বৃহস্পতিবার ● ১৫ ডিসেম্বর ২০১৬
প্রথম পাতা » প্রধান সংবাদ » জেলা পরিষদ নির্বাচন : বিশ্বনাথে সদস্য প্রার্থীদের প্রচার-প্রচারনা তুঙ্গে
জেলা পরিষদ নির্বাচন : বিশ্বনাথে সদস্য প্রার্থীদের প্রচার-প্রচারনা তুঙ্গে
মো. আবুল কাশেম,বিশ্বনাথ ( সিলেট ) প্রতিনিধি :: (১ পৌষ ১৪২৩ বাঙলা : বাংলাদেশ সময় বেলা ৩.২২মি.) সিলেট জেলা পরিষদের নির্বাচনকে সামনে রেখে সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার ৯নং ওয়ার্ডের সদস্য প্রার্থীরা প্রতীক বরাদ্দ পাওয়ার পর নির্বাচনী প্রচারনায় ব্যস্ত সময় পার করছেন। এ ওয়ার্ডে এখন প্রার্থীদের প্রচার-প্রচারনা তুঙ্গে। বসে নেই জেলা পরিষদের নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী ও সংরক্ষিত মহিলা আসনের সদস্য প্রার্থীরাও।
জেলা পরিষদের নির্বাচনে শুধুমাত্র নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগের মাধ্যমে পরিষদের চেয়ারম্যান ও প্রতিটি ওয়ার্ডের একজন করে সদস্য নির্বাচিত করবেন। কিন্তু এ নির্বাচনকে ঘিরে ৯নং ওয়ার্ডের অর্ন্তভুক্ত বিশ্বনাথে ৮টি ইউনিয়নে সর্বত্র নির্বাচনী আমেজ বিরাজ করছে। ৯নং ওয়ার্ড থেকে সদস্য পদে ৭জন প্রার্থী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্ধিদ্বতা করায় নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের কদর বেড়েছে। নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী সদস্য প্রার্থী ও তাদের সমর্থক ও শুভাকাংখিরা প্রতিদিন নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের দ্বারস্ত হয়ে উন্নয়নের বিভিন্ন প্রতিশ্রুতি তুলে ধরে ভোট চাচ্ছেন।
এদিকে নির্বাচনকে ঘিরে কালো টাকার ছড়াছড়িও শুরু হয়েছে বলে অভিযোগও রয়েছে। এ নির্বাচনে দুইজন সাংবাদিক ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা অংশগ্রহন করছেন। প্রতীক পাওয়ার পর প্রার্থীদের পোস্টারে উপজেলা শহর এবং বিশেষ করে ইউনিয়ন পরিষদের আশপাশ এলাকা একাকার হয়ে গেছে। জেলা পরিষদের নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থীরাও পুরোধমে প্রচারনা চালাচ্ছেন।
জেলা পরিষদের নির্বাচনে ৯নং ওয়ার্ড বিশ্বনাথ উপজেলার লামাকাজি, খাজাঞ্চি, বিশ্বনাথ, অলংকারি, দৌলতপুর, দেওকলস, রামপাশা, দশঘর ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত। এ ওয়ার্ডে সদস্য পদে প্রতিদ্বন্ধিদ্বতা করছেন, উপজেলার দেওকলস ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান ও আ.লীগ নেতা ফখরুল ইসলাম মতছিন (তালা প্রতিক), সিলেট জেলা বিএনপির সাবেক দপ্তর সম্পাদক ও নিখোঁজ বিএনপি নেতা ইলিয়াস আলীর একান্ত সচিব মঈনুল হক (হাতি প্রতিক), বিশ্বনাথ প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক প্রনঞ্জয় বৈদ্য অপু (ঘুড়ি প্রতিক), পাক্ষিক বিশ্বনাথ বার্তা সম্পাদক মোসাদ্দেক হোসেন সাজুল (টিউবওয়েল প্রতিক),আ.লীগ নেতা কিনু মিয়া (অটোরিকশা প্রতিক), সমাজসেবক সহল আল রাজি (বৈদ্যতিক পাখা) ও যুবলীগ নেতা আবুল কাহার (ক্রিকেট ব্যাট প্রতিক)।
জেলা পরিষদের নির্বাচনে এ ওয়ার্ডে আ.লীগ ও বিএনপি সমর্থিত প্রায় অর্ধশতাধিক উপরে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি রয়েছেন। তাদের ভোট যে প্রার্থী বেশি পাবেন সদস্য পদে তিনি নির্বাচিত হবেন।