সোমবার ● ২ জানুয়ারী ২০১৭
প্রথম পাতা » প্রধান সংবাদ » জৈন্তাপুরে সমাপনী পরীক্ষার ১বছরে সনদ পায়নি শিক্ষার্থীরা
জৈন্তাপুরে সমাপনী পরীক্ষার ১বছরে সনদ পায়নি শিক্ষার্থীরা
সিলেট প্রতিনিধি :: (১৯ পৌষ ১৪২৩ বাঙলা : বাংলাদেশ সময় বেলা ২.২২মি.) সিলেটের জৈন্তাপুরে সরকারি ও এনজিও মিলে ১শত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ২০১৫ সালের পিএসসি উত্তীর্ণ ২হাজার ৭শ’ ৩৪জন শিক্ষার্থীরা ১বছর অতিক্রম করেও শিক্ষা জীবনের প্রথম ধাপের পাবলিক পরীক্ষার মূল্যবান সনদ পত্রটি আজও পায়নি।
উপজেলা বিভিন্ন নিম্ন মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেণী পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের সাথে আলাপকালে জানা যায়, তারা বিগত ২০১৫ সালের উপজেলার বিভিন্ন প্রাথমিক বিদ্যালয় হতে শিক্ষা জীবনের প্রথম পাবলিক পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করে। সাফল্যের সাথে শিক্ষা জীবনের প্রথম আনুষ্ঠানিক পাবলিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়।
কিন্তু তারা প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনীর সনদপত্র বলে তারা কিছুই পায়নি। ৬ষ্ঠ শ্রেণীতে ভর্তি হওয়ার সময় কম্পিউটার দোকান হতে সংগ্রহ করা মার্কশীটটি সনদ হিসাবে ব্যবহার করছে।
এ বিষয়ে খোঁজ খবর নিয়ে জানা যায়, জৈন্তাপুর উপজেলায় হতে ২০১৫ সালের প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনি পরীক্ষায় সরকারি ৭২টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ সর্বমোট ১শ’টি প্রাথমিক বিদ্যালয় অংশ গ্রহন করে।
১শ’ বিদ্যালয় হতে ১হাজার ২শত ৩৬জন বালক এবং ১হাজার ৫শত ৩৫জন বালিকা মিলে সর্বোমোট ২৭৭০জন পরীক্ষার্থী পাবলিক পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করে। তার মধ্যে ১৫৫টি জিপিএ-৫ সহ ২৭৩৪ জন শিক্ষার্থী উত্তীর্ণ হয়।
২০১৫ সালের উপজেলায় পাশের হার ছিল ৯৮.৬৭%। কিন্তু সুদীর্ঘ ১বৎসর অতিক্রম করে তাদের অনেকেই ৬ষ্ঠ শ্রেনীর গন্ডি পেরিয়ে ৭ম শ্রেনীতে উর্ত্তীণ হয়েছেন। গত ২৯ডিসেম্বর ২০১৬ সালে জৈন্তাপুর উপজেলা ৭২টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ মোট ১৬২টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হতে ৪হাজার ৩শত ২৬জন শিক্ষার্থী প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনি পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করে।
১০৯টি জিপিএ-৫ সহ ৪হাজার ৩শত ৫জন শিক্ষার্থী উর্ত্তীণ হয়। পাশের হার ছিল ৯৯.৫০%।
সচেতন অভিভাবক মহলের প্রশ্ন ২০১৫ সালের সমাপনী পরীক্ষার ১বছর অতিক্রম করে একটি সনদ এখনও পায়নি শিক্ষার্থীরা। সনদ পেতে হলে হয়ত আরও কয়েক বছর অপেক্ষার প্রহর গুনতে হবে! এসকল শিক্ষার্থীরা সমাপনি পরীক্ষার সনদ পাবে কি না সন্দেহ রয়েছে! তাই শিক্ষার্থীদের ইন্টারনেট হতে ডাউনলোড করা মার্কশীটই একমাত্র ভরসা শিক্ষার্থীদের।
এ বিষয়ে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষকদের সাথে যোগাযোগ করা হলে নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিদ্যালয় প্রধানরা জানান- বাংলাদেশের অন্যান্য উপজেলায় গত এপ্রিল মাসের মধ্যে পিএসপি উর্ত্তীণ শিক্ষার্থীদের সনদ বিতরন করা হয়েছে। আমাদের প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মহোদয়ের কাছে এবিষয়ে একাধিক বার যোগাযোগ করে সনদ সংগ্রহ করতে পারিনি তাই আমরা শিক্ষার্থীদের সনদের আশা ছেড়েই দিয়েছি। ডাউনলোড মার্কশীটই শিক্ষার্থীদের এক মাত্র ভরসা।
এ বিষয়ে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আব্দুল জলিল এর সাথে মুটোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, ২০১৫ সালের সনদ বিতরনের না করার কথা স্বীকার করেন।
সনদ বিতরনে আরও কত বছর সময় লাগতে পারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, একটি সনদে বিভিন্ন ধরনের কাজ করতে হয়, তারপর বিভিন্ন রেজিষ্টার এন্ট্রি করে শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিতরন করতে হয়, যার কারনে এই সময় ব্যয় হয়েছে। তিনি ২০১৭ সনের চলতি মাসের মধ্যে ২০১৫ সালের উর্ত্তীণ শিক্ষার্থীদের সনদ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলোতে প্রেরন করা হবে।