রবিবার ● ২৭ নভেম্বর ২০১৬
প্রথম পাতা » অর্থ-বাণিজ্য » রাউজানে এখন আর তেমন চোখে পড়েনা মধুবৃক্ষ খেজুর গাছ
রাউজানে এখন আর তেমন চোখে পড়েনা মধুবৃক্ষ খেজুর গাছ
অামির হামজা, রাউজান প্রতিনিধি :: শীতের সকাল চারি-দিকে কুয়াশা ঢাকা, দশ-পনোর বছর অাগের দেখার মতো ছিলে মধুবৃক্ষ খেজুর গাছ এমন কি বাড়ির পাশের সীমানায় অাঙ্গীনায় ছিল খেজুর গাছ, শীত এলে দাদুরা খেজুর গাছ কেটে হাড়ি বসিয়ে রস অাহরণ করতো। তবে গাছিরাও খেজুর রস অাহরণে ছিলে ব্যস্ত কিছু সংখ্যা লোক, এখন এদের পরিমানও তেমন নেই বল্লে চলে। সময়ের সাথে প্রতি বছর হারিয়ে যাচ্ছে বাংলার ঐতিহ্য।কি মজার ডাক ছিল মধুর কষ্ঠের সুরালা সাত সকালে খেজুরের রস নিয়ে গাছিরা বাড়ি বাড়ি ডাক দিত। ভাই, রস লাগবে কি রস ? হারিয়ে যাচ্ছে রস, হারিয়ে যাচ্ছে সুরালো গাছি ভাইয়ে মধুর ডাক। রাউজানে শীতের মৌসুম শুরু হতেই বাড়ি বাড়ি চলতো খেজুরের রস দিয়ে মজাদার ভাপা পিঠা আয়োজন। ছোট বেলায় দেখা যেত ছেলেরা রস চুড়ি করে রসের হাড়ির মধ্যে পানি ভরে দিত, তার অনেক প্রমাণ যেমন সাবেক মেম্বার অাবুল হোসেন বলেন, অামরা দশ বিশজন শুধু রাত হলে ছোটা-ছোটি করতাম রসের চুড়ি জন্য, অাবুল হোসেন বলেন অাসলে মজার দিন ছিল সেই সময়ে। রস দিয়ে বাংলা সেমাই খেতে কি মজার নায় ছিল। এখন সব হাড়িয়ে যাচ্ছে মানুষের দেখা ইতিহাস। খেজুর রসে গাছে ময়না, তোতা পাখি, সুতা দিয়ে অাড়ালে বসে পাখি দড়া মজার ছিল অানন্দর। রাউজানে শীতের মৌসুমে সকালে এক দশক আগে ভিন্ন দৃশ্য চোখে পড়ত। গ্রামবাংলার এ দৃশ্য আর নেই বললেই চলে। বর্তমানে রাউজানে কিছু কিছু এস্থানে ধারে কিছু গাছ দাঁড়িয়ে আছে যা এই সময়ে কালের সাক্ষী হয়ে। গ্রামবাংলার ঐতিহ্য এই খেজুর গাছ আজ অস্তিত্ব সঙ্কটে দেখা দিয়েছে। যে হারে খেজুর গাছ নিধন হচ্ছে, এবং খেজুর গাছের প্রতি মানবিক সেবার পরিক্লনা, মানুষের না তাকায় অাজ শেষ হচ্ছে গ্রামবাংলার এই মধুবৃক্ষ। দিন দিন অামরা মধুবৃক্ষার তাজা রস হারাছি, এই কাঁচ খেজুর রসে যে কতটা তৃপ্তিকর তা তুলনায় হয়না।
সরেজমিন রাউজানের : বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, খেজুর গাছ আর চোখে পড়ার মত নয়। যে সকল এলাকায় একসময় ছিল সারি সারি খেজুর গাছ, কালের পরিবর্তনে সবই আজ বিলুপ্তির পথে। বর্তমান নতুন প্রজন্মের অনেকে খেজুর রসের স্বাদটা কি রকম তাও জানে না। এইসব খেজুর গাছটি আমাদের গ্রামবাংলার সৌন্দর্যের বাহক। ফলে খেজুরগাছ রক্ষায় অামাদের প্রতিটি এলাকায় কঠোর ব্যবস্থাও জন-সচেতনার যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে এবং সমাজে শিক্ষাথী’রা চাইলে এই (পরমালিন) মুক্ত দেশিও গ্রামবাংলার মধুর হাড়ি রস রক্ষাতে অগ্রণি ভুমিকা রাখতে পারে।