বুধবার ● ৩০ নভেম্বর ২০১৬
প্রথম পাতা » অপরাধ » শিক্ষকের বিরুদ্ধে ছাত্রকে বলৎকারের অভিযোগ
শিক্ষকের বিরুদ্ধে ছাত্রকে বলৎকারের অভিযোগ
গাজীপুর জেলা প্রতিনিধি :: (১৬ অগ্রহায়ন ১৪২৩ বাঙলা : বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৭.১০মি.) গাজীপুর শহরের একটি বিদ্যালয়ের হোস্টেলে চতুর্থ শ্রেণির এক ছাত্রকে বলৎকারের অভিযোগ উঠেছে এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে।গত ২২ নভেম্বর মঙ্গলবার ‘গাজীপুর শহীদ ক্যাডেট একাডেমী’র হোস্টেলে এ ঘটনা ঘটেছে বলে শিশুটির স্বজনরা দাবি করলেও থানায় কোনো অভিযোগ করেনি।
২৮ নভেম্বর সোমবার তাকে গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বর্তমানের সেখানে চিকিৎসাধীন আছে।
শিশুটির (১০) ফুফা সিএইচটি মিডিয়া প্রতিনিধিকে বলেন, গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলার ওই ছেলেটি জেলা শহরের মধ্য ছায়াবিথী এলাকার ‘গাজীপুর শহীদ ক্যাডেট একাডেমী’ স্কুলে এক বছর ধরে পড়াশোনা করছে। ভর্তির পর থেকে সে ওই স্কুলের আবাসিকে থাকছিল।
তিনি বলেন, গত ২২ নভেম্বর মঙ্গলবার গভীর রাতে এক আবাসিক শিক্ষক ওই শিশুকে ভয়ভীতি দেখিয়ে জোড়পূর্বক বলৎকার করেন। পরে তার চিৎকার শুনে একই ভবনে থাকা দশম শ্রেণির ছাত্ররা বেরিয়ে এসে ছাত্রটিকে উদ্ধার করে এবং শিক্ষককে পিটুনি দেয়।
বিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষ ওই ছাত্রকে ঘটনাটি কাউকে না বলার জন্য ভয়ভীতি দেখায় বলে অভিযোগ করেন তার ফুপা।
তিনি জানান, এরপর কয়েক দিন সেখানে ছিল সে। তারপর গত শনিবার কাউকে না বলে সে বাড়ি চলে যায় এবং সেখানে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়লে মাকে ঘটনাটি জানায়। পরে অন্য স্বজনরা জানতে পারে।
গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডা. প্রণয়ভূষণ দাস সিএইচটি মিডিয়া প্রতিনিধিকে বলেন, ছাত্রটিকে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়েছে। প্রতিবেদন পাওয়ার পরই বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যাবে।
ছাত্রটির আরেক আত্মীয় সিএইচটি মিডিয়া প্রতিনিধিকে বলেন, হাসপাতালের চিকিৎসক তাদের জানিয়েছেন, তার পায়ুপথে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। মঙ্গলবার বেশ কয়েকটি পরীক্ষা নিরীক্ষা করা হয়েছে।
মঙ্গলবার সকালে হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায় একটি বেডে চুপচাপ বসে আছে শিশুটি।
কী হয়েছিল জানতে চাইলে সে বলে, “স্যার আমার সাথে খারাপ কাজ করছে। আমারে অনেক ভয় দেখাইছে।”
বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক শহিদুল ইসলাম সিএইচটি মিডিয়া প্রতিনিধিকে বলেন, “ওই ছাত্রের ফুফার কাছে দেড় লাখ টাকা পাই। ওই টাকা চাইলে তিনি না পরিশোধ করে তালবাহানা করেন। টাকা না দেওয়ার জন্য তিনি ওই মিথ্যা গুজব রটান বলে আমার ধারণা।”
তবে ঘটনাটি শোনার পর তাৎক্ষণিকভাবে ওই শিক্ষককে চাকরিচ্যুত করা হয় বলে জানান তিনি।
জয়দেবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) খন্দকার রেজাউল হাসান সিএইচটি মিডিয়া প্রতিনিধিকে জানান, এমন কোনো ঘটনা তার জানা নেই। স্কুল কর্তৃপক্ষ বা ছাত্রের পরিবার কোনো অভিযোগ দেয়নি।