সোমবার ● ২ জানুয়ারী ২০১৭
প্রথম পাতা » কৃষি » ত্রিপুরাছড়া নিন্ম মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের হাতে পাঠ্যবই তুলে দিলেন রাঙামাটি জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান
ত্রিপুরাছড়া নিন্ম মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের হাতে পাঠ্যবই তুলে দিলেন রাঙামাটি জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান
ষ্টাফ রিপোর্টার :: (১৯ পৌষ ১৪২৩ বাঙলা : বাংলাদেশ সময় বিকাল ৫.১৭মি.) রাঙামাটি সদর উপজেলাধীন বন্দুকভাঙ্গা ইউনিয়নের ত্রিপুরাছড়া নিন্ম মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মাঝে সোমবার ২জানুয়ারী বিনামূল্যে পাঠ্যবই বিতরণ করলেন রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বৃষ কেতু চাকমা।
বন্দুকভাঙ্গা ইউনিয়নের দেবেক্ক্যাছড়ির কাব্বারি লাহোর বিকাশ চাকমার সভাপতিত্বে বই বিতরন ও আলোচনাসভায় সমাজকল্যাণ বিভাগের আহবায়ক ও রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ সদস্য স্মৃতি বিকাশ ত্রিপুরা, জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও বিশিষ্ট সমাজ সেবক দীপক চাকমা, মিন্টু মারমা, বন্দুকভাঙ্গা ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ড মেম্বার জ্যোতি চাকমা, মহিলা মেম্বার অলকা চাকমা, সদস্য কিরণ চাকমা, চন্দ্রহরি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি দয়াল কৃষ্ণ চাকমা বক্তব্য রাখেন। স্বাগত বক্তব্য রাখেন ত্রিপুরাছড়া নিন্ম মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বীর বাহুু চাকমা।
আলোচনাসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বলেন, বর্তমান সরকার শিক্ষাবান্ধব সরকার। সরকারের আন্তরিকতায় সারাদেশে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্থরের সকল শিক্ষার্থীরা বিনামূল্যে পাঠ্যবই পাচ্ছে যা অন্য কোন সরকার দিতে পারেনি। তিনি বলেন, দেশ থেকে নিরক্ষরতা দূর করে একটি সুশিক্ষিত দেশ গঠনে সরকার সবসময় সে লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে। সরকারের এ সুযোগগুলোকে কাজে লাগিয়ে আমাদের সমাজকে শিক্ষিত সমাজ হিসেবে গড়ে তুলতে তিনি অভিভাবকদের প্রতি আহ্বান জানান। তিনি উপস্থিত শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, শিক্ষাই জাতির মেরুদন্ড। শিক্ষিত ছেলে-মেয়েরা একটি পরিবারের যেমন সম্পদ তেমনী দেশেরও সম্পদ। তাই মনোযোগ সহকারে পড়ালেখা করে তোমাদের সুশিক্ষিত হতে হবে। আগামীতে তোমরাই দেশ পরিচালনা করবে। তাই এখন থেকে সেভাবে নিজেদের তৈরি করো। সমাজের খারাপ দিকগুলো পরিহার করে ভালো দিকগুলোকে লব্দ করতে শিক্ষার্থীদের প্রতি আহ্বান জানান চেয়ারম্যান।
পরে তিনি শিক্ষার্থীদের শিক্ষা সফরের জন্য নগদ ২০ হাজার টাকা প্রদান করেন এবং আগামীতে বিদ্যালয় ভবন নির্মাণ ও প্রতিবছর ত্রিপুরাছড়া নিন্ম মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সম্মানী হিসেবে এক লক্ষ টাকা প্রদানের প্রতিশ্রুতি দেন।