শুক্রবার ● ২ ডিসেম্বর ২০১৬
প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম বিভাগ » পার্বত্য চুক্তির ১৯ বছর পুর্তিতে আলীকদমে শান্তি র্যালী
পার্বত্য চুক্তির ১৯ বছর পুর্তিতে আলীকদমে শান্তি র্যালী
আলীকদম (বান্দরবান) প্রতিনিধি :: (১৮ অগ্রহায়ন ১৪২৩ বাঙলা: বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৭.১২মি.) পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (জেএসএস) ও ইউপিডিএফ এর সদস্যরা শান্তি চুক্তির ১৯ বছর পরও পার্বত্য চট্টগ্রামে বিপুল পরিমান চাঁদা আদায়, অস্ত্রবাজিসহ নানাভাবে পার্বত্য চট্টগ্রামের উন্নয়ন ব্যহত করছে। তারা পার্বত্য চট্টগ্রামের উন্নয়ন চায়না। পিছিয়ে পড়া ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর লোকজন যাতে শিক্ষা দীক্ষায় এগিয়ে আসতে না পারে তার জন্য তারা সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকান্ডে বাধা প্রদান করে আসছে। যার জলন্ত উদাহরণ রাঙ্গামাটিতে মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনে বাধা সৃষ্টি করা। পার্বত্য বান্দরবানের আলীকদমে শান্তিচুক্তির ১৯ বছর ফুর্তি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন আলীকদম সেনা জোনের জোন কমান্ডার লেঃ কর্ণেল মো. সারওয়ার হোসেন, পিএসসি। ২ ডিসেম্বর শুক্রবার সকাল নটায় এ উপলক্ষে স্মৃতিসৌধ চত্বর থেকে একটি বর্ণাঢ্য র্যালী বের হয় র্যালীটি আলীকদম উপজেলা প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন করে শান্তি সমাবেশে মিলিত হয়। এসময় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান নিজস্ব ব্যানারে র্যালী ও সমাবেশে যোগ দেয়।
লে. কর্ণের সারওয়ার হোসেন আরো বলেন, অপারেশন উত্তোরণের আওতায় বেসরকারি ও সরকারি প্রশাসন সেনা বাহিনীর সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করছে। পার্বত্য এলাকায় সেনা বাহিনী শিক্ষা, অবকাঠামো ও সামাজিক উন্নয়নসহ সকলক্ষেত্রে কাজ করছে। সেনাবাহিনী এসব কাজ করতে গিয়ে বাধার সম্মুখীন হচ্ছে। এছাড়াও সন্ত্রাসীরা স্থানীয়দের কাছে নির্দ্ধিষ্ট অংকের চাঁদা নিচ্ছে। তামাক চাষ থেকে শুরু করে বিভিন্ন সেক্টর থেকে চাঁদা নেয় সন্ত্রাসীরা। চাঁদার টাকায় জেএসএস নেতারা বিলাসবহুল জীবন যাপন করছে। অথচ ছোট ছোট নৃ-গোষ্ঠীর লোকজন মানবেতর জীবন যাপন করছে।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোজাম্মেল হক এর সভাপতিত্বে ও ইউপি সদস্য আব্দুল মুবিন এর সঞ্চালনা অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন, ১নং আলীকদম ইউপি চেয়ারম্যান জামাল উদ্দিন, আলীকদম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি)অপ্পেলা রাজু নাহা, উপজেলা জঙ্গি ও সন্ত্রাস বিরোধী কমিটির সদস্য সচিব মংব্রাচিং মার্মা, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুল হাসান টিপু প্রমূখ।
প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে জাতী ধর্ম নির্বিশেষে সরকারের উন্নয়ন কর্মকান্ডের সহিত একাত্বতা ঘোষনার আহবান জানান এবং দেশের উন্নয়ন কর্মকান্ডে সকলকে অংশ নেওয়ার আহবান জানান। দিবসের কর্মসূচী হিসেবে আলীকদম সেনা জোনের উদ্যোগে দিনব্যাপী বিনামূল্যে চিকিৎসা ক্যাম্প ও বিকেলে চলচিত্র প্রদর্শণী ছাড়াও বিভিন্ন কর্মসূচী গ্রহন করা হয়েছে।