শুক্রবার ● ২৩ ডিসেম্বর ২০১৬
প্রথম পাতা » প্রধান সংবাদ » বেতাগীতে সংস্কারের অভাবে পাউবো’র রক্ষা বাঁধের ব্লক ধ্বসে বিলীন
বেতাগীতে সংস্কারের অভাবে পাউবো’র রক্ষা বাঁধের ব্লক ধ্বসে বিলীন
বরগুনা প্রতিনিধি :: (৯ পৌষ ১৪২৩ বাঙলা: বাংরাদেশ সময় বিকাল ৪.১২মি.) সংস্কারের অভাবে উপকূলীয় বেতাগী উপজেলার উত্তর বেতাগী গ্রামের বিষখালী নদীর পাড়ের পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) রক্ষা বাঁধের ব্লক ধ্বসে পড়ছে। এতে এখানকার ভাগ্যহত মানুষের কপাল পুড়ছে। ব্লক ধ্বসে বাঁধ ও গ্রামটি নদীতে বিলীন হতে সময়ের ব্যাপার মাত্র।
বরগুনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী বাঁধের ধ্বসে যাওয়া অংশ ২২ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার সরেজমিনে পরিদর্শন করেছেন। বাধেঁর ব্লক রক্ষার জন্য ইতোমধ্যে গ্রামের বাসিন্দারা ক্ষতিগ্রস্থ এলাকায় মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সিডর,আইলায় ভেঙে যাওয়া রক্ষা বাঁধ স্থায়ীভাবে রক্ষার জন্য ২০১১ সালে আরো ব্লক তৈরী করে বাঁশ, বস্তার চট ও ব্লক তৈরীর অন্যান্য সমাগ্রী রেখে গেছেন সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। এর পর ওই ঠিকাদারের আর খোঁজ নেই। ভুক্তভোগীদের অভিযোগ বাধঁ মেরামতের নামে লক্ষ লক্ষ টাকা লুট হয়েছে। কপাল খুলে গেছে পানি উন্নয়ন বোর্ডের সংশ্লিস্ট কর্মকর্তা ও ঠিকাদার সিন্ডিকেটের। সরকার কাড়ি কাড়ি টাকা ঢেলেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি। টাকা কোথায় গিয়েছে? এ প্রশ্নই করছিলেন শহীদুল ইসলাম বাবুল, মো: আফজাল হোসেন ও সুরাইয়া বেগম। একই প্রশ্ন মুখে মুখে ফিরছে আরো অনেক সাধারন মানুষের। সরজমিনে গিয়ে দেখা গেছে বাঁধের ব্লক ধ্বসে নদীতে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। ক্রমশ এর তীব্রতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। ব্লক ধ্বসে জোয়ারে লবনাক্ত পানি ঢুকে গাছপালা বিশেষ করে ফলজ বৃক্ষের পাতাগুলো পুড়ে অঙ্গার হয়ে গেছে। ভূক্তভোগি আব্দুর রব জানান বাসিন্দারা পারছেনা ফসল ফলাতে। বিশেষ করে বর্ষা মৌসুমে এ এলাকাটি পানিতে ডুবে যাওযায় তাদের প্রায়ই অভুক্ত কাটাতে হয়। এ ব্যাপারে বরগুনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো: মশিউর রহমান বলেন বাঁধের ব্লক ধ্বসে পড়ার স্থান সরেজমিনে পরিদর্শন করে এসেছি। এখন প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দের জন্য উর্ধ্বতন কতৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করবো । বেতাগী পৌরসভার মেয়র আলহাজ্ব এবিএম গোলাম কবির বলেন, এখানকার মানুষের দুর্ভোগ লাঘবে রক্ষা বাধেঁর ব্লক সংরক্ষনে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহনে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চলছে। স্থানীয় আওয়ামীলীগের নেতা আবদুস সোবাহান জানান, সরকারি কর্মকর্তা ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা বিভিন্ন সময়ে যদিও বাঁধের ব্লক রক্ষার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন কিন্ত তাদের এ কথায় কেউ আশ্বস্ত হতে পারেছে না স্থানীয় কাউন্সিলর ও ভূক্তভোগি নবীন খান ও এখানকার ক্ষতিগ্রস্থ মানুষ।