শনিবার ● ১৭ ডিসেম্বর ২০১৬
প্রথম পাতা » করোনা আপডেট » খাগড়াছড়িতে যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণে সুশীল সমাজের ভূমিকায় মতবিনিময়
খাগড়াছড়িতে যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণে সুশীল সমাজের ভূমিকায় মতবিনিময়
খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি :: (২ পৌষ ১৪২৩ বাঙলা: বাংরাদেশ সময় বিকাল ৫.৩০মি.) ‘যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে সুশীল সমাজের ভূমিকা’ শীর্ষক এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
১৭ ডিসেম্বর শনিবার বিকালে খাগড়াছড়ি প্রেসক্লাব মিলনায়তে বাংলাদেশ জাতীয় যক্ষ্মা নিরোধ সমিতি (নাটাব)’র আয়োজনে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
খাগড়াছড়ি প্রেসক্লাবের সভাপতি জীতেন বড়ুয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন খাগড়াছড়ি সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মেডিকেল অফিসার ডা. মিঠুন চাকমা। বিশষে অতিথির বক্তব্য রাখেন, নাটাব প্রোজেক্টের কো-অর্ডিনেটর মো: ইব্রাহিম ভূঁইয়া, খাগড়াছড়ি প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো: আবু দাউদ।
সভায় বক্তারা বলেন, যক্ষ্মা একটি মারাত্মক সংক্রমণজনিত রোগ। আক্রান্ত রোগীর হাঁচিকাশির মাধ্যমে এটি ছড়ায়। একজন রোগীর মাধ্যমে বছরে কমপক্ষে ১২ জন লোক এই রোগে আক্রান্ত হতে পারে। এজন্য এই রোগ সর্ম্পকে দেশের জনগণকে সচেতন করা দরকার। যক্ষ্মা সর্ম্পকে মানুষকে সচেতন করাই হলো নাটাব এর মূল উদ্দেশ্য। বাংলাদেশে যক্ষ্মা একটি অন্যতম ঘাতক ব্যাধি, যা প্রতি বছর বহু লোকের মৃত্যু ঘটায়। সামাজিক কুসংস্কার, অজ্ঞতা, অর্থনৈতিক সংকট ও সঠিক তথ্যের অভাবে যক্ষ্মা রোগীরা চিকিৎসা নিলেও নিয়মিত ঔষধ সেবন এবং পূর্ণ মেয়াদে চিকিৎসা গ্রহণ করে না। যা রোগীর মৃত্যুর কারণ হয়ে দাড়ায়। বর্তমানে এ রোগের চিকিৎসা ও ঔষধ বিনামূল্যে প্রদান করা হয়। নিয়মিত, পূর্ণ মাত্রায় ও নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত ঔষধ সেবন করলে যক্ষ্মা রোগ ভাল হয়ে যায়। বক্তারা যক্ষ্মা রোগ সর্ম্পকে জনগণকে সচেতন করে তুলতে সমাজের সচেতন ব্যক্তিদের বিশেষ ভূমিকা রাখার আহবান জানান।