শিরোনাম:
●   কাউখালীতে আজিমুশশান সুন্নী সম্মেলন ●   রাবিপ্রবি’তে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত ●   শহীদদের আত্মত্যাগকে ক্ষমতার সিডি হিসাবে ব্যবহার করা হয়েছে ●   ঈশ্বরগঞ্জে ব্রেস্ট ক্যান্সার প্রতিরোধ বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত ●   শিক্ষকদের গবেষণা দেশের সামগ্রিক উন্নয়নে অবদান রাখছে : চুয়েট ভিসি ●   রামগড়ে আড়াই লাখ টাকা জরিমানা : ৫টি ইটভাটা বন্ধ ●   নবীগঞ্জে সেনাবাহিনীর অভিযানে ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার-১ ●   রাবিপ্রবি’তে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত ●   পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের নতুন চেয়ারম্যান অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল অনুপ কুমার চাকমা ●   রংধনু ক্লাবের সম্মাননা পেলো সংবাদ কর্মী আকতার হোসেন ●   রেডব্রিজ কমিউনিটি ট্রাস্টের শিক্ষার্থী এওয়ার্ড প্রদান অনুষ্ঠান সম্পন্ন ●   গোলাপগঞ্জে পিকআপের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী নিহত ●   পার্বতীপুর জামায়াতের মোটরসাইকেল শোডাউন ●   মিরসরাইয়ে বিএনপি-স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা খুন : স্থানীয় নেতাকর্মীদের স্বাক্ষ্য গ্রহণ করলো তদন্ত কমিটি ●   অর্থনৈতিক বৈষম্য দূর না হলে রাজনৈতিক সংস্কার টেকসই হবেনা ●   ঈশ্বরগঞ্জে জিয়াউর রহমানের ৮৯ তম জন্মবার্ষিকী পালিত ●   চট্টগ্রাম-রাঙামাটি মহাসড়কে গাড়ির ধাক্কায় যুবকের মৃত্যু ●   রংধনু ক্লাবের কার্যকরী পরিষদের অভিষেক ●   কাশখালী রশিদিয়া তা’লীমুল কুরআন একাডেমীতে বার্ষিক মাহফিল সম্পন্ন ●   পানছড়িতে সন্ত্রাসীদের দ্বারা ৩জন হামলার শিকার ●   আলীকদমে সড়কে ঝরলো ৩ প্রাণ ●   ঈশ্বরগঞ্জে রবিদাস সম্প্রদায়ের মাঝে কম্বল বিতরণ ●   দুবাইয়ে সংবর্ধিত হলেন জিয়া উদ্দিন ●   বৈষম্য বিলোপে অন্তর্বর্তী সরকারের মনোযোগ দেখা যাচ্ছেনা : সাইফুল হক ●   মিরসরাইয়ে ১৯ তম বিজ্লী গোল্ডকাপ ক্রিকেট টুর্ণামেন্টের উদ্বোধন ●   রাউজানে সরিষা ক্ষেতে হলুদের হাতছানি ●   আমৃত্যু সাজাপ্রাপ্ত আসামীসহ গ্রেফতার-৫ ●   রাঙামাটির বাঘাইছড়িতে তিনটি ইটভাটা বন্ধ ঘোষণা ●   হালদা নদীতে উদ্ধার করা জাল পুড়িয়ে ধ্বংস ●   ঈশ্বরগঞ্জে মশক ও জলবদ্ধতা নিরসন কার্যক্রমের উদ্বোধন
রাঙামাটি, বুধবার, ২২ জানুয়ারী ২০২৫, ৯ মাঘ ১৪৩১



CHT Media24.com অবসান হোক বৈষম্যের
বুধবার ● ২১ ডিসেম্বর ২০১৬
প্রথম পাতা » খুলনা বিভাগ » ঝিনাইদহ গনপুর্তের বেদখলে থাকা জমি দখলে নেয়া শুরু
প্রথম পাতা » খুলনা বিভাগ » ঝিনাইদহ গনপুর্তের বেদখলে থাকা জমি দখলে নেয়া শুরু
বুধবার ● ২১ ডিসেম্বর ২০১৬
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

ঝিনাইদহ গনপুর্তের বেদখলে থাকা জমি দখলে নেয়া শুরু

---ঝিনাইদহ প্রতিনিধি :: (৭ পৌষ ১৪২৩ বাঙলা : বাংলাদেশ সময় রাত ৯.৪৯মি.) স্বামী মুনছুর আলীর মৃত্যুর পর স্ত্রী ঝিনাইদহের গুলনাহার ওরফে গোলে বুড়ির আশ্রয় হারা হয়ে পড়েন। তিন সন্তান নিয়ে ফিরে আসেন বাবার বাড়ি ঝিনাইদহ কালীগঞ্জের বেজপাড়া গ্রামে। সেখানেও তার থাকার কোনো জায়গা হয়নি। শেষে ওই গ্রামের এক পাশে জঙ্গলে ঢাকা গণপূর্ত বিভাগের পতিত জায়গা পরিষ্কার করে সেখানে টিনের চালা তৈরী করে বসবাস শুরু করেন।

দীর্ঘ ৩৫ বছর সেখানেই বসবাস করছেন গোলে বুড়ির পরিবার। তার সন্তানেরাও পরিবার পরিজন নিয়ে এখানেই আছেন। গোলে বুড়িই মতো আরো ৭ জন বিধবা থাকেন এই জায়গায়। যাদের যাবার কোনো জায়গা নেই। সম্প্রতি গণপূর্ত বিভাগ ওই স্থানটি ঘিরে দিয়েছেন। চলে যেতে বলা হয়েছে ওই স্থানের বসবাসকারিদের। এতে অসহায় পরিবার গুলোর মাঝে কান্নাকাটি শুরু হয়ে গেছে। স্থানিয়রা বলছেন, এদের পূর্নবাসনের ব্যবস্থা না করে উঠিয়ে দেওয়া অমানবিক হবে। কোনো ব্যবস্থা ছাড়াই এদের উচ্ছেদ করা হলে এরা যাবেন কোথায়।

ঝিনাইদহ কালীগঞ্জ উপজেলার বেজপাড়া মৌজায় গণপূর্ত বিভাগের ৬ একর ৯০ শতক জমি রয়েছে। যেখানে বেশ কিছু অসহায় পরিবার ঝুপড়ি ঘর বেঁধে বসবাস করছেন। কিছু জায়গায় কলা-কচুর চাষ হচ্ছে, আর কিছু জায়গা পড়ে আছে। গণপূর্ণ বিভাগ ঝিনাইদহ অফিস সুত্রে জানাগেছে, ১৯৫২ সালে এখানে ইট তৈরীর জন্য ভাটা প্রস্তুত করা হয়। সেই সময়ে এলাকায় কিছু ভবন নির্মানের জন্য ইটের প্রয়োজন হয়। এই ইট তৈরীর কাজ শেষে জমিটি পতিত হয়ে যায়।

বেজপাড়া গ্রামের বাসিন্দা আনিছুর রহমান সিএইচটি মিডিয়া প্রতিনিধিকে জানান, সংশ্লিষ্ট বিভাগ তাদের গ্রামের লোকজনের কাছ থেকে জমি যখন অধিগ্রহন করেন তখন বলা হয়েছিল প্রয়াজন শেষে আবার ফেরত দেওয়া হবে। ৪ থেকে ৫ বছর এই জমি তারা ব্যবহার করবে, এরপর স্ব-স্ব মালিক ফেরত পাবেন। কিন্তু পরবর্তী সময়ে জমির মালিকরা চেষ্টা করেও আর ফেরত দেওয়া হয়নি। পরিত্যক্ত অবস্থায় দীর্ঘদিন পড়ে থেকেছে। এদিকে গ্রামের মানুষ তাদের দেওয়া জমি ফেরত না পেয়ে বিকল্প পথ বেছে নেন। পড়ে থাকা জমির কিছু অংশ গ্রামের মানুষ সম্মিলিত ভাবে চাষ করে সেখানে উৎপাদিত ফসল বিক্রির মাধ্যমে অর্থ উপার্যন করে গ্রামের সেই অর্থে শিক্ষা প্রতিষ্ঠার গড়ে তোলেন।

সিএইচটি মিডিয়া প্রতিনিধিকে আনিছুর রহমান আরো জানান, জায়গা পতিত হয়ে পড়ে থাকায় সেখানে জঙ্গলে ভরে গিয়েছিল। গ্রামের লোকজন স্কুলের পয়োজনে কিছুটা পরিষ্কার করে চাষাবাদ করেন। বাকি জমিতে কিছু অসহায় মানুষ বসবাস শুরু করেন। সর্বপ্রথম গোলে বুড়ি এই স্থানে বসবাস শুরু করেন। আস্তে আস্তে অনেক অসহায় পরিবার এই স্থানটি বসবাসের জন্য বেঁছে নিয়েছেন। তাদের যাবার কোনো জায়গা নেই।

ওই স্থানে বসবাস করেন বিধবা নূরজাহান বেগম সিএইচটি মিডিয়া প্রতিনিধিকে জানান, মাথাগোজার মতো কোনো জায়গা ছিল না তার। স্বামীর মৃত্যুর পর এই স্থানে জঙ্গলের মধ্যে ঘর করে বসবাস করেন। দীর্ঘ ৩০ থেকে ৩২ বছর এখানে আছেন। অন্যের বাড়িতে কাজ করে সংসার চলে। একই অবস্থা মৃত.জয়নালের স্ত্রী রহিমা খাতুনের। তিনি জানান, নিজেদের যাবার কোনো জায়গা থাকলে সরকারি জায়গায় পড়ে থাকতাম না। কিন্তু উপায় নেই দেখে জঙ্গল পরিষ্কার করে এই স্থানে বাস করছেন। এখন চলে যেতে বলা হচ্ছে।

বেবি খাতুন সিএইচটি মিডিয়া প্রতিনিধিকে জানান, জায়গাটি সরকারি। সরকারের প্রয়োজনে নিয়ে নিতেই পারেন, কিন্তু প্রয়োজন ছাড়াই শুধু তাদের উচ্ছেদ করতে ঘিরে দেওয়া হচ্ছে। গ্রামের আরেক বাসিন্দা স্থানিয় বেজপাড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফিরোজ মাহমুদ জানান, এই স্থানে যারা আছেন তাদের একটা ব্যবস্থা সরকারি ভাবে হওয়া জরুরী। এছাড়া সরকার এই মুহুর্তেই ওই স্থানে কোনো স্থাপনা গড়ে না তুললে অসহায় পরিবারগুলোকে উচ্ছেদ করা ঠিক হবে না বলে তিনি মন্তব্য করেন।

এ ব্যাপারে ঝিনাইদহ গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আল-আমিন সিএইচটি মিডিয়া প্রতিনিধিকে জানান, প্রথমত তারা গনপুর্তের বে-দখলে থাকা জমি দখলে আনার ব্যবস্থা করছেন। সিমেন্টের খুটি গেড়ে দেওয়ার পর বোঝা যাচ্ছে এটা তাদের জায়গা। যে কারনে তাদের ওই জায়গা থেকে চলে যেতে বলা হয়েছে। এরপর তাদের পরিকল্পনা রয়েছে এখানে একটি বিনোদন কেন্দ্র গড়ে তোলার। ইতোমধ্যে বিষয়টি নিয়ে উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেছেন। আশা করছেন পতিত জমিতে ভালো কিছু করে যেতে পারবেন। এ ব্যাপারে সকলের সহযোগিতা আশা করেন।





আর্কাইভ

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)