বুধবার ● ৩০ নভেম্বর ২০১৬
প্রথম পাতা » অর্থ-বাণিজ্য » চা উৎপাদনে রেকর্ডের সম্ভাবনা
চা উৎপাদনে রেকর্ডের সম্ভাবনা
সিলেট প্রতিনিধি :: (১৬ অগ্রহায়ন ১৪২৩ বাঙলা : বাংলাদেশ সময় বেলা ২.১৫মি.) বাংলাদেশের উত্তর পূর্বাঞ্চলীয় পাহাড় বেষ্টিত চায়ের রাজধানীখ্যাত মৌলভীবাজারের চা বাগান গুলোতে চলতি বছরে চা উৎপাদনে নতুন রেকর্ড সৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। চায়ের উৎপাদন এবার অতীতের চেয়ে এ বছর বেশি উৎপাদন হবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
এক দশক আগে নানা জটিলতায় এ জেলায় মারাত্মকভাবে চায়ের উৎপাদন হ্রাস পায়। পরবর্তীতে চা শিল্প সংশ্লিষ্টদের নানামুখি পদক্ষেপের ফলে উৎপাদন বাড়তে থাকে।
বাগান সূত্রে জানা গেছে,২০১৫ সালে দেশে সর্বোচ্চ মাত্রার ৬৭ দশমিক ৩৮ মিলিয়ন কেজি চা উৎপাদন হয়েছিলো। চলতি বছর সেই রেকর্ড ভেঙে ৮০ মিলিয়ন কেজি ছাড়াবে।
তবে, মৌলভীবাজারের ৯২টি চ-বাগান সহ সিলেটে ২০১৫ সালে ৪ কোটি ১৪ লক্ষ কেজি ও চলতি বছরে এ পর্যন্ত ৫ কোটি ১০ লক্ষ কেজি চা- উৎপাদণ হয়েছে। এজন্য এবছরে সর্বকালের রেকর্ড সৃষ্টির বাস্তবতা তৈরী হয়েছে।
চা শিল্পের উন্নয়নে উচ্চ ফলনশীল ও গুণগতমানের ১৮টি ক্লোন উদ্ভাবন করেছেন বাংলাদেশ চা গবেষণা কেন্দ্রের গবেষকরা। উদ্ভাবিত এই ক্লোনগুলোর উৎ্পাদন ক্ষমতা অনেক বেশী। তাই উৎপাদন বৃদ্ধির ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে ক্লোন চারা রূপণের পরামর্শ গবেষকদের।
চা শ্রমিকরা জানান, চায়ের উৎপাদন বেশী হওয়ায় আমরা আগের চেয়ে বেশী চাপাতী সংগ্রহ করতে পারি। তাই আমাদের আয়-রোজগারও আগের চেয়ে বেশী হয়। আমারা মোটামোটি পরিবার পরিজন নিয়ে ভালই চলতে পারছে।
শ্রীমঙ্গল ভাড়াউড়া চা বাগান ব্যাবস্থাপক জি এম শিবলী বলেন, অনুকূল অবহ্ওায়া থাকার কারণে চা এর উৎপাদন গত বছর থেকে এ বছর ভাল হয়েছে তাই আমরা আশা করছি এভাবে উৎপাদণ অব্যাহত থাকলে বিদেশ থেকে আর চা আমদানি করার প্রয়োজন হবেনা।
মৌলভী চা বাগানের ব্যবস্থাপক বলেন, এ বছর উৎপাদন বেশি হওয়ায় মালিকদের পাশাপাশি শ্রমিকরাও খুশি গোবিন্দপুর চা বাগান মালিক মহসীন মিয়া মধু বলেন, আগাম বৃষ্টিপাত ও অনুকূল আবহাওয়ার কারনে অন্যান্য বছরের চেয়ে এ বছর চায়ের উৎপাদন ভাল হয়েছে।
প্রতিটি বাগানে গ্যাস - বিদ্যুৎ নিশ্চিতসহ অন্য শিল্প প্রতিষ্ঠানের মত সমান সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার দাবী তার। সরকারের কাছে তার দাবী বাহির থেকে চা আমাদানী করলে উপযুক্ত শুল্ক আদায় নিশ্চিত হোক।