রবিবার ● ১৮ ডিসেম্বর ২০১৬
প্রথম পাতা » খাগড়াছড়ি » মাটিরাঙ্গা শান্তি স্থাপন বিষয়ক সেমিনার
মাটিরাঙ্গা শান্তি স্থাপন বিষয়ক সেমিনার
মাটিরাঙ্গা প্রতিনিধি :: (৪পৌষ ১৪২৩ বাঙলা : বাংলাদেশ সময় রাত ১১.৪২মি.)
১৮ ডিসেম্বর রবিবার সকাল ১১ টায় খাগড়াছড়ি জেলার মাটিরাংগা উপজেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে শান্তি স্থাপন বিষয়ক এক সেমিনারের করেছে কারিতাশ বাংলাদেশ (আইসিডিপি) খাগড়াছড়ি আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি মাটিরাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিএম মশিউর রহমান ধর্মের নামে বিশৃংখলা করা যাবেনা উল্লেখ করে বলেন, জীবন বাঁচাতে ও সাজাতে ধর্মের প্রয়োজন,অশান্তির জন্য ধর্ম নয় শান্তির জন্য ধর্ম। আমরা সবাই যদি ধর্ম সম্পর্কে জানতাম তাহলে ধর্মিয় অনুশাসন থেকে দূরে সরে যেতাম না। এ সময় তিনি আরও বলেন,আসুন শান্তির জন্য আমরা ভ্রাত্বিত্বের বন্দনে এই দেশটাকে এগিয়ে নিয়ে যাই।
শান্তি স্থাপন বিষয়ক সভায় স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন কারিতাশ বাংলাদেশ (আইসিডিপি) খাগড়াছড়ি জেলার জুনিয়র কর্মসূচি কর্মকর্তা কিশোর এিপুরা।
এদিকে বিভিন্ন ধর্মের আলোচক হিসেবে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য প্রদান করেন, মাটিরাঙ্গা সরকারী ডিগ্রি কলেজ উপাধক্ষ্য ও সদস্য প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটি (আইসিডিপি) প্রশান্ত কুমার এিপুরা, এ্যাডভোকেসী লবি এন্ড নেটওয়ার্কিং টিম (আইসিডিপি) খাগড়াছড়ি প্রকল্প মাটিরাঙ্গা উপজেলা ও সভাপতি উপজেলা মানবাধিকার কমিশন আতশী মারমা।
এছাড়াও মাটিরাঙ্গা কেন্দ্রিয় জামে মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ আলহাজ্ব মওলানা মো. হারুনুর রশিদ,বৌদ্ধ ধর্মের ভদন্ত সংঘরত্ন থের, সনাতন ধর্মের রুপশ্রী চন্দ্র সেনদাস ভ্রম্মচারী আন্তর্জাতিক কৃষ্ণ ভাবনামৃত সংঘ ইসকন খাগড়াছড়ি সদর।
বক্তব্য রাখেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মাটিরাঙ্গা ইউপি চেয়ারম্যান হিরন জয় ত্রিপুরা ।
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সমাজ উন্নয়ন কর্মকর্তা মাটিরাঙ্গা উপজেলা কারিতাস(আইসিডিপি) খাগড়াছড়ি প্রকল্প কর্মকর্তা সাইমন্ড শ্যামল আসাম ।
বিভিন্ন ধর্মের আলোকে বক্তা ইমাম বলেন শান্তির যদি পেতে চাও তাহলে শান্তির কাজ কর। জাতি ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে আমরা সবাই এক আমাদের রক্ত এক মুসলমানদের রক্ত আর অন্য জাতির রক্ত এক, কোন ভেদাভেদ নাই। মহানবী (সা:) বলেছেন,যতক্ষন পর্যন্ত অপরের জন্য ভাল না চাইবে ততক্ষন পর্যন্ত নিজের ভাল আশা করা যাবেনা।
বৌদ্ধ বলেন নীতি বর্জনের কারণে আমাদের এই হত্যা কান্ড ঘটতেছে।
হিন্দু ধর্মে বলেন আমরা সবাইর স্রষ্টা এক ধর্ম ভিন্ন মানুষ এক মতভেদ ভুলে এক হতে পারলে আমাদের সহিংসতা বন্দ হবে। যারা স্রষ্টাকে ভালবাসি সবাই জীবকে ভালবাসতে হবে।
উল্লেখ সেমিনার শেষে প্রধান অতিথি পুরস্কার বিতরণ করেন।
এতে উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের প্রতি “মাসে, ৮শত টাকা করে ৫ মাসে ৬ জনকে প্রদান করেন যা প্রতি জনকে ৪ হাজার টাকা করে দেওয় হয়।
মাধ্যমিক পর্যায়ের মাসে ৫ শত করে মোট ৫ মাসের প্রতি জনকে ২ হাজার ৫ শত টাকা করে মোট ১২ জনকে প্রদান করেন।
প্রাথমিক পর্যায়ের ৪৮ জন ছাত্র/ছাত্রীর মধ্যে প্রতিজনকে ১১টি খাতা ১১টি বলপেন ও প্রাথমিক পর্যায়ে পড়ুয়া ১ জন ছাত্রীকে অসুস্থতা কালিন চিকিৎসার আর্থিক সহায়তা হিসাবে ৩ হাজার টাকা প্রদান করেন।