সোমবার ● ২৬ ডিসেম্বর ২০১৬
প্রথম পাতা » অপরাধ » গাজীপুর জেলা প্রশাসকের সহায়তা চেয়েছেন টাম্পাকোর নিখোঁজদের স্বজনেরা
গাজীপুর জেলা প্রশাসকের সহায়তা চেয়েছেন টাম্পাকোর নিখোঁজদের স্বজনেরা
গাজীপুর জেলা প্রতিনিধি :: (১২ পৌষ ১৪২৩ বাঙলা : বাংলাদেশ সময় রাত ১০.৩০মি.) গাজীপুরের টঙ্গীর টাম্পাকো কারখানায় বিস্ফোরণের ঘটনায় নিখোঁজ শ্রমিকদের লাশ চিহ্নিত করতে চার স্বজনের পরিবার গাজীপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে এসে প্রশাসনের সহযোগিতা চেয়েছেন।
২৬ ডিসেম্বর সোমবার তারা এ সহযোগিতা চান। নিখোঁজদের ৯ স্বজনরা ডিএনএ (ডি অক্সিরাইবো নিউক্লিক এসিড) টেস্টের জন্য ২১ সেপ্টেম্বর ঢাকার সিআইডিতে রক্ত ও লালা দিয়েছেন।
টাম্পাকো ফয়লস লিমিটেডের মেশিন অপারেটর আনিসুর রহমানের (৩০) স্ত্রী শারমিন আক্তার শিল্পী, মাগুরা জেলার ছনপুর গ্রামের নিখোঁজ আজিম উদ্দিনের (৩৬) স্ত্রী পারভীন আক্তার, টাঙ্গাইল জেলার মির্জাপুর উপজেলার উপুলকি গ্রামের নিখোঁজ আবুল হোসেনের স্ত্রী নূরুন্নাহার, কুমিল্লা জেলার মুরাদনগর উপজেলার টঙ্কি গ্রামের বাসিন্দা নিখোঁজ মাসুম আহমেদের স্ত্রী রূপালী বেগম ডিএনএ পরীক্ষার ফলাফল জানতে সোমবার জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে যান।
গাজীপুর জেলা প্রশাসকের পক্ষে জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. মাহবুবুর রহমান সিএইচটি মিডিয়া প্রতিনিধিকে জানান, কয়েকটি ধাপে সিআইডির ফরেনসিক বিভাগ ডিএনএ পরীক্ষা করেন। প্রাথমিক ধাপটি শেষ হয়েছে। প্রাথমিক ধাপে পরিচয় শনাক্ত করা অনেকটা সম্ভব হবে। ২০ জানুয়ারির দিকে পরিচয় দেয়া যাবে।
প্রসঙ্গত, ১০ সেপ্টেম্বর শনিবার ভোরে টঙ্গীর বিসিক শিল্প নগরীতে বিস্ফোরণের পর অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় টাম্পাকো ফয়লস কারখানা বিধ্বস্ত হয়। এতে মারা যান ৩৯ জন আহত হন ৪০ জন। এদের মধ্যে ডিএনএ টেস্টের জন্য ৯ জনের পরিবারের স্বজন রক্ত ও লালা দিয়েছেন গত ২১ সেপ্টেম্বর।
ঘটনা তদন্তে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, গাজীপুর জেলা প্রশাসন, শিল্প মন্ত্রণালয়, ফায়ার সার্ভিস ও তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে মোট ৫টি পৃথক তদন্ত কমিটি গঠন করে। টাম্পাকো মালিকের বিরুদ্ধে হত্যাসহ বিভিন্ন আইনে দুটি মামলা হয়েছে।
টাম্পাকো ঘটনার দু‘দিন পর টঙ্গী থানায় হত্যা ও হত্যা চেষ্টার অভিযোগে পৃথক দুটি মামলা হয়। মামলায় অভিযুক্ত পাঁচজন জেল হাজতে রয়েছেন। কারখানার মালিক সৈয়দ মকবুল হোসেনকে আগামী ৪ জানুয়ারি পর্যন্ত অন্তর্বর্তীকালীন জামিনে রয়েছেন।