বুধবার ● ১৪ ডিসেম্বর ২০১৬
প্রথম পাতা » অপরাধ » রাঙামাটিতে ইউপিডিএফ এর গুলিতে ২ জেএসএস কর্মী নিহত
রাঙামাটিতে ইউপিডিএফ এর গুলিতে ২ জেএসএস কর্মী নিহত
ষ্টাফ রিপোর্টার :: (৩০ অগ্রহায়ন ১৪২৩ বাঙলা: বাংলাদেশ সময় রাত ৮.২৩মি.) রাঙামাটি পার্বত্য জেলার বাঘাইছড়ি উপজেলায় পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি এমএন লারমা গ্রুপের দুই সদস্যকে গুলি করে হত্যার খবর পাওয়া গেছে।
১৩ ডিসেম্বর মঙ্গলবার গভীর রাতে বঙ্গলতলী ইউনিয়নের হাঙ্গালছড়া ভুয়াছড়ি এলাকায় এ হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন ওই এলাকার তপন জ্যোতি চাকমা (২৬) ও যুদ্ধচন্দ্র চাকমা (২৯)।
প্রাথমিকভাবে জানা গেছে এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে ইউনাইটেড পিপলস ডেোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) ও পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি এমএন লারমা গ্রুপের দুই পক্ষের দ্বন্দ্বের জেরে এই হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে বলে সিএইচটি মিডিয়া টুয়েন্টিফোর ডটকম’কে জানান বাঘাইছড়ি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবুল কালাম চৌধুরী ।
১৪ ডিসেম্বর সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার সময় বাঘাইছড়ি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবুল কালাম চৌধুরী সিএইচটি মিডিয়া টুয়েন্টিফোর ডটকম’কে বলেন, যেহেতু ভুয়াছড়ি অত্যন্ত দুর্গম এলাকা তাই লাশ এখনো থানায় পৌঁছেনি, আমাদের ফোর্স লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসার জন্য ঘটনাস্থলে গেছে, লাশ থানায় পৌঁছলে ময়না তদন্তের জন্য খাগড়াছড়ি জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করা হবে।
হত্যাকান্ডে কোপানো এবং গুলি দুটোয় ব্যবহার হয়েছে এবং হত্যাকান্ডের ঘটনায় ইউপিডিএফ এর বিরুদ্ধে মামলা করা হবে বলেও জানান বাঘাইছড়ি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবুল কালাম চৌধুরী। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে এবং এলাকার পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির এম এন লারমা গ্রুপের বাঘাইছড়ি শাখার সভাপতি সুরেশ চাকমা সিএইচটি মিডিয়া টুয়েন্টিফোর ডটকম’কে বলেন, ইউপিডিএফের সদস্যরা আমাদের দুই সদস্যকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে ভুয়াছড়ি এলাকায় হত্যা করে লাশ ফেলে চলে গেছে।
অন্যদিকে ইউপিডিএফ এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত নয় দাবি করে সংগঠনটির রাঙামাটি জেলা শাখার তথ্য ও প্রচার সম্পাদক বাবলু চাকমা বলেন, ২০০৬ সাল থেকে বর্তমান পর্ষন্ত এমএন লারমা গ্রুপ ও ইউপিডিএফের মধ্যে সুসম্পর্ক রয়েছে।
উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে দুই সংগঠনের সম্পর্ক বিনষ্ট করতে এই অভিযোগ করা হচ্ছে। এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে ইউপিডিএফ কোনোভাবেই জড়িত নয়।