রবিবার ● ৮ জানুয়ারী ২০১৭
প্রথম পাতা » প্রধান সংবাদ » পুরস্কার পেয়ে আমি আপ্লুত: বীর মুক্তিযোদ্ধা সালেহ চৌধুরী
পুরস্কার পেয়ে আমি আপ্লুত: বীর মুক্তিযোদ্ধা সালেহ চৌধুরী
সিলেট প্রতিনিধি :: (২৫ পৌষ ১৪২৩ বাঙলা: বাংলাদেশ সময় বিকাল ৫.১৯মি.) মোফাজ্জল করিম শুধু একজন কবি নন, মননশীলতার জগতে তিনি এক অসাধারণ প্রতিভা। জীবনের প্রায় প্রতিটি ক্ষেত্রেই তিনি একজন সফল মানুষ।
তিনি যেমন একজন কৃতী শিক্ষক, কৃতী খেলোয়াড়, তেমনি সুলেখকও। তার স্মৃতিশক্তিও প্রখর। তার পিতা একজন স্বনামধন্য শিক্ষক ছিলেন। সেই ধারাবাহিকতায় তার পরিবারের প্রতিটি মানুষই একেকজন ভালো মানুষ।
আমাদের নানাজনের নানা পরিচয় থাকতে পারে, কিন্তু সবার আগে আমাদেরকে মানুষ হতে হবে। তাঁর সৃষ্টিশীল রচনা জাতিকে সঠিক দিক নির্দেশনা দেবে এবং একই সাথে আমি তাকে তার লেখালেখি অব্যাহত রাখার আহবান জানাবো।
সিলেট অঞ্চলের রেনেসাঁর নায়ক খান বাহাদুর সৈয়দ আব্দুল মজিদ সিআইই-কে নিবেদিত কেমুসাস সাহিত্য সম্মেলন-২০১৬ ও কেমুসাস সাহিত্য পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রবীণ সাংবাদিক বীর মুক্তিযোদ্ধা সালেহ চৌধুরী
এ কথাগুলো বলেন।
কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য সংসদের সভাপতি প্রফেসর মো. আব্দুল আজিজের সভাপতিত্বে সংসদের শহীদ সোলেমান হলে এ সাহিত্য সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সাহিত্য সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির সদস্যসচিব আহমদ মাহববু ফেরদৌসের উপস্থাপনায় অনুষ্ঠিত সম্মেলনে ‘কথাসাহিত্যে সিলেট’ শীর্ষক মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিশিষ্ট লেখিকা কবি শামসাদ হুসাম, ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন সম্মেলন উপকমিটির আহবায়ক আ ন ম শফিকুল হক, পঠিত প্রবন্ধের উপর আলোচনা করেন বিশিষ্ট গবেষক আবদুল হামিদ মানিক এবং স্বাগত বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য সংসদের সাধারণ সম্পাদক আজিজুল হক মানিক।
সভায় অন্যান্যের মধ্যে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন কেমুসাসের সাবেক সভাপতি অধ্যক্ষ মাসউদ খান, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল অধ্যক্ষ জুবায়ের সিদ্দিকী (অব.), সাবেক সিলেট পৌরসভার চেয়ারম্যান আ ফ ম কামাল, যুক্তরাষ্ট্রের বিশিষ্ট চিকিৎসক ডা: জিয়াউদ্দিন সাদেক, কবি লাভলী চৌধুরী, প্রভাষক দেওয়ান মাহমুদ রাজা চৌধুরী, প্রবাসী সাংবাদিক নজরুল ইসলাম বাসন।
সাহিত্য কর্মী ফায়যুর রাহমানের পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে শুরু হওয়া সাহিত্য সম্মেলনে খান বাহাদুর সৈয়দ আব্দুল মজিদ সিআইই-এর পরিচিতি পাঠ করেন গল্পকার সেলিম আউয়াল, কেমুসাস সাহিত্য পুরস্কার প্রাপ্ত ব্যক্তিত্বের পরিচিতি পাঠ করেন সংসদের সাহিত্য ও সংস্কৃতি সম্পাদক আব্দুস সাদেক লিপন এডভোকেট।
সাংবাদিক সালেহ চৌধুরী আরো বলেন, দেশ আমাদের অনেক এগিয়ে যাচ্ছে। সুশাসনের ধারাবাহিকতা বজায় থাকলে দেশ আরো এগিয়ে যাবে। একসময় আমাদেরকে শোষণ বঞ্চিত করে তৎকালীন পশ্চিম পাকিস্তান আমাদের চেয়ে অনেক এগিয়েছিলো, কিন্তু সেই পাকিস্তান আজ আমাদের চেয়ে পিছিয়ে পড়ছে।
কেমুসাস সাহিত্য পুরস্কার গ্রহণ করে অনুভূতি ব্যক্ত করে কবি মোফাজ্জল করিম বলেন, তিরস্কারের এই কালে পুরস্কার পেয়ে আমি আপ্লুত, আনন্দিত। বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালনের সুযোগ আমার হয়েছে। কিন্তু প্রতিদিনের হাজার ব্যস্ততার পরও প্রতিদিন রাত বারোটা একটার পরও আমি লিখতে বসতাম। লেখার সাথে সবসময় সম্পর্ক রাখার চেষ্টা করেছি। কবিতার পাশাপাশি গদ্য চর্চা করেছি, আমি চেষ্টা করেছি গদ্যে আমার নিজস্ব একটা স্টাইল তৈরীর।
তিনি আরো বলেন, সারাজীবন ন্যায়ের পথে চলার চেষ্টা করেছি। চাকরী জীবনশেষে দেশসেবার আকাংখায় রাজনীতিতে সম্পৃক্ত হবার চেষ্টা করেছিলাম, কিন্তু সেখানেও ভালো অভিজ্ঞতা অর্জিত হয়নি। অনেকের চেহারা মাইকের সামনে দেখেছি এক ধরনের, আর মাইকের পেছনে আরেক ধরনের। যাই হোক আমাদেরকে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠায় উদ্যোগী হতে হবে, মানুষ হিসেবে মানুষকে ভালোবাসতে হবে।
সভাপতির বক্তব্যে প্রফেসর মো. আবদুল আজিজ বলেন, আজকের সাহিত্য সম্মেলন তারকা সম্মেলনে পরিণত হয়েছে। কবি মোফাজ্জল করিম নানা পরিচয়ে ভূষিত। তিনি শিক্ষক, রাজনীতিক, কুটনীতিক, কলামিস্ট এবং প্রতিটি ক্ষেত্রেই তিনি সফল।
অনুষ্ঠানে প্রবাসী লেখক নজরুল ইসলাম বাসনের দুটো গ্রন্থ অলৌকিক রিপোর্টার ও শেকড়ের স্মৃতি-এর মোড়ক উন্মোচন করা হয়।