সোমবার ● ১৯ ডিসেম্বর ২০১৬
প্রথম পাতা » প্রধান সংবাদ » সুরমা নদী ভাঙনে ১০টি পরিবারের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি
সুরমা নদী ভাঙনে ১০টি পরিবারের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি
বিশ্বনাথ (সিলেট) প্রতিনিধি :: (৫ পৌষ ১৪২৩ বাঙলা : বাংলাদেশ সময় রাত ১০.২৬মি.) বিশ্বনাথে সুরম নদী ভাঙনের কবলে পড়েছে একটি গ্রামের ১০টি পরিবার। আর এ সংখ্যা সময় যত যাচ্ছে ততই ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে। নিজ বসতভিটা নদী গর্ভে বিলীন হওয়ায় পুরো গ্রামের লোকজন চরম আতংকের মধ্যে রয়েছেন। মাথাগোজাঁর ঠাঁই হারিয়ে এখন গৃহহারা হচ্ছেন অনেক পরিবার। নদী ভাঙনের শিকার পরিবারগুলো নিয়ে গৃহকর্তারা পড়েছেন চরম বিপাকে। এসব পরিবারের কথা চিন্তা করে জরুরী ভিত্তিতে নদী ভাঙন রোধে ব্যবস্থা নিতে সরকারের প্রতি আহবান জানিয়েছেন এলাকার লোকজন।
এদিকে নদী ভাঙনে খবর পেয়ে ১৯ ডিসেম্বর সোমবার দুপুরে এলাকা পরিদর্শন করেছেন ইউএনও অমিতাভ পরাগ তালুকদার।
স্থানীয় সূত্রে জানাগেছে, উপজেলার লামাকাজি ইউনিয়নের মাহতাবপুর গ্রামের সুরমা নদীর তীরে ভাঙন দেখা দেয় গত দুই তিন দিন ধরে। নদী ভাঙ্গনে মাহতাবপুর গ্রামের ১০টি পরিবারের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন। এলাকায় নদী ভাঙন রোধে ব্লক বসানো হয়। বর্তমানে এই ব্লকের পূর্বদিকে নতুন করে ভাঙন দেখা দিয়েছে। অতিদ্রুত ভাঙন বৃদ্ধি পাচ্ছে। যার ফলে অনেকের বসতভিটা ভাঙনের ফলে নদী গর্ভে বিলীত হতে চলেছে।
আছকর আলী, বিলাল উদ্দিন, গাবরু মিয়া, আবদুর নূর, মোহাম্মদ আলী, শহিদ মিয়া, রুশন আলী, শামছুল হক, জিয়াউল হকসহ প্রায় ১০টি পরিবার নদী ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।
গতকাল সোমবার বিকেলে নদী ভাঙন এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, নদী ভাঙনের ফলে বেশ কয়েকটি পরিবার খোলা আকাশের নিচে বসবাস করছে। তাদের আর্তনাতে এলাকার বাতাস ভারী হয়ে পড়েছে। স্থানীয় সংবাদকর্মী এসেছেন শুনে এলাকার শতশত মানুষ জুড়ো হতে দেখা যায়। এসময় তারা নদী ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের লোকজন শান্ত দেয়ার চেষ্ঠা করছেন।
নদী ভাঙ্গনের খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার গতকাল পরিদর্শনে যান। সেখানে গিয়ে তিনি ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের খোঁজ খবর নেন। পরিদর্শনে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, সমাজসেবক একেএম দুলাল, স্থানীয় ইউপি সদস্য হেলাল মিয়া, এমপি ইয়াহইয়া চৌধুরীর একান্ত সচিব আবু বক্কর প্রমুখ।
আবদুর নূর সিএইচটি মিডিয়া প্রতিনিধিকে বলেন, নদী ভাঙনে পরিবারের নিয়ে গত দুইদিন ধরে খোলা আকাশে বসবাস করছি। গ্রামের বেশ কয়েক পরিবার নদী ভাঙনে কবলে পড়েছেন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার অমিতাভ পরাগ তালুকদার নদীর ভাঙন পরিদর্শনের সত্যতা স্বীকার করে সিএইচটি মিডিয়া প্রতিনিধিকে বলেন, বিষয়টি উদ্ধর্তন কর্র্তৃপক্ষকে অবহিত করা হবে।