রবিবার ● ১১ ডিসেম্বর ২০১৬
প্রথম পাতা » অপরাধ » শান ওভারসিজ রিক্রুটিং এজেন্সি বিদেশে মহিলা পাঠিয়ে আটক রেখে অসামাজিক কাজ করাতে বাধ্য করাচ্ছে
শান ওভারসিজ রিক্রুটিং এজেন্সি বিদেশে মহিলা পাঠিয়ে আটক রেখে অসামাজিক কাজ করাতে বাধ্য করাচ্ছে
ঈশ্বরদী প্রতিনিধি :: (২৭ অগ্রহায়ন ১৪২৩ বাঙলা: বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৬.৩৩মি.) রিয়াদের আল কাশেমে পাঠানোর পর পনের মাস থেকে স্ত্রী চম্পার নানা কষ্টে থাকার অভিযোগ করা হয়েছে। ১১ ডিসেম্বর রবিবার সকালে সংশ্লিষ্ট রিক্রুটিং এজেন্সির বিরুদ্দে সাংবাদিকদের নিকট লিখিত অভিযোগ করেছেন চম্পার স্বামী ঈশ্বরদী পিয়ারপুর বিল পাড়ার মৃত গোফরান আলীর ছেলে এহসান আলী। তিনি লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করেছেন, আমার স্ত্রী মোছা. চাম্পা বেগমকে গত ৬ অক্টোবর ২০১৫ ইংরেজি তারিখে শান ওভারসিজ রিক্রুটিং এজেন্সির প্রোপাইটর (লাইসেন্স নং- আর,এল ৭৫৯, হোল্ডিং ১১৫/২৩ মতিঝিল সার্কুলার রোড আরামবাগ, ঢাকা-১০০০) এবিএম শামছুল আলমের (কাজল) মাধ্যমে গৃহকর্মী হিসাবে রিয়াদের আল কাশেমে পাঠায়। বিদেশে যাওয়ার পর আমার স্ত্রী মাঝে মধ্যে আমাকে ফোন করে বলতো যে, আমি যে বাড়িতে আছি সেই বাড়িতে খুব কষ্টে আছি। স্ত্রীর কথা শুনে আমি প্রায় এক বছর পূর্বে এবিএম শামছুল আলমের ঢাকাস্থ অফিসে ১০ থেকে ১২ বার গিয়ে স্ত্রীর কষ্টে থাকার বিষয়টি জানালে উক্ত শামসুল আলম আমার স্ত্রীর বাসা পরিবর্তন করে নতুন বাসায় উঠিয়ে দেন। নতুন বাসায় গিয়েও আমার স্ত্রীর কষ্ট কমেনা। এমনকি ঐ বাড়ীর লোকজন আমার স্ত্রীকে আমার কাছে মোবাইলে কল করা থেকেও বিরত রাখে। এ অবস্থায় আমি পুনরায় এবিএম শামছুল আলমের অফিসে গিয়ে বিষয়টি অবগত করি।
গত ২৮ নভেম্বর ২০১৬ তারিখে আমার স্ত্রীর সাথে (মোবাইল ০০৯৬৬৫৫৫৬৬১৭২৯৬ নম্বরে) শেষ কথা হয়। সে সময় স্ত্রী চম্পা আমাকে বলে বিদেশ থেকে আমাকে বাংলাদেশে ফিরিয়ে না নিলে আমি আত্মহত্যা করতে বাধ্য হবো। এরপর থেকে আমার স্ত্রীর সঙ্গে কথা হয় না। অসহায় অবস্থায় আমি গত ৮ ডিসেম্বর ২০১৬ ইংরেজি তারিখ বেলা ৩টায় উক্ত এবিএম শামছুল আলমের সঙ্গে আমার স্ত্রীর বিষয় মোবাইল ফোনে ০১৯২২৮৩৯২৯০ থেকে ০১৭৩২-৪০৬৩৬৬ নম্বরে রিং করে কথা হয়। স্ত্রীর বিষয় জানতে চাওয়া হলে তিনি আমাকে রাগারাগি করে বিভিন্ন ভাবে জীবন নাশের হুমকি দেন এবং আমার স্ত্রীর বর্তমান অবস্থান জানাতে অস্বীকার করেন। স্ত্রীর বিষয় নিয়ে তার সাথে কথা বলতে নিষেধ করেন। আমার বিশ্বাস উক্ত ব্যক্তি আমার স্ত্রীকে বিদেশে অন্যায় ভাবে আটক রেখে অসামাজিক কাজ করাতে বাধ্য করাচ্ছেন। এদিকে শান ওভারসিজ রিক্রুটিং এজেন্সির প্রোপাইটর এবিএম শামছুল আলম কাজল মোবাইল ফোনে সকল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন,বিদেশে মেয়েদের পাঠানোর পর মেয়েরা বাড়িতে টাকা পাঠানো বন্ধ করে দেয়। তখন অভিভাবকদের পক্ষ থেকে কমপক্ষে ১’শ জন ধর্ষণ করেছে বলেও অভিযোগ করা হয়।