রবিবার ● ২৭ নভেম্বর ২০১৬
প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম বিভাগ » তবলছড়ি বাজারে আগুনে ক্ষতিগ্রস্থ ব্যবসায়ীরা দিশেহারা হয়ে পড়েছে
তবলছড়ি বাজারে আগুনে ক্ষতিগ্রস্থ ব্যবসায়ীরা দিশেহারা হয়ে পড়েছে
মো. আবদুল নাঈম মোহন :: (১৩ অগ্রহায়ন ১৪২৩ বাঙলা : বাংলাদেশ সময় রাত ৮.৩০মি.) রাঙামাটি শহরের তবলছড়ি নিচ বাজার এলাকায় ব্রিজের পাশে (বেকারাী লাইন) গত২৪ নভেম্বর বৃহস্পতিবার রাত ১২টা ১৫মিনিটে আকস্মিক অগ্নিকান্ডে সাতটি দোকান সম্পূর্ণ পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। হোটেল পরিচয়’র রান্না ঘর থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়, আগুনের তেজ বেশি থাকায় দোকান থেকে কোন মালামাল ই বের করতে পারেনি ব্যবসায়ীরা, ফায়ার সার্ভিস একটি টিম, পুলিশ ও স্থানীয় সবার সহযোগিতায় প্রায় ১ ঘন্টা ৪৫ মিনিট চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এতে প্রায় কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে জানান স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর মিজানুর রহমান বাবু।
এই দিকে শুক্রবার সকালে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সাবেক প্রতিমন্ত্রী, কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের সদস্য ও রাঙামাটি জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি দীপংকর তালুকদার, রাঙামাটি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বৃষ কেতু চাক্মা ও রাঙামাটি পৌর মেয়র আকবর হোসেন চৌধুরী অগ্নিকান্ডের ক্ষয়ক্ষতি স্থান পরিদর্শন করেন।
আগুনে পুড়ে যাওয়া দোকান গুলো হলো, ১ সুনিল সাহা’র কলঘর, ২ ছোটন সাহা’র ষ্টেশনারীর দোকান, ৩ জেবল হক ও রাকিব হোসের’র ফার্নিচারের দোকান, ৪ মো. এয়াকুব আলী’র আলম বেকারী ও কুলিং কর্ণার, ৫ কৃষ্ণ ঘোষ’র হোটেল পরিচয়, ৬ উজ্জল দাশ’র মিতালী সেনিটেশনের গোডাউন ও ৭ অরূপ মুৎর্সুদ্দী’র জননী বেত সমাহার।
সুনিল সাহা’র তিনটি মেশিন,মটর ও তার ছেলে ছোটন সাহা’র ষ্ঠেশনারীর দোকানটি পুড়ে যায়। রাকিব ও জেবল হোসেন’র ফার্নিচারের দোকান সেখানে থাকা সেগুন কাঠের ছোফা, আলমারী, বক্স খাট সহ আরো বিভিন্ন আইটেমের মালামালা পুড়ে যায়। মো. ইয়াকুব আলী’র আলম বেকারীতে তিনটি ফ্রিজ, দোকেনের পিছনে গোডাউন দোকান ভর্তি মালামাল, ক্যাশে থাকা নগদ টাকা, বিভিন্ন এনজিও’র বই, বকেয়া হিসাব নিকাশের বই সহ বেশ কয়েক টি মোবাইল ফোন পুড়ে যায়।
উজ্জল দাশ’র মিতালি গোডাউন সহ আরো কয়েক লক্ষ টাকার মালামাল পুড়ে যায়। অরূপ মুৎর্সুদ্দী’র জননী বেত সমাহার দোকান থেকে লক্ষ্য টাকার উপরে নতুন মাল সব পুয়ে গেছে এবং কৃষ্ণ ঘোষ’র হোটেল পরিচয় দোকানে চেয়ার, টেবিল, টিভি, ফ্রিজ ও ক্যাশে থাকা নগদ টাকাও পুড়ে গেছে।
আলম বেকারী’র মালিকের ছেলে ও রাঙামাটি সরকারী কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আহমেদ ইমতিয়াজ রিয়াদকে জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি সাইফুল আলম রাশেদ, সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নজরুল ইসলাম, শহর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক অপু সিং লেপচা ছাড়াও কলেজ, শহর, সদর উপজেলা এবং রাঙামাটি জেলা ছাত্রলীগ সহ আওয়ামীলীগের অঙ্গসংগঠনের বেশ কয়েকজন নেতা-কর্মিরা মোবাইলে ও সরাসরি দেখা করে সমবেদনা জানান।
এদিকে রাঙামাটি জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আবদুল জব্বার সুজনের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, আমি পারিবারিক কাজে বেশ কদিন যাবৎ রাঙামাটির বাইরে আছি, যার ফলে ঘটনা স্থলে যাওয়া আমার পক্ষে সম্ভব হয়নি।