রবিবার ● ২০ নভেম্বর ২০১৬
প্রথম পাতা » অর্থ-বাণিজ্য » বিশ্বনাথে মাঠজুড়ে আমন ফসল কাটার মহোৎসব
বিশ্বনাথে মাঠজুড়ে আমন ফসল কাটার মহোৎসব
মো. আবুল কাশেম, বিশ্বনাথ (সিলেট) প্রতিনিধি :: (৬ অগ্রহায়ন ১৪২৩ বাঙলা : বাংলাদেশ সময় রাত ১১.৫০মি.) প্রবাসী অধ্যুষিত বিশ্বনাথ উপজেলা জুড়ে আমন ধানের বাম্পার ফসলে আবারো বাধ-ভাঙ্গা আনন্দ-উল্লাসে মেতে উঠেছে কৃষক-কৃষাণীরা। দিগন্তজুড়ে সোনালী ফসলের মনোরম দৃশ্য এখন গোটা উপজেলা জুড়ে। ফসল কাটার মহোৎসবে ব্যস্ততম সময় কাটাচ্ছেন একানকার কৃষকরা।
শীতের সকাল থেকে পড়ন্ত বেলা পর্যন্ত মাঠে-মাঠে ফসল কর্তনের চিরাচারিত দৃশ্য এখন গ্রামজুড়ে। একদিকে কৃষকরা ধান কেটে বাড়ির আঙ্গিনায় জড়ো করছে। অপরদিকে গরু বা বোমা মেশিন দিয়ে একই সঙ্গে মাড়াই কাজ সম্পন্ন করে নিচ্ছেন কৃষকরা। মাড়াই শেষে বাতাসে ধান উড়িয়ে বাকি কাজটুকু সম্পন্ন করে গোলায় তোলার কাজে এখানে কৃষাণীরা ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন।
উপজেলার গ্রামে-গ্রামে ও মাঠের পর মাঠ সোনালী ফসল ঘরে তোলার মহাউৎসব। বাতাসে ছড়ানো আমনের মৌ-মৌ গন্ধ আর কৃষক-কৃষানীদের ফসল ঘরে তোলার কর্মব্যস্ততা এখানে এক অন্যরকম আনন্দঘন পরিবেশ বিরাজ করছে। আমনের বাম্পার ফলনের কারনে গত বোরো মৌসুমে ফসল হারানো কৃষকরা বেদনা ক্ষণিকের জন্য হলেও ভুলে থাকতে পাড়বে বলে অনেকেই মনে করেন।
স্থানী কৃষি অফিস সূত্রে জানাগেছে, চলিত মৌসমে প্রায় ১২হাজার হেক্টর জমিতে আমন ধান চাষাবাদ করা হয়েছে। এসবের মধ্যে উপসী জাতীয় এবং স্থানীয় জাতের ধান রয়েছে। চাষাবাদকৃত এসব জমিতে আমনের পাম্পার ফলনে নির্ধারিত লক্ষমাত্র ছাড়িয়ে যাবার সম্ভাবনা রয়েছে বলে স্থানীয় কৃষকরা মনে করছেন। আমনের ধানের স্থানীয় জাতের মধ্যে রয়েছে লতিশাইল, নান্ধিশাইল, চেংগরমতি, মালতি, গোয়ারচর, কালিজিরা, ময়নাশাইল। স্থানীয় জাতের তুলনায় উপসী জাতীয় ধানের ফলন অনেক কৃষক উপসী ধান উৎপাদনে অধিক আগ্রহী হয়ে উঠে।
উৎপাদন কম হলেও অনেক কৃষক স্থানীয় জাতের ধান উৎপাদনে চিরচারিত নিয়ম অনুসরন করে যাচ্ছে। যার ফলে এ অঞ্চলের সুগন্ধি ও সরু জাতের ধান এখনো প্রচুর পরিমানে উৎপাদন হয়ে থাকে।
উপজেলা সদর ইউনিয়নের পশ্চিম শ্বাসরাম গ্রামের লেবু মিয়া বলেন, আগামী বছরের চেয়ে এ বছর ভাল ফলন হয়েছে। এ সপ্তাহের মধ্যে সকল ধান গোলায় উঠে যাবে বলে তিনি জানান।
কৃষক ওয়াব আলী সিএইচটি মিডিয়া প্রতিনিধিকে বলেন, এবার আমন ধান ভান ফলন হয়েছে। কৃষকদের পূর্ণবাসনে সরকার আগামী বোরো ফসল উৎপাদনের জন্য বিনা মূল্যে সার ও বীজ দিয়েছে। ঠিকমত বোরে ফসল ঘরে তুলতে পারলে আগের বছরের ক্ষতিটা কিছুটা পূরণ হবে।
এব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আলীনূর রহমান সিএইচটি মিডিয়া প্রতিনিধিকে বলেন, এ এলাকার মাটি ফসল উৎপাদনের অত্যন্ত সহায়ক। এ অলের জমিতে কৃষি ক্ষেত্রে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার ও প্রশিক্ষণ গ্রহনের মাধ্যমে কৃষকদের সহজেই ভাল ফসল উৎপাদন করা সম্ভব। কৃষি অফিসের মাধ্যমে কৃষকদের সব সময় সম্ভাব্য সকল সুযোগ-সুবিধা দিয়ে থাকি। চলিত মৌসুমে উপজেলা জুড়ে ভাল ফলন হয়েছে।