বুধবার ● ৪ জানুয়ারী ২০১৭
প্রথম পাতা » অপরাধ » বামনায় ইউপি চেয়ারম্যানসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে মামলা
বামনায় ইউপি চেয়ারম্যানসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে মামলা
বরগুনা প্রতিনিধি :: (২১ পৌষ ১৪২৩ বাঙলা : বাংলাদেশ সময় বিকাল ৩.৫৫মি.) সরকারি কাজে বাধা দেওয়ায় অভিযোগে বরগুনা জেলার বামনা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ মনির হোসেন হাওলাদার বাদী হয়ে বামনা ইউপি চেয়ারম্যান ও প্রধান শিক্ষকসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন।
মঙ্গলবার ৩ জানুয়ারি সকালে তিনি মামলাটি দায়ের করেন। দায়েরকৃত মামলার আসামিরা হলেন বামনা উপজেলার ৪ নম্বর ডৌয়াতলা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. মিজানুর রহমান মিজান ও বামনা ডৌয়াতলা বহুমূখী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. নুরুল হক খানসহ ১১ জন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, বামনা উপজেলার ৪নং ইউনিয়ান ডৌয়াতলা বাজার সংলগ্ন মহাসড়কের পাশে ভূমি অফিসের পুকুরে এডিপির অর্থায়নে নির্ধারিত স্থানে ঘাটলা নির্মাণ না করে পুকুরের অন্য স্থানে ঘাটলা নির্মাণ, ইউএনও’র গাড়িতে ইট নিক্ষেপ ও তার ওপর হামলার অভিযোগে মামলাটি দায়ের করা হয়।
এ ব্যাপারে ডৌয়াতলা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. মিজানুর রহমানের কাছে মুঠোফোন আলাপে জানতে চাইলে তিনি সিএইচটি মিডিয়া প্রতিনিধিকে জানান, ভূমি অফিসের পুকুরের যে স্থানে আগের ঘাটলা ছিলো জনসাধারণের সুবিধার্থে সে স্থানেই নতুন করে ঘাটলা নির্মাণ করা হচ্ছিলো।
কিন্তু ইউএনও সেখানে ঘাটলা নির্মাণ করতে নিষেধ করলে কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়। এছাড়া তার ওপর কোনো হামলা চালানো হয়নি।
ডৌয়াতলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. নুরুল হক খান সিএইচটি মিডিয়া প্রতিনিধিকে জানান, ইউএনও আমার বিদ্যালয়ের নামে জমি বন্দোবস্ত দিয়ে ঘর উঠানোর জন্য পরোক্ষ ও প্রত্যক্ষভাবে সহযোগিতা করেন।
কিন্তু সেসময় বিদ্যালয়ের সিমানার ভেতরে একটি গরুর হাট বসতো। শিক্ষার্থীদের অসুবিধার কারণে সেই গরুর হাট তুলে দেওয়ার দাবিতে সেসময় মানববন্ধন করা হয়।
পরে সেই গুরুর হাট তুলে সেখানে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ করা হয়। সেই স্থাপনা উচ্ছেদের জন্য তিন-চারদিন আগে বিদ্যালয়ের শিক্ষক, ছাত্র-ছাত্রী ও অভিভাবকদের নিয়ে মানববন্ধনসহ বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নেই। এ কারণেই তিনি আমাদের বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করেছেন।
উল্লেখ্য. বামনা ইউএনও মোহাম্মদ মনির হোসেন হাওলাদার কিছুদিন আগে এখান থেকে বদলি হয়ে বরিশাল বিভাগীয় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে এডিসি হিসেবে যোগদান করেছেন।
মামলার প্রকৃত ব্যাপার জানতে মামলার বাদি (ইউএনও) মোহাম্মাদ মনির হোসেনের সাথে মুঠোফোন আলাপ করার বহু চেষ্টা করা হলেও তার মোবাইল ফোনটি এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত বন্ধ পাওয়া যায়। মামলার বাদির কোন ধরনের মতামত পাওয়া যায়নি।