বুধবার ● ৩০ নভেম্বর ২০১৬
প্রথম পাতা » অপরাধ » গাজীপুরে টাম্পাকো দুর্ঘটনার ৬ আসামির আত্মসমর্পন, মালিকের জামিন, ৫ জন কারাগারে
গাজীপুরে টাম্পাকো দুর্ঘটনার ৬ আসামির আত্মসমর্পন, মালিকের জামিন, ৫ জন কারাগারে
গাজীপুর জেলা প্রতিনিধি :: (১৬ অগ্রহায়ন ১৪২৩ বাঙলা : বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৭.৫৫মি.) গাজীপুরের টঙ্গীতে টাম্পকো ফয়লস কারখানায় বিষ্ফোরণ ও অগ্নিকান্ডে হতাহতের ঘটনায় টঙ্গী থানায় দায়েরকৃত পৃথক দুটি মামলায় উচ্চ আদালতের নির্দেশে ৬ আসামি ৩০ নভেম্বর বুধবার বিকেল ৪ টার দিকে গাজীপুর আদালতে আত্মসমর্পন করেন।
শুনানী শেষে গাজীপুরের জেলা ও দায়রা জজ এ কে এম এনামুল হক প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান সাবেক সংসদ সদস্য সৈয়দ মকবুল হোসেনকে অস্থায়ী জামিন প্রদান করেন এবং অপর ৫ আসামির জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
আসামিরা হলেন- সৈয়দ মকবুল হোসেনের ছেলে ও কারখানার ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ তানভীর আহমেদ, উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক (ডিএমডি) আলমগীর হোসেন, জেনারেল ম্যানেজার সফিকুর রহমান, ম্যানেজার এডমিন মো. মনির হোসেন ওরফে মনিরুজ্জামান ও ম্যানেজার হানিফ ওরফে আবু হানিফ।
গাজীপুর আদালতের পরিদর্শন মো. রবিউল ইসলাম সিএইচটি মিডিয়া প্রতিনিধিকে জানান, উচ্চ আদালতের নির্দেশে আসামিরা দুপুরে গাজীপুরের জেলা ও দায়রা জজ এ কে এম এনামুল হকের আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন প্রার্থনা করেন। শুনানী শেষে আদালত টাম্পাকো ফয়লস কারখানার মালিক সৈয়দ মকবুল হোসেনকে ৪ জানুয়ারি ২০১৭ পর্যন্ত অস্থায়ী জামিন প্রদান করেন। অপর ৫ আসামি সৈয়দ মকবুল হোসেনের ছেলে তানভীর হোসেন, সফি সামি ওরফে আলমগীর হোসেন, সফিকুর রহমান, মনির হোসেন ওরফে মনিরুজ্জামান ও হানিফ ওরফে আবু হানিফের জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
তিনি আরো জানান, আসামি পক্ষে মামলার শুনানীতে অংশ নেন গাজীপুর মহানগর আওয়ামীলীগের সভাপতি এডভোকেট আজমত উল্লাহ খান এবং রাষ্ট্র পক্ষে ছিলেন আদালতের পিপি এডভোকেট হারিজ উদ্দিন আহমেদ।
উল্লেখ্য, বিএনপির সাবেক সাংসদ মকবুল হোসেনের মালিকানাধীন গাজীপুরের টঙ্গীর বিসিক শিল্পনগরী এলাকার টাম্পাকো ফয়লস লিমিটেড কারখানায় গত ১০ সেপ্টেম্বর শনিবার ভোর ৬টার দিকে ভয়াবহ বিষ্ফোরণ ও অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। এতে ওই কারখানার বিশাল ভবনের অধিকাংশই ধ্বসে পড়ে বিশাল ধ্বংস স্তুপে পরিনত হয়। পরে ১২ সেপ্টেম্বর সোমবার কারখানা মালিকসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে টঙ্গী মডেল থানায় প্রথম মামলাটি দায়ের করেন নিহত শ্রমিক জুয়েলের পিতা আব্দুল কাদের।
পরে ১৭ সেপ্টেম্বর শনিবার রাতে টঙ্গী মডেল থানার এস আই অজয় কুমার বাদী হয়ে কারখানা মালিকসহ ১০ জনকে আসামী করে দ্বিতীয় মামলাটি দায়ের করেন। ভয়াবহ বিস্ফোরণ ও অগ্নিকান্ডে অন্তত ৩৯ জন মারা যান এবং আহত হন আরও অন্তত ৩৬ জন। এছাড়া নিখোঁজ রয়েছেন ৯ জন।