শুক্রবার ● ৯ ডিসেম্বর ২০১৬
প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম বিভাগ » রাঙামাটিতে ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে জশনে জুলুস
রাঙামাটিতে ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে জশনে জুলুস
মো. আবদুল নাঈম মোহন :: (২৫ অগ্রহায়ন ১৪২৩ বাঙলা : বাংলাদেশ সময় রাত ৮.৫০মি.) বিশ্ব মানবতা শান্তির দূত, মুক্তির দিশারী প্রিয় নবী হযরত মোহাম্মদ (সাঃ) এর আগম উপলক্ষে গাউছিয়া কমিটি বাংলাদেশ রাঙামাটি জেলা শাখার উদ্দ্যেগে রাঙামাটিতে ঈদে মিলাদুন্নবীর জশনে জুলুস যথাযত মর্যাদায় পালন করা হয়।
৯ ডিসেম্বর শুক্রবার বাদে জুমার রিজার্ভ বাজার জামে মসজিদ হইতে জুলুশের যাত্রা শুরু হয়, এর পর শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থান প্রদক্ষীণ করে বনরূপা জামে মসজিদ প্রাঙ্গনে শেষ হয়। এতে হাজার-হাজার ধর্মপ্রাণ মুসলমান অংশ গ্রহণ করে।
জুলুস পরবর্র্তী সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, রাঙামাটি সিনিয়র মাদ্রাসার অধ্যক্ষ ও রির্জাভ বাজার জামে মসজিদের খতিব আলহাজ্ব হাফেজ নজরুল ইসলাম নঈমী, শান্তি নগর জামে মসজিদের খতিব মাওলানা শফিউল আলম আলকাদেরী, বনরূপা জামে মসজিদের খতিব আল্লামা রফিকুল ইসলাম আশরাফী সাহেব ও বিভিন্ন মসজিদের খতিবগণ এসময় বক্তব্য প্রদান করেন।
বক্তরা বলেন নবী করিম (সাঃ) আগমন উপলক্ষে বিশ্বব্যাপি অপূরন্ত করুনার আধার সৃষ্টি হয়, আবিভাবের ফলে জগতের সমস্ত পঙ্কিলতা, কু-সংস্কার, অন্যায়, অবিচারম নৈরাজ্য ,অবক্ষয় ও ধীরে ধীরে অপসৃত হতে শুরু করে। ঈদ-ই মিলাদুন্নবী (সাঃ) হলো সকল ঈদের সেরা ঈদ, এতে সন্দেহের কোন অবকাশ নেই, এই ঈদ না হলে ঈদুল ফিতর, ঈদুল আযহা কোনটায় হতো না। পক্ষান্তরে আল্লাহ্ পবিত্র কোরআন মাজিদে ঈদে মিলাদুন্নবী (সাঃ) মিলাদ সর্ম্পকে বিশেষ বিশেষ উপলক্ষ ও ক্ষেত্রে সুস্পষ্ট বর্ণনা দিয়েছেন। জশনে জুলুস উদযাপন হচ্ছে ঈমানদার মুসলমানের নবী (দঃ) প্রেমের বহিঃপ্রকাশ। যুগে যুগে সাহাবায়ে কেরাম, তাবেঈন, তবে তাবেঈন, অলি-আউলিয়াগণ এ জশনে জুলুসে ঈদ-এ মিলাদুন্নবী (দঃ) উদযাপন করেছেন এবং মুসলিম উম্মাহকে শিক্ষা দিয়ে গেছেন। এটি ইসলামী সংস্কৃতির একটি অপরিহার্য অংগ।
এসময় বক্তরা আরো বলেন, যারা এর বিরোধীতা করেন তারা মুসলমান নামধারী মোনাফেক। তাদের ব্যাপারে সজাগ থাকার জন্য সবাইকে অনুরোধ জানান। বক্তব্য শেষে মিলাদ কিয়াম পরিচালনা করেন বাংলাদেশ ইমাম সমিতি রাঙামাটি পার্বত্য জেলার সেক্রেটারী ক্বারী মোহাম্মদ ওসমান গণি চৌধুরী।
মোনাজাত পরিচালনা করেন প্রবীণ আলেমে দ্বীন অধ্যক্ষ আল্লামা কাজী নুরুল আলম হেজাজী সাহেব।