শনিবার ● ১০ ডিসেম্বর ২০১৬
প্রথম পাতা » প্রধান সংবাদ » বরগুনায় তথ্য জালিয়াতি ফাঁস মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার
বরগুনায় তথ্য জালিয়াতি ফাঁস মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার
মুতাসিম বিল্লাহ, বরগুনা প্রতিনিধি :: (২৬ অগ্রহায়ন ১৪২৩ বাঙলা : বাংলাদেশ সময় বিকাল ৪.০৩মি.) বরগুনা জেলা পরিষদ নির্বাচনে ৪নং ওয়ার্ডে সংরক্ষিত আসনে মহিলা সদস্য পদে তালতলী উপজেলারকড়ইবাড়ীয়া ইউপি চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মাদ
মাস্টারের পুত্রবধূ স্ত্রী নাজনীন তার হলফনামায় তথ্য গোপন করে মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। যাচাই-বাছাইয়ে বৈধ হলেও গোপনীয় তথ্য ফাঁস হওয়ায় বৃহস্পতিবার
প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নেন। জেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থী হতে ২৫ বছর বয়স বাধ্যতামূলক।
নাজনীনের জাতীয় পরিচয়পত্রে বয়স ২৫ বছর না হওয়ার কারণে তিনি জাতীয়পত্র ও ভোটার তালিকা জালিয়াতি করে বয়স বাড়িয়ে হলফনামা দাখিল করেন।
নির্বাচন কমিশনে দাখিলকৃত হলফনামায় তিনি তার জন্ম তারিখ উল্লেখ করেন ৩১ অক্টোবর ১৯৯১। আর সেই অনুযায়ী জাতীয় পরিচয়পত্রে ও ভোটার তালিকায় ওই
একই জন্ম তারিখ কম্পিউটার দিয়ে লিখিয়ে নেন নাজনীন। নির্বাচন কমিশনের ওয়েব সাইটে দেয়া তথ্য অনুযায়ী নাম নাজনীন পিতা আতিকুর রহমান,স্বামী মাহমুদ রিয়াদ শামীম,মাতা কুলসুম। জাতীয় পরিচয়পত্রনং- ১৯৯১০৪১৯২৭৯০০০০২৮। জন্ম তারিখ ৩১ ডিসেম্বর ১৯৯১।
গ্রাম হেলেঞ্চাবাড়িয়া, উপজেলা তালতলী, জেলা বরগুনা। কি করে তিনি বাছাইতে টিকলেন জানতে চাইলে জেলা নির্বাচন অফিসার বলেন,নির্বাচন কমিশন থেকে আমরা যে ভোটার তালিকার সিডি দিয়েছি প্রার্থীদের সেই ভোটার তালিকাই জমা
দেয়ার কথা। কিন্তু এই প্রার্থী কিভাবে তা জালিয়াতি করেছে তা আমরা না জানতে পারার কারণে বাছাই পর্বে সে বৈধ হয়। তবে এ ব্যাপারে যে কেউ আদালতে
আইনের আশ্রয় নিতে পারে। জাতীয় পরিচয়পত্র জালিয়াতি করে সরকারি কোনো প্রতিষ্ঠানে জমা দেয়া দণ্ডনীয় অপরাধ বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
এ ব্যাপারে বজানতে চাইলে ফোনে সিএইচটি মিডিয়া প্রতিনিধিকে নাজনীন জানান, আমি আমার প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নিয়েছি। তবে ভোটার আইডি কার্ডে বয়স বাড়ানোর ব্যাপারে তিনি কিছু বলতে রাজি হননি।