বুধবার ● ২৩ নভেম্বর ২০১৬
প্রথম পাতা » অর্থ-বাণিজ্য » ঈশ্বরদীর সফল কৃষকদের সাথে জেলা পুলিশের মত বিনিময়
ঈশ্বরদীর সফল কৃষকদের সাথে জেলা পুলিশের মত বিনিময়
ঈশ্বরদী প্রতিনিধি :: (৯ অগ্রহায়ন ১৪২৩ বাঙলা: বাংলাদেশ সময় বিকাল ৫.৩০মি.) দেশের কৃষিতে বার বার অসামান্য অবদান রাখা ঈশ্বরদীর সফল ও জাতীয় পদক প্রাপ্ত কৃষকদের সাথে মতবিনিময় করলেন পাবনা জেলায় সদ্য যোগদানকারী পুলিশ সুপার জিহাদুল কবির জিহাদ পিপিএমসহ পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ। পুলিশ সুপার কার্যালয়ের পক্ষ থেকে ২৩ নভেম্বর বুধবার সকালে পুলিশ সুপারের সভা কক্ষে এ মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়। এ সভায় অংশ নেন,বাংলাদেশ কৃষক উন্নয়ন সোসাইটির সভাপতি ও বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পদক প্রাপ্ত সফল কৃষক ছিদ্দিকুর রহমান কূল ময়েজ, বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পদক প্রাপ্ত কৃষক হাবিবুর রহমান হাবিব, বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পদক প্রাপ্ত সফল কৃষক আমিরুল ইসলাম, কৃষি ডায়েরী ভুক্ত কৃষক আব্দুল জলিল কিতাব মন্ডল, কৃষি ডায়েরী ভুক্ত কৃষক আব্দুল বারী, সফল কৃষক হাসিবুর রহমান বাঘা বিশ্বাস, আমিনুল ইসলাম শিম বাবু, সফল কৃষাণী বেলী বেগম, কৃষক ওয়াহিদুজ্জামান রাসেল, সামসুল আলম জোয়ার্দ্দার, হাবী সরদার ও রোকনুজ্জামানসহ কৃষক উন্নয়ন সোসাইটির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ। জেলা পুলিশের পক্ষে অংশ নেন,পুলিশ সুপার জিহাদুল কবির জিহাদ পিপিএম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) ছিদ্দিকুর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) মোছাঃ শামীমা আক্তার ও ডি আইও ওয়ান শাকিল উদ্দিন আহমেদ।
মতবিনিময় সভায় কৃষক নেতারা অভিযোগ করে বলেন, বর্তমানে কৃষকদের উৎপাদিত সকল পণ্যেই লোকসান হচ্ছে। তারওপর উৎপাদিত ফসল হাট-বাজারে বিক্রি করতে গেলে খাজনার নামে ইজারাদাররা কৃষকদের কাছ থেকে শতকরা দশ টাকা হারে খাজনা হাতিয়ে নিচ্ছেন । এক দিনের একটি বাচ্চাসহ একটি গরু বিক্রি করলেও ১ হাজার টাকা করে খাজনা গুনে দিতে হয় । । সরকারী নিষেধ থাকা সত্বেও কৃষি পণ্য বিক্রির পর কৃষকদের নিকট থেকে অধিকহারে খাজনা আদায় আদায় করা হচ্ছে। তারা আরো অভিযোগ করে বলেন, জেলার কোন হাটেই সরকারী নিয়মানুযায়ী খাজনা আদায় করা হয়না। বাজার গুলোতেও একই অবস্থা চলছে। কাঁচা মালের ট্রাক থেকে চাঁদা রোধে কৃষকরা পুলিশ সুপারের সহযোগিতা কামনা করেন। এর আগে পুলিশ সুপারকে কৃষক উন্নয়ন সোসাইটির ঈশ্বরদীর কৃষকদের পক্ষ থেকে সংবর্ধনা স্বরুপ তাদের উৎপাদিত বিভিন্ন ধরনের ফলমূল, সবজি, মসলা, মাছ, ডিম ও দুধ পুলিশ সুপারের হাতে উপহার হিসেবে তুলে দেন।