রবিবার ● ২৫ ডিসেম্বর ২০১৬
প্রথম পাতা » অপরাধ » চট্টগ্রামে কবিরাজ সেজে এম.এ মালেক হাতিয়ে নিচ্ছে কোটি টাকা
চট্টগ্রামে কবিরাজ সেজে এম.এ মালেক হাতিয়ে নিচ্ছে কোটি টাকা
চট্টগ্রাম প্রতিনিধি :: (১১ পৌষ ১৪২৩ বাঙলা : বাংলাদেশ সময় দুপুর ২.২২মি.) চট্টগ্রাম মহানগরীর পাঁচলাইশ থানাধীন মুরাদপুরস্থ রাঙ্গামাটি পাহাড়ী চিকিৎসালয় এর পরিচালক ও চেয়ারম্যান পরিচয়দানকারী দুলাল দাদার আস্তানায় প্রতিদিন সহজ সরল শত শত নারী পুরুষের সমাহার দেখা যায়। চট্টগ্রামে কবিরাজ সেজে এম এ মালেক হাতিয়ে নিচ্ছে কোটি টাকা। চিকিৎসা সেবা নিতে আসা প্রতারিত হওয়া মানুষদের কাছ থেকে জানা যায় তাঁর চিকিৎসার নামে ভূঁয়া চিকিৎসালায় খুলে নিরীহ মানুষদের কাছ থেকে হাতিয়ে নিচ্ছেন হাজার থেকে লাখো কোটি টাকা।
প্রবাসীর স্ত্রী হাছিনা বেগম সিএইচটি মিডিয়া প্রতিনিধিকে বলেন, আমার স্বামী দীর্ঘদিন প্রবাসে, তাকে বাংলাদেশে ফেরত আনার জন্য বিভিন্ন ভূঁয়া তাবিছ, ঝাড়ফুঁক, গাছের শিকড়, আংটির পাথর দেখিয়ে আমার থেকে প্রায় দুই লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে, তাঁর কোন প্রতিদান অদ্যবধি মেলেনি।
রোকসানা বেগম নামে এক মহিলা রাঙ্গামাটি পাহাড়ী চিকিৎসালয় এর পরিচালক ও চেয়ারম্যান পরিচয়দানকারী দুলাল দাদার বিরুদ্ধে অভিযোগ করে সিএইচটি মিডিয়া প্রতিনিধিকে বলেন, আমি নিঃসন্তান ছিলাম বিধায় প্রতারক দুলাল এর কাছে যাই। সে আমাকে বলে তার সাথে দুইদিন দুইরাত থাকলে আমার সন্তান হবে। সব সমস্যার সমাধানের জন্য দুলাল দাদার কাছে অনেকে ধর্ণা দিলেও কোন প্রকারের সুফল মিলছে না। অনুসন্ধানে তাঁর ভূঁয়া চিকিৎসালয়ে গিয়ে দেখা যায় বাংলাদেশ সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রনালয়ের মন্ত্রী এবং এমপি ও বিশিষ্ট সমাজসেবকদের ছবির সাথে জালিয়াতির মাধ্যমে তাঁর ছবি সম্পৃক্ত করে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। ভন্ড দুলাল দাদার যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন আমি বাংলাদেশ অনলাইন প্রেস ক্লাব সভাপতি ও পাহাড়ী ডট কম এর সম্পাদক এবং সংবাদপত্র কম্পিউটার এসোসিয়েশন এর আজীবন সদস্য বলেও সে দাবী করে। স্থানীয় পাঁচলাইশ থানায় যোগাযোগ করা হলে থানা পুলিশ সিএইচটি মিডিয়া প্রতিনিধিকে বলেন, সে একজন প্রতারক, তাকে বহুবার গ্রেফতার করা হয়েছে এবং বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে বলেও জানা যায়।
এ প্রতারক দুলাল দাদা ওরফে ভুয়া গুরুজী’র হাত থেকে নিরীহ, সহজ ও সরল মানুষকে রক্ষা করতে হলে দুলাল দাদার মত আরো প্রতারক কবিরাজদের অনতিবিলম্বে আইনের আওতায় এনে সমাজ থেকে ভূয়া কবিরাজি বন্ধ করা অতীব জরুরী বলে চট্টগ্রামের স্থানীয়দের দাবি। এব্যাপারে ভুক্তভোগীরা স্থানীয় প্রশাসনের স্বপ্রনোদিত উদ্যোগ কামনা করেছেন।
ভুক্তভোগীদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে স্থানীয় পুলিশের বক্তব্য এবং প্রতিবেদকের অনুসন্ধানে অভিযোগকারীদের অভিযোগের সত্যতা পাওয়ার পর রাঙ্গামাটি পাহাড়ী চিকিৎসালয় এর পরিচালক ও চেয়ারম্যান দুলাল দাদা ওরফে গুরুজী’র সাথে মুঠোফোন নং-০১৮৩৯৯১১৪১৮ এ যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ না করায় কথা বলা সম্ভব হয়নি।