শনিবার ● ২৬ নভেম্বর ২০১৬
প্রথম পাতা » অপরাধ » বরগুনার তালতলীতে এতিম খানার নামে চলছে সরকারী টাকা লোপাট
বরগুনার তালতলীতে এতিম খানার নামে চলছে সরকারী টাকা লোপাট
মুতাসিম, বরগুনা প্রতিনিধি :: (১২ অগ্রহায়ন ১৪২৩ বাঙলা : বাংলাদেশ সময় রাত ৯.৫৫মি.) বরগুনার তালতলীতে এতিম খানায় কোন এতিম না থাকলেও ৬ জন এতিমের ভূয়া তালিকা তৈরী করে তাদের খাওয়া ও পোষাক বাবদ প্রতি বছর হাতিয়ে নিচ্ছে সরকারী লক্ষ টাকা।
তালতলী উপজেলার চামোপাড়া ছালেহিয়া মাদ্রাসায় এতিম খানাকে ব্যবহার করে চলছে ভিক্ষা বৃত্তি ও চাঁদা আদায়ের নামে অভিনব কায়দায় চাঁদাবাজি।
তালতলী উপজেলার চামোপাড়া ছালেহিয়া শিশু সদন এর নামে নেই কোন সাইন বোর্ড শুধু পরে আছে ছোট্ট একটি পরিত্যাক্ত টিন সেট ঘর। স্থানীয়রা সিএইচটি মিডিয়া প্রতিনিধিকে জানিয়েছেন, সংশ্লিষ্টরা এতিমখানায় ২০০৬ সালে ৬ জন এতিমের তালিকা দেখিয়ে এর কার্যক্রম শুরু করে।
স্থানীয়রা আরও জানায়, সমাজসেবা অধিদপ্তর থেকে নিবন্ধিত চামোপাড়া ছালেহিয়া শিশু সদন এতিম খানার সম্পাদক হাফেজ আল আমিন ২০০৬ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত ৬ জন এতিমদের বিপরীতে ৭ লক্ষ ২০ হাজার টাকা উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেছে। তবে প্রতি বছর এতিমদের খাওয়া ও পোষাক বাবদ অর্থ উত্তোলন করলেও এতিম খানাটি দীর্ঘদিন ধরে খালি পরে আছে।
সেখানে নেই কোন এতিমদের থাকা ও খাওয়া সু-ব্যবস্থা অভিযোগ স্থানীয়দের।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় জনৈক শিক্ষক সিএইচটি মিডিয়া প্রতিনিধিকে বলেন, প্রতিষ্ঠানটির শুরু থেকে অদ্যাবধি পর্যন্ত বাস্তবে কোন আসবাব পত্র ও এতিম নিবাসী কখনো ছিল না এবং বর্তমানেও নেই। স্থানীয় সচেতন যুবক মো. হারুন হাওলাদার সিএইচটি মিডিয়া প্রতিনিধিকে বলেন, বিভাগীয় পরিদর্শন কিংবা প্রশাসনের তদারকি কালে বিভিন্ন এলাকা থেকে কয়েক জন এতিম শিশু উপস্থিত করে দেখানো হয় মাত্র।
এভাবে ভুয়া নামের তালিকা দেখিয়ে অফিসের কিছু অসাধু কর্মকর্তাদের সাথে যোগসাজসে পার পেয়ে যান তারা।
এমন কৌশলেই বছরের পর বছর এতিমদের জন্য বরাদ্দকৃত সরকারি টাকা উত্তোলন করে লোপাট করা হচ্ছে।