রবিবার ● ৪ ডিসেম্বর ২০১৬
প্রথম পাতা » গাজিপুর » চাঁদাবাজির মামলায় মেয়র মান্নান রিমান্ডে
চাঁদাবাজির মামলায় মেয়র মান্নান রিমান্ডে
মুহাম্মদ আতিকুর রহমান (আতিক), গাজীপুর জেলা প্রতিনিধি :: (২০ অগ্রহায়ন ১৪২৩ বাঙলা : বাংলাদেশ সময় রাত ৮.৫৭মি.) গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের সাময়িক বরখাস্তকৃত মেয়র অধ্যাপক এমএ মান্নানকে জয়দেবপুর থানায় চাঁদাবাজির একটি মামলায় এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
৪ ডিসেম্বর রবিবার গাজীপুরের জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালত-৩ এর বিচারক মোঃ আবদুল হাই ওই আদেশ দেন।
গাজীপুর আদালতের পরিদর্শক মো. রবিউল হোসেন সিএইচটি মিডিয়া প্রতিনিধিকে জানান, কারাগারে আটক মেয়র মান্নান ২০১৪ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর টঙ্গীর সিলমুন এলাকার বাসিন্দা রমিজ উদ্দিনের কাছে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। চাঁদা না দেয়ায় সহযোগীদের নিয়ে রমিজকে মারধরও করেন। এ ঘটনায় রমিজ উদ্দিন বাদি হয়ে গত ২৪ নভেম্বর বৃহস্পতিবার মেয়রসহ ৮জনকে আসামী করে জয়দেবপুর থানায় মামলা করেন। এ মামলায় ২৫ নভেম্বর মেয়রকে গ্রেফতার দেখানো হয়।
ওই মামলায় জ্ঞিাসাবাদের জন্যে তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই রুহুল আমীন ৫ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। রবিবার শুনানী শেষে বিচারক একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে আগামী দুই দিনের মধ্যে আসামীকে আদালতে হাজিরের পুলিশকে আদেশ দেন।
এর আগে রবিবার সকালে কাশিমপুর কারাগার থেকে মেয়র মান্নানকে গাজীপুর আদালতের হাজতে আনা হয়। অসুস্থ থাকায় হুইল চেয়ারে করে তাঁকে হাজতখানা থেকে বিচারকের সামনে হাজির করা হয়। এসময় বিএনপির নেতা-কর্মী ও আইনজীবিরা আদালত প্রাঙ্গনে ভীড় জমায়।
অধ্যাপক মান্নানের আইনজীবি গাজীপুর বারের সভাপতি এডভোকেট সহিদুজ্জামান জানান, গত ২৪ নভেম্বর বৃহস্পতিবার পর্যন্ত মেয়র মান্নানের বিরুদ্ধে ২৭টি মামলা ছিল। ওই দিন সব মামলায় জামিন লাভ করে তিনি মুক্তির অপেক্ষায় ছিলেন। তাঁর মুক্তি আটকে দেয়ার জন্যেই ২০১৪ সালের কাল্পনিক ঘটনা উল্লেখ করে মামলাটি দায়ের করা হয়েছে। বাদি এজাহারে যে মোবাইল ফোন নাম্বার উল্লেখ করেছেন, সেটি লালমনিরহাট জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার জেলার এক ব্যক্তির।
এদিকে এ মামলায় গ্রেফতার দেখানোর পর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা জয়দেবপুর থানার এসআই রুহুল আমীন গত ২৯ নভেম্বর মঙ্গলবার মামলার প্রধান আসামি অধ্যাপক এমএ মান্নানকে পাঁচ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে আবেদন করেন। রবিবার এ মামলার শুনানি হয়।