার কেউ কেউ প্রতিদিন নাগ-মুখ বেঁধে বা বন্ধ করে রাস্তা বা গ্রামে চলাচল করতে দেখা যায়। মানুষ নানা অভিযোগ করেও কোন প্রতিকার পাইনি। মুরগীর ফার্মের বিষ্টা ও পচা পানি এবং ইটভাটা কালো ধোয়া-মেশিন ও ইটকাঁটা শব্দ সবমিলিয়ে জেন পরিবেশ দূষণে বিপন্ন নয়াপাড়া গ্রাম। এ গ্রামের পাশে কাগইল হাইস্কুল ও হাফেজিয়া মাদ্রাসা এবং প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কমলমতি শিশু শিক্ষার্থীদের স্কুলের খেলার মাঠজুড়ে ইটভাটা নির্মাণ করা হয়েছে। ফলে একদিকে যেমন কালো ধোয়া অপরদিকে ঝুকিপূর্ন ভাবে রাস্তা চলাচল দূর্ঘটনা আশংকা নিয়ে জীবনযাপন করতে হচ্ছে অভিভাবকদের। পরিবেশ দূষণের ফলে সচেতন অভিভাবকগন নয়াপাড়া গ্রামের ছেলে-মেয়েদের সঙ্গে বিবাহ দিতে রাজী হয় না বলেও জানিয়েছেন ভূক্তভোগীরা। অনেকে গ্রামের বিবাহ যোগ্য মেয়ে-ছেলেদের নিকট আত্মীয়-স্বজনদের বাড়ীতে নিয়ে গিয়ে বিয়ে দেওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। পরিবেশ দূষণের অভিশাপ থেকে মুক্ত করে ছেলে-মেয়েদের ভাল পরিবারে বিয়ে দিতে জেন অভিভাবকগন আজও জীবন সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছেন। তবুও বাহির ইউনিয়ন বা শহর অথবা মানুষের একটায় কথা আর যায় বলো বাহে নয়াপাড়া গ্রামের পরিবেশ খারাব আমার সন্তানকে তো বিয়ে দিব না। এভাবে বিবাহ যোগ্য ছেলে-মেয়েদের নিয়ে দুরচিন্তা ও হতাশায় দিন কাঁঠছে অভিভাবকদের। আবার অনেকে নয়াপাড়া গ্রামের মেয়ে বা ছেলের পরিচয় পেলে সম্মান দিতে চায় না। অনুসন্ধানে জানা যায়, এ গ্রামের সার্বিক পরিবেশ নষ্ট হওয়ায় সচেতনমহল নারী-পুরুষ বা মেয়ে-ছেলেদের কে পূর্ন মান-মর্যাদা দিতে চায় না। অশিক্ষিত, অবহেলা, ঘনবসতি, দরিদ্র ও পরিবেশ বিপন্ন গ্রাম হওয়ায় এর মূল কারণ বলে জানিয়েছেন গ্রামবাসী। আবার অনেকে এ দরিদ্র গ্রামের মানুষের সঙ্গে সর্ম্পক রাখতে চায় না। মেয়ে ও ছেলেদের দিতে চায় না কোন কর্মমূখী কাজ। এমনকি নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যাক্তি জানান, মুরগীর ফার্মের বিষ্টা ও বর্জ্য-দুরগন্ধময় পচা পানি’র ফলে এ গ্রামের পরিবেশ এতোটায় দূষিত যে গ্রামের ভিতরে কেউ আসলে বা (প্রবেশ করলে) সে গ্রাম থেকে ঘুরে গিয়ে তাঁর নিজ বাড়ীতে গিয়ে গোসল করে নিজেকে পরিচ্ছন্ন মনে করেন। এছাড়াও পরিবেশ দূষণে পচা দুরগন্ধাময় পানি প্রবাহিত হচ্ছে স্থানীয় সিংঙ্গারটা ইছামতি ও গজারিয়া নদীতে। ফলে সে নদীতে দেশীয় প্রজাতির মাছ কমে যাচ্ছে। ফলে মৎস্য সম্পদ হুমকির মুখে পড়ছে। এছাড়াও নয়াপাড়া গ্রামে বেড়েই চলছে বাল্য বিবাহ ও শিশুশ্রম। হতদরিদ্রদের ঘনবসতি মানুষের বসবাস হওয়ায় এমনকি তাঁরা অর্থের অভাবে তাদের তিন ফসলের জমি থেকে টপ সায়েল (জমির উপর অংশের উর্বর মাটি) বিক্রি করে দিতে বার্ধ্য হচ্ছে। আবার অনেকে লেখাপাড়া ছেড়ে দিয়ে শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি তরুন ও শিশু-বৃদ্ধ-নারী-পুরুষরা ইট ভাটায় ও মুরগী ফার্মে দিনমজুরিতে কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করছে। এভাবেই চলছে তাদের জীবন সংগ্রাম। পোহাতে হচ্ছে নানা দুভোগ। এমনকি এ গ্রামে পরিবেশ দূষণের কারনে ক্ষুদ্র ও মাঝারি তাঁত শিল্প বন্ধ হয়ে গেছে। পথে বসেছে নয়াপাড়া গ্রামের মাফু, মোর্দি, ইন্তেজ, আব্দুর রহমান, মতি, রেজাউল ও নয়া মিয়া। তাঁরা সবাই অভিযোগ করে বলেন, তাঁত শিল্প চালু করে ছিলাম। সে সময়ে অর্থের অভাবে ও পরিবেশ দূষিত হওয়ায় পাইকারী মহাজনরা এলাকায় কম আসতো ও অর্ডার পাওয়া কমে যায়। এ গ্রামের এখনো অধিকাংশ মানুষ দরিদ্র ও ভিক্ষুক এবং শ্রমজীবি হওয়ায় তাঁরা পরিবেশ দূষণকে মেনে নিয়ে বসবাস করছে। সচেতনতার অভাবে বাল্য-বহু বিবাহ ও নানা ধরনের অপরাধের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ছে তাঁরা। এমনকি পরিবেশ দূষণনের শিকার বাদশা, মোবারক, ভেটা, টুকু ও পায়রা জানান, ইটভাটার কালোধোয়া ও শব্দ দূষণ অন্যদিকে মুরগীর খামারের বিষ্টা ও পচা পানির দুগন্ধে জীবন জেন বিষে পরিনত হয়েছে। ফুটবল খেলোয়ার খাজা মিয়া ও দিনমজুর মাফু মিয়া জানান, পরিবেশ আইন না মেনে গ্রামের ভিতরে মতিয়ার রহমান মতি, ডাঃ বাবলু ও লিটন মুরগীর খামার দিয়েছেন। ফলে দুরগন্ধ বাতাস জেন সবসময় ভাড়ী থাকে। গ্রামের মানুষ ও প্রাণী সম্পদ (গবাদী পশুপাখী) স্বাস্থ্য ও পুষ্টিহীনতা এবং গর্ভবতী মা, শিশু-বৃদ্ধদের স্বাস্থ্য সম্পদ হুমকির মুখে পড়েছে। শিশুদের সু-স্বাস্থ্য হচ্ছে না। বৃদ্ধদের শ্বাসকষ্ট’সহ নানা রোগে আক্রান্ত হতে হচ্ছে। ইটভাটার কালো ধোয়ার ফলে গাছে ফল-মূল কম ধরছে। লিলি বেগম, বৃদ্ধা নুরজাহান ও মর্জিনা বেগম জানান, ইটভাটার কালো ধোয়া ও উত্তর-পূর্বে হালকা বাতাসে আমাদের স্বাস্থ্য সম্পদ জেন ঝুকিতে রয়েছে। কাগইল করুণা কান্ত উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোবারক আলী মন্ডল জানান, বিদ্যালয়ের সঙ্গে ইটভাটা ও মুরগী খামার প্রতিষ্টা হওয়ায় আমাদেরকে পরিবেশ দূষণের কবলে পড়তে হচ্ছে। কাগইল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রতন চন্দ্র দাস জানান, আমাদের বিদ্যালয় মাঠের সঙ্গে ইটভাটা করার ফলে শিক্ষার্থীদের কালো ধোয়া ও শব্দ দূষণের শিকার হতে হয়। বহুবার শিক্ষা অফিসারকে অভিযোগ করেও লাভ হয়নি। কোন কর্ণপাত করেনি। এমনকি উত্তর-পূর্ব দিক থেকে বয়ে যাওয়া প্রবাহিত বাতাসে বিদ্যালয়ে থাকায় কষ্টকর হয়ে যায়। কাগইল ইউপির চেয়ারম্যান আগানিহাল বিন জলিল তপন জানান, বিষয়টি আমি উপজেলা সমন্বয় মিটিং উপস্থাপন করবো। গাবতলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহা. আহসান হাবিব জানান, পরিবেশ দূষণের বিষয়টি আমি শুনেছি। তবে অতিদ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ডাঃ নীল রতন দেব এমবিবিএস-বিসিএস (স্বাস্থ্য) জানান, পরিবেশ দূষণে বহুরোগ ছড়ায়। ফলে জনসাধারণ’কে স্বাস্থ্য ঝুকি ছাড়াও নানা ভোগান্তি’তে পড়তে হয়।





আর্কাইভ

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)