রবিবার ● ২০ নভেম্বর ২০১৬
প্রথম পাতা » খুলনা বিভাগ » ঝিনাইদহে খেজুরগাছ ও ধান কাটার মৌসুমে মহা ব্যাস্ত কামার সম্প্রদায় (ভিডিওসহ)
ঝিনাইদহে খেজুরগাছ ও ধান কাটার মৌসুমে মহা ব্যাস্ত কামার সম্প্রদায় (ভিডিওসহ)
ঝিনাইদহ প্রতিনিধি :: (৬ অগ্রহায়ন ১৪২৩ বাঙলা : বাংলাদেশ সময় রাত ৯.৫৪মি.) ঝিনাইদহ জেলা জুড়ে শীত মৌসুমের খেজুরগাছ ও ধান কাটা নিয়ে কামার সম্প্রদায় এখন মহা ব্যাস্ত সময় পার করছেন।
সরেজমিনে ঝিনাইদহ সদরের হরিনাকুন্ডু থানার শাখারীদহ এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, দুলাল কর্মকারের ছেলে দিলিপ কর্মকার শীত মৌসুমের খেজুরগাছ ও ধান কাটার অস্ত্রপাতি কাচি, গাছিদা, তৈরিতে এখন মহাব্যাস্ততার মধ্যে দিয়ে কাটছে তাদের কর্মজীবন।
শীতের মৌসুম এলেই দিলিপের কামার ঘরে প্রচুর পরিমান কাজের ভিড়জমে। এই মহা ব্যাস্ততার জন্য নাটোর থেকে আগত দিলিপের এক জন মুসলীম বিশ্বস্ত কর্মচারী আশরাফুলকে রাখা আছে। সে নাটোর থেকে প্রতি শীতের মৌসুমে ছয় মাস কাজ কররা জন্য ঝিনাইদহে দিলিপের দোকানে আসে।
আশরাফুল সিএইচটি মিডিয়া প্রতিনিধিকে বলেন, আমাদের নাটোরে এধরনের জাকজমকপূর্ন কামারের কাজ হয় না তাই আমারো কোন কাজ থাকে না। আমাকে বাড়ীতে বসেই তাকতে হত। আমি ঝিনাইদহে আসি মৌসুমের কাজ করার জন্য। কাজ শেষে মালিকের কাছথেকে টাকা বুঝেনিয়ে আবার আমি নাটোরে আমার নিজ বাড়িতে ফিরে যায়।
তাছাড়া, শীতের কাজের ধুমপড়াতে শাখারীদহ এলাকার কামার সম্প্রদায়ের মধ্যে আলোচিত যুগল কর্মকার, জগো কর্মকার, মধু কর্মকার, স্বপন কর্মকারের দোকানেও ব্যাপক ব্যাস্ততা ও লোকজনের ভিড় দেখাগেছে। এই শীত মৌসুমে গরমের তুলনাই এদের সংসারও আগের থেকে এখন ভালো চলছে।
যুগল কর্মকার সিএইচটি মিডিয়া প্রতিনিধিকে বলেন, সরকার যদি আমাদের দিকে একটু নজর দিত তাহলে আমরা আরো ভালভাবে কাজকর্ম করে জীবনাতিপাত করতে পারতাম।
মধু কর্মকার সিএইচটি মিডিয়া প্রতিনিধিকে বলেন, আগে যখন কামারের কাজ করেছি তখন কেউ নগদ টাকা-পয়সা দিতনা। সারা বছর কাজ করে দেয়ার পর বছর শেষে চাষীর ধান দিয়ে যেত, আগে ধেনো ব্যাবসা করতাম এখন নগদ টাকা ছাড়া কাজ করিনা। এছাড়াও সারা বছর দা, বটি, কাচি তৈরি করা সহ সব ধরণের টুকিটাকি কাজ আসতে থাকে।
তিনি সিএইচটি মিডিয়া প্রতিনিধিকে আরো বলেন, মৌসুম এলেই আমাদের কাজের চাপ বেড়েযায় এতে অনেক টাকা পায়সা রোজগার করতে পারি তাই আগের ছাড়া আমাদের সংসারও এখন ভালো চলছে।