মঙ্গলবার ● ৩ জানুয়ারী ২০১৭
প্রথম পাতা » খুলনা বিভাগ » বাগেরহাটে ইবতেদায়ী মাদ্রাসা থেকে কেউ পাশ করেনি
বাগেরহাটে ইবতেদায়ী মাদ্রাসা থেকে কেউ পাশ করেনি
এস.এম. সাইফুল ইসলাম কবির, বাগেরহাট প্রতিনিধি :: (২০ পৌষ ১৪২৩ বাঙলা : বাংলাদেশ সময় বিকাল ৪.৪৮মি.) বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলায় ইবতেদায়ী শিক্ষা সমাপনি পরীক্ষায় কোন ছাত্র-ছাত্রী পাশ করেনি। পাশের হার ০%। ইবতেদায়ী শিক্ষা সমাপনি পরীক্ষা-২০১৬ এ অত্র মাদ্রাসা থেকে ডিএলআর ভূক্ত বালক ৮ জন। সকল বিষয়ে অংশগ্রহনকারী ২ জন বালক। অনুপস্থিত ৬ জন। অংশগ্রহনকারী ২ জন বালকের কেউ পাশ করেনি। দাখিল ৬২ টি এবং স্বতন্ত্র্য ৪ টি মাদ্রাসা মধ্যে একমাত্র শফিজউদ্দিন দাখিল মাদ্রাসা থেকে কেউ পাশ করেনি। সুপার মাওঃ জহিরুল ইসলামের সাথে মোবাইল ফোনে একাধীক বার যোগাযোগ করা হরে তাকে পাওয়া যায়নি। এলাকাবাসি সিএইচটি মিডিয়া প্রতিনিধিকে জানান, মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটি নিয়ে দীর্ঘদিন বিরোধ চলায় মাদ্রাসটির শিক্ষা ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়েছে। যার কারনে ইবতেদায়ী শিক্ষা সমাপনি পরীক্ষা ফল এমনটি হয়েছে। উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. আনিছুর রহমান সিএইচটি মিডিয়া প্রতিনিধিকে বলেন, বিষটি অত্যন্ত দুঃখজনক।
উল্লেখ্য, প্রাথমিক ও ইবতেদায়ী শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় এবার ৯৩ হাজার ৬৭৯টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শতভাগ শিক্ষার্থী পাস করেছে । কেউ পাস করতে পারেনি এমন প্রতিষ্ঠান ৮১টি।গত বছর এ পরীক্ষায় ৯১ হাজার ২২৭টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শতভাগ শিক্ষার্থী পাস করেছিল। আর ১৪৮টি প্রতিষ্ঠানের সবাই ফেল করে।
এই হিসাবে এবার পঞ্চমের সমাপনীতে শতভাগ পাস প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা বেড়েছে ২ হাজার ৪৫২টি। আর শতাভাগ শিক্ষার্থী ফেল করেছে এমন প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা কমেছে ৬৭টি।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান ফিজার গত বৃহস্পতিবার দুপুরে সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এবারের ফলাফলের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন।
প্রাথমিক সমাপনীতে এবার ৯৮ দশমিক ৫১ শতাংশ এবং ইবতেদায়ীতে ৯৫ দশমিক ৮৫ শতাংশ শিক্ষার্থী পাস করেছে।
প্রাথমিকে ৮৫ হাজার ১১২টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সবাই পাস করেছে। আর ৫৫টি প্রতিষ্ঠানের কেউ পাস করতে পারেনি।
গত বছর প্রাথমিক সমাপনীতে ৮৩ হাজার ৩৩৬টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সবাই পাস করে। আর ১০৬টি প্রতিষ্ঠানের কেউ পাস করতে পারেনি।
অন্যদিকে ইবতেদায়ীতে এবার ৮ হাজার ৫৬৭টি প্রতিষ্ঠানের সবাই পাস করেছে। ২৬টি মাদ্রাসায় কেউ পাস করতে পারেনি।
২০১৫ সালে ইবতেদায়িতে ৭ হাজার ৭৯১টি প্রতিষ্ঠানের সবাই পাস করেছিল। ৪২টি মাদ্রাসায় পাসের হার ছিল শূন্য।