বৃহস্পতিবার ● ১ ডিসেম্বর ২০১৬
প্রথম পাতা » জাতীয় » মহান বিজয়ের মাস শুরু আজ পহেলা ডিসেম্বর
মহান বিজয়ের মাস শুরু আজ পহেলা ডিসেম্বর
মো. আবদুল নাঈম মোহন, ষ্টাফ রিপোর্টার :: (১৭ অগ্রহায়ন ১৪২৩ বাঙলা : বাংলাদেশ সময় রাত ৯.২৮মি.) বাঙালির গৌরবোজ্জল মুক্তিযুদ্ধের বিজয়ের মাস শুরু।
আজ পহেলা ডিসেম্বর । ১৯৭১ সালে এই মাসে বাঙালি জাতির জীবনে নিয়ে এসেছিল এক মহান অর্জনের আনন্দ। ৩০লাখ শহীদ আর ২লাখ মা-বোনের সম্ভ্রমহানির বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতার স্বাক্ষর বিজয়ের মাস বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনার সঙ্গে নানা অনুষ্ঠানের মধ্যদিয়ে পালিত হবে।
ওই বছরের ১৬ই ডিসেম্বর পরাধীনতার শৃঙ্খল থেকে মুক্তি হয় প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশ। বিশ্বের নামে মানচিত্র রচনা করার ইতিহাস। পাকিস্তানিদের দ্বারা সুদীর্ঘ ২৩ বছরের শোষণ, বন্ধনা আর অত্যাচার-নির্যাতনের সমাপ্তি ঘটে ১৬ই ডিসেম্বর।
এবার ১৬ই ডিসেম্বর পালিত হবে স্বাধীনতার ৪৫তম বার্ষিকী। ১৯৭১ সালে ২৫শে মার্চ রাতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ঝাঁপিয়ে পড়ে নিরস্ত্র বাঙালির ওপর।
স্বাধীনতার মহান স্থপতি, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে গ্রেপ্তার করে কারান্তরীণ করে হানাদার বাহিনী। শুরু হয় অপারেশন সার্চলাইট নামে ইতিহাসের নৃশংস হত্যাযজ্ঞ। এরপরই শুরু হয় মুক্তিযোদ্ধোদের পাল্টা প্রতিরোধ। দেশকে স্বাধীন ও মুক্তি করার যুদ্ধে ঝাপিঁয়ে পড়ে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার নারী পুরুষ। ডিসেম্বরে বিজয়ের শেষ সময় এসে পিছু হটতে থাকে হানাদার বাহিনী।
এক পর্যায়ে পাকিস্তানি বাহিনী দেশকে মেধাশূন্য করতে তাদের এদেশীয় দোসর রাজাকার, আলবদর, আল শামসদের সহযোগিতায় এ দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তান বুদ্ধিজীবীদের হত্যায় মেতে ওঠে। তাই বুদ্ধিজীবীদের প্রতি সম্মান দেখিয়ে প্রতি বছরের ১৪ই ডিসেম্বর বুদ্ধিজীবী হত্যা দিবস হিসেবে পালন করা হয়। মুক্তিযুদ্ধের শেষ সময় বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করেও শেষ রক্ষা হয়নি হানাদারদের। শেষ পর্যন্ত ১৬ই ডিসেম্বরেই পর্যুদস্ত হতে হয় তাদের।
৯ মাস যুদ্ধ শেষ ৩০ লাখ শহীদের রক্ত ও ২ লাখ নারী সম্ভ্রমের বিনিময়ে ১৬ই ডিসেম্বও আসে মুক্তির স্বাদ।
এদিন ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী আনুষ্ঠানিক আত্মসমর্পরণের মাধ্যমে সূচিত হয় বাঙালির বিজয়। এরপর স্বাধীন স্বভূমে ফিরে আসে ভারতের শিবিরে শরণার্থী হিসেবে বসবাস করা প্রায় কোটি নর - নারী। প্রবাসী মুজিবনগর সরকারও দেশে ফিরে এসে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব নেয়।
বাঙালির হাজার বছরের স্বপ্নপূরণ হবার পাশাপাশি বহু তরতাজা প্রাণ বিসর্জন আর মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে এই বিজয় অর্জন হওয়ায় বেদনাবিধূর এক শোক গাথাঁর মাসও এই ডিসেম্বর।