শনিবার ● ৩১ অক্টোবর ২০১৫
প্রথম পাতা » প্রধান সংবাদ » কাল থেকে দেশ ব্যাপী জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষা শুরু
কাল থেকে দেশ ব্যাপী জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষা শুরু
সিএইচটি মিডিয়া টুয়েন্টিফোর ডটকম :: রোববার সারাদেশে জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষা শুরু হবে। চলতি বছর জেএসসি ও জেডিসিতে মোট ২৩ লাখ ২৫ হাজার ৯৩৩ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করবে। এরমধ্যে ছাত্রী ১২ লাখ ৪৩ হাজার ২৬৩ জন ও ছাত্র ১০ লাখ ৮২ হাজার ৬৭০ জন। ছাত্রের তুলনায় ছাত্রীর সংখ্যা ১ লাখ ৬০ হাজার ৫৯৩ জন বেশি।
জাতীয় পরীক্ষার এই প্রথম দিনে জেএসসি’র ‘বাংলা প্রথমপত্র’ ও জেডিসি’র ‘কুরআন মাজীদ ও তাজবিদ’ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। পরীক্ষা শুরু হবে সকাল ১০টায়।
চলতি বছর সারাদেশের ২৮ হাজার ৬৩২টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের এ ২৩ লক্ষাধিক শিক্ষার্থী ২ হাজার ৬২৭টি কেন্দ্রে পরীক্ষায় বসবে। গত বছরের চেয়ে এবার কেন্দ্রের সংখ্যা ১০২টি এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ৭০৭টি বৃদ্ধি পেয়েছে।
এবার জেএসসি থেকে ১৯ লাখ ৬৭ হাজার ৪৪৭ জন এবং জেডিসি থেকে ৩ লাখ ৫৮ হাজার ৪৮৬ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করছে।
বিদেশের ৮টি কেন্দ্রে অর্থাৎ, সউদী আরবের জেদ্দা ও রিয়াদ, লিবিয়ার ত্রিপলী, কাতারের দোহা, ওমানের সাহাম, আবুধাবী, দুবাই ও বাহরাইনে মোট ৫৮৫ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় বসবে।
এবছর জেএসসি ও জেডিসি’র অনিয়মিত পরীক্ষার্থীর সংখ্যা যথাক্রমে ১ লাখ ১৮ হাজার ২১৪ জন ও ১৪ হাজার ৭৭৯ জন। এক, দুই ও তিন বিষয়ে অকৃতকার্য বিশেষ পরীক্ষার্থী জেএসসি’র ১ লাখ ৯ হাজার ৬২০ জন এবং জেডিসি’র ১১ হাজার ৯৫১ জনও পরীক্ষা দিবে।
গতবছর জেএসসি ও জেডিসিতে মোট ২০ লাখ ৯০ হাজার ৬৯২ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছিল। গত বছরের তুলনায় এবার শিক্ষার্থীর সংখ্যা ২ লাখ ৩৫ হাজার ২৪১ জন বৃদ্ধি পেয়েছে।
২০১০ সাল থেকে জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষা শুরু হয়েছে। ওই বছর মোট ১৪ লাখ ৯২ হাজার ৮০২ জন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছিল। তারপর থেকে ধারাবাহিকভাবে প্রতিবছরই শিক্ষার্থীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে চলতি বছর ২৩ লক্ষাধিকে দাঁড়িয়েছে।
শিক্ষার্থীরা এবার বাংলা দ্বিতীয় এবং ইংরেজি প্রথম ও দ্বিতীয় পত্র ছাড়া সকল বিষয়ে সৃজনশীল প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা দিবে। এমসিকিউ ও সৃজনশীল প্রশ্নপত্রে দু’টি বিভাগ থাকলেও দু’টি অংশ নিয়ে একত্রে ৩৩ নম্বর পেলেই পাস বলে গণ্য হবে। এমসিকিউ ও সৃজনশীল একই খাতায় পরীক্ষা হবে। এমসিকিউর বৃত্ত ভরাট করতে হবে না, টিক দিলেই চলেবে। এছাড়া কোন পরীক্ষার্থীকেই আলাদাভাবে বৃত্তি পরীক্ষা দিতে হবে না। এ পরীক্ষার মূল্যায়নেই বৃত্তি প্রদান করা হবে।
শ্রবণ ও অন্যান্য প্রতিবন্ধীদের জন্য নির্ধারিত সময়ের অতিরিক্ত ২০ মিনিট সময় দেয়া হবে। দৃষ্টি ও সেরিব্রাল প্রতিবন্ধী এবং যাদের হাত নেই, তাদের জন্য শ্রুতি লেখকের সুযোগ থাকবে।
আপলোড : ৩১ অক্টোবর ২০১৫ : বাংলাদেশ : সময় : রাত ৮.৩৬ মিঃ